ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তথ্যপ্রযুক্তি খাত সকলের জন্য নিরাপদ থাকুক ॥ আসিফ মাহমুদ

তথ্যপ্রযুক্তি খাত সকলের জন্য নিরাপদ থাকুক ॥ আসিফ মাহমুদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি ঝুঁকিও তৈরি করেছে। বিভিন্ন সময়ে নারীরা হয়রানির শিকার হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে সরকার সাইবার স্পেস তথা তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ সবার জন্য নিরাপদ রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে। শনিবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এমনটা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দেশে অত্যন্ত সফল একটি সেক্টর  হচ্ছে আরসেক্টর। যার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে নারীদের বিপুল অংশগ্রহণ। সম্ভাবনাময় সেক্টর হিসেবে আইসিটি সেক্টরে ও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতা আছে তা চিহ্নিত করে সেভাবেই পলিসি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

adbilive
adbilive
করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান

করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, করিডোর কিংবা বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশের হাতে তুলে দেওয়া কিংবা না দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা সরকার রাখে। তিনি বলেন, "আমরা আবারো স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নয়।" এক ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকার কি হতাহতদের ব্যাপারে উদাসীন, নাকি তারা ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন? তিনি বলেন, গত ১০ মাসে জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে নিহত ও আহতদের সঠিক সংখ্যা এবং তালিকা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি সরকার। এটি সরকারের সক্ষমতা ও আন্তরিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। তারেক রহমান আরও বলেন, "যেখানে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রতিদিন হতাহতদের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়, সেখানে আমাদের দেশে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদদের সঠিক সংখ্যা এখনো অজানা। একজন গবেষক বা শিক্ষার্থী এখনো এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পান না। এটি দুঃখজনক এবং সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক।" তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের রক্ত ও আত্মত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, তারা এখন সেই আন্দোলনের শহীদদের প্রাপ্য সম্মান দিতেও ব্যর্থ। তার মতে, সরকারের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সংস্কার নিয়ে সরকারের আচরণকেও সমালোচনা করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়াই হঠাৎ সংস্কার শুরু করায় বিষয়টি হিতে বিপরীত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাই এর বিরোধিতা করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=rBiwRkp58oA

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার মধ্যে দাবি না মানলে সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচিরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটামসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন সাত কলেজের সম্মিলিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে যৌথভাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের সদস্য তানজিমুল আবিদ ও জাফরিন আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে জাফরিন আক্তার বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার অধিকারটুকু চাই। আমরা আর রাজপথে নামতে চাই না। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে গিয়েছি। তবে রাষ্ট্র বারবার আমাদের পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে ফিরতে বাধ্য করেছে। আগামী রবিবারের মধ্যে যদি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে সোমবার থেকে আমরা আবার মাঠের কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

বৃদ্ধ সাঈদের কাঁধে সংসারের বড় বোঝা

বৃদ্ধ সাঈদের কাঁধে সংসারের বড় বোঝা

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বাসিন্দারা সাঈদ আলির কণ্ঠে গান শুনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সাঈদ আলির বয়স (৫৫)। তিনি কখনো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হাসপাতাল গেটে, কখনোবা থানার সামনে, আবার কখনো হাট বাজারে, কখনোবা রাস্তায় হেঁটে, এভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি প্রতিদিন গান গেয়ে সংসার চালান। অন্যান্যদের মতো ভিক্ষা না করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা নিজের। সাঈদ আলী জানান, পড়ালেখার সুযোগ পাননি তিনি। ৭ বছর বয়সে ওস্তাদের নিকট গান শিখেন। এরপর থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে গান করেন। সারাদিন যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার চালান তিনি। সাঈদ আলির জন্ম টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের শেওরাইল গ্রামে। বাবা কিতাব আলী ও মা বাকাতন নেছার কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় সাঈদ আলী। জন্মের ৫ বছর পর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চোখের দৃষ্টি হারান সাঈদ আলী। ঘরে বৃদ্ধ মা, দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান নিয়েই তার সংসার।  সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাটুরিয়া, নাগরপুর ও দৌলতপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে গান করে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ টাকার মতো আয় হয়। তা দিয়েই চলে তার সংসার। গান শুনে খুশি হয়ে অনেকে স্বেচ্ছায় টাকা দেয়।  এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলার সাভার বাজারের ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ বলেন, আমার জীবনে আমি সাঈদ আলির মত লোক খুব কমই দেখেছি। উপজেলার অন্যান্য অন্ধরা ভিক্ষা করে। কিন্তু দৃষ্টি হারানো সাঈদ আলী ভিক্ষা করেন না। তিনি সাটুরিয়া, নাগরপুর ও দৌলতপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে নানা গান গেয়ে জীবন বাঁচান। সবাই তার শুনে খুশি হয়ে টাকা পয়সা দেয়।

ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড়

ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড়

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছেন অপারেশন সিঁদুর চালানোর আগে পাকিস্তানকে অবহিত করেন তারা। তার এ স্বীকারোক্তির পর ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, হামলার আগে পাকিস্তানকে সবকিছু জানিয়ে দিয়ে ভারতের নিরাপত্তা ও সেনাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, আগে জানানোর কারণে পাকিস্তান কয়টা বিমান ধ্বংস করেছে। এক্সে তিনি লিখেছেন, হামলার আগে পাকিস্তানকে জানানো ছিল অপরাধ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন ভারত সরকার এটি করেছে। কে এটির অনুমোদন দিয়েছেন। রাহুল গান্ধী জয়শঙ্করের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়ে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে হামলার আগে পাকিস্তানকে অবহিত করা হয়।  তিনি বলেন, অপারেশনের শুরুতে আমরা পাকিস্তানকে একটি বার্তা পাঠিয়ে বলিÑ আমরা সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছি। এতে পাক সেনাদের দূরে এবং এতে জড়িত না হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা আমাদের এই ভালো পরামর্শ না নেওয়াকে বেছে নেয়। তবে ভারতের সরকারি প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) দাবি করেছে, জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে হামলার আগে হামলা সম্পর্কে জানানো হয়েছে, এমন কিছু বলেননি।

উটের সঙ্গে বসবাস

উটের সঙ্গে বসবাস

সৌদি আরবের উত্তর সীমান্তের মরুভূমিতে একপাল উট নিয়ে একাকী জীবনযাপন করছেন এক নারী। দেশটির সুউচ্চ আকাশচুম্বী ভবন এবং আধুনিক নগর জীবনের কোলাহল থেকে অনেক দূরে মরুভূমিতে তিনি ভিন্ন এক ধরনের পরিপূর্ণতা খুঁজে পেয়েছেন। ওই নারীর নাম রুকিয়া আল-রুওয়াইলি। তিনি মৃত স্বামীর স্মৃতি রক্ষায় তার রেখে যাওয়া উটগুলো নিয়ে মরুভূমিতে বেশ সুখেই বসবাস করছেন। ৭০ বছরের ওই বিধবা নারীর সঙ্গে উটের বন্ধনের গল্প আশপাশের অঞ্চলে বেশ প্রসিদ্ধ। সৌদি টেলিভিশন এমবিসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, সাহসী ওই নারী বলেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ২০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে এখানে ২০ বছর কাটিয়েছি। আল্লাহতায়ালা আমাদের কোনো সন্তান দান করেননি। তারপরও আমি এই পরিস্থিতিতে কৃতজ্ঞ।’ ‘এই উটগুলো এখন আমার পরিবার এবং সন্তান। তারা আমার কণ্ঠস্বর শোনে এবং সাড়া দেয়’ বলেন রুকিয়া আল-রুওয়াইলি। ‘যেমন একটি শিশু তার মায়ের কাছে ছুটে আসে, তেমনি এই উটগুলোও আমাকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমার কাছে ছুটে আসে এবং আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে।’ যে সমাজে বয়স্কদের প্রায়শই দূরে রাখা হয়, সেখানে রুকিয়ার গল্প অনেক সৌদিকে অনুপ্রাণিত করছে, যারা তার মধ্যে বিশ্বাস, ধৈর্য এবং ভাগ্যের প্রতি সন্তুষ্টির এক বিরল রূপ দেখে। তিনি শহুরে জীবনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আরামের জন্য আকুল নন, এমনকি তিনি আধুনিক প্রযুক্তির প্রতিও আকৃষ্ট নন। তার আত্মা মরুভূমির, যেখানে তিনি সূর্যের সঙ্গে উদিত হন এবং তার পশুপালের সঙ্গে চলাফেরা করেন। সৌদি এই নারী বলেন, ‘আমি কিং আবদুল আজিজ উট উৎসবের কথা শুনেছি, যেখানে উট নিলামে ৫০ থেকে ৮০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আমি প্রার্থনা করি যে, মহান আল্লাহ যেন আমাকে এমন একটি উট দেন যাতে আমি তা বিক্রি করে ৮০ লাখ টাকা পেতে পারি।’ মরুভূমির জীবন কেমন, এ প্রশ্নে তিনি হেসে বললেন, ‘অর্ধেক হতাশ, অর্ধেক আশাবাদী।’ রুকিয়া আল-রুওয়াইলি মরুভূমিতে নিজের পিকআপ ট্রাক চালান এবং সারাদিন উটের যতœ নেন। শহুরে জীবন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই মরুভূমিতে আমার স্বামীর স্মৃতি আমার মনে আছে। আমরা জীবনের সুন্দর দিনগুলো এখানে কাটিয়েছি। আমি এই স্মৃতি থেকে খুব বেশি দূরে যেতে চাই না। এই মরুভূমি আমার বাড়ি আর এই উটগুলো আমার সন্তান।’ রুকিয়ার জীবন কষ্টমুক্ত নয়। স্বয়ংসম্পূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও, একটি জরুরি প্রয়োজন রয়ে গেছে- পানি। এ জন্য তিনি একজন দয়ালু প্রতিবেশীর ওপর নির্ভর করেন, যে তার পানির ট্যাঙ্কটি পূরণ করে দেন। তাই মরুভূমির জীবনে তিনি নিজের মালিকানাধীন একটি পানির ট্যাঙ্কের স্বপ্ন দেখেন। ‘আমার কোনো পানির ট্যাংক নেই’, তিনি সহজভাবে বলেন। ‘যদি আল্লাহতায়ালার কোনো বান্দা আমাকে একটি পানির ট্যাঙ্কার পাঠায়, আমি তার জন্য দোয়া করব। কারণ মরুভূমিতে পানির তীব্র অভাব রয়েছে এবং এটি আমার ভীষণ প্রয়োজন।’  -গাল্ফ নিউজ

আসছে গতি ফেরানোর বাজেট

আসছে গতি ফেরানোর বাজেট

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এটিই প্রথম বাজেট। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রায় দেড়যুগ শাসনের অবসানের পর এবার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটি ‘কল্যাণমুখী’ বাজেট প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে বাজেটে সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য কমিয়ে এনে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে চায় বর্তমান সরকার। বিশেষ করে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিতে গতি ফেরানোর লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে নতুন বাজেটে। এ লক্ষ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়ানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা, নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরি, গ্রামীণ অবকাঠামো পুনর্গঠন, সামাজিক নিরাপত্তায় জোরদার, ধীরে ধীরে ঋণ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা এবং অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহণ না করার মতো কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ জুন আসছে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অর্থনীতিতে গতি ফেরানোর লক্ষ্য নিয়েই এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানিতে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলায় একটি গাইড লাইন থাকবে নতুন বাজেটে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে স্থায়ী কমিশন গঠন করার ঘোষণা আসতে পারে। এ ছাড়া রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ, এলডিসি গ্রাজুয়েশন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে প্রকল্প গ্রহণ, বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও নিজদেশের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ঠিক রাখা, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতি বেগবান করতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্যবিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের বিষয়গুলোতে নজর দেবে সরকার। সার্বিকভাবে আর্থ-সামাজিকভাবে বৈষম্য কমানোর যে তাড়না থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত হয়েছিল, তা পূরণে সব ধরনের উদ্যোগ থাকবে বাজেটে। বাজেট সামনে রেখে জুন মাসের মধ্যেই উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ দিচ্ছে ১৩০ কোটি ডলার। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে।  বিপুল পরিমাণ এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হলে ডলার সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করতে পারবে সরকার। এ ছাড়া সরকারের আয় বাড়াতে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা বিভাগ করা হয়েছে। এর ফলে সরকারের আয়কর ও ভ্যাট ও শুল্ক আদায় বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতিতে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল তা কেটে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে ধীরে ধীরে বর্তমান সরকার দেশি-বিদেশি ঋণ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে এত বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে যে, সেই ঋণের আসল এবং সুদের অর্থ পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। এ কারণে ঋণ করে আর কোন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিদেশ থেকে ধার করে টাকা এনে তা দিয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নীতি নেওয়া হবে না। নতুন অর্থবছরের বাজেটে অত্যন্ত বাস্তব ভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করব না। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার বাজেটটা বাস্তবায়ন করবে, এজন্য বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে বাজেট তৈরি করা হচ্ছে না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন করব অত্যন্ত বাস্তব ভিত্তিতে। এর পরও কিছুটা তো ডেফিসিট (ঘাটতি) থাকবে। সেটা পূরণ করতে নেগোশিয়েট (আলোচনা) করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা বলছি, সেটা মোটামুটি এখন সাকসেসফুল হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ বাজেট উপস্থাপন ॥ অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নতুন অর্থবছরের বাজেট চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামনে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টা শেষ পর্যন্ত বড় কোনো পরিবর্তন, সংযোজন বা বিয়োজনের নির্দেশনা না দিলে উপস্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটই শেষ পর্যন্ত জাতির সামনে তুলে ধরবেন উপদেষ্টা। তবে ২ জুন বাজেট পেশের আগে আরেক দফা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ওই সময় সামান্য কিছু পরিবর্তন বা সংযোজন বিয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাত এবার ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কি ধরনের অনিয়ম, অর্থের অপচয় এবং সুবিধাভোগীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এক্ষেত্রে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের তালিকা নতুন করে প্রণয়ন করা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তাসহ এ খাতে অন্তর্ভুক্ত  করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এ খাত থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বেশকিছু প্রকল্প বাদ যাবে। তবে আগামী অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের চলমান আটটি কর্মসূচিতে ভাতার পরিমাণ ও ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মা ও শিশু, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, বেদে এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভাতার পরিমাণ ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়বে ॥ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রায় দুইবছর পর এবার করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি সমর্থন করে সংগঠনটির প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান সম্প্রতি এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা সভায় করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। জানা গেছে, বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে এবার করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে।  এ ছাড়া আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে করপোরেট করের শর্ত শিথিল করা হচ্ছে। শর্ত শিথিল হলেও করপোরেট করের হার কমানো হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের  বেশিরভাগ অর্থনীতি এখনো ব্যাংকের লেনদেনের বাইরে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ব্যাংকনির্ভর নয়। বড় এবং মাঝারি কোম্পানির ক্ষেত্রে লেনদেনের শর্ত পূরণ করা সম্ভব হয় না।  সেজন্য তারা কর কমানোর সুবিধা নিতে পারছেন না। তাদের ভাষ্য, কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের আয় বা প্রাপ্তি এবং ব্যয় ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক লেনদেনের সীমারেখা নির্ধারণ করে দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের অনেক ব্যয়কে করের আওতায় ধরা হয়। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির  ক্ষেত্রে কর ২০ শতাংশ হলেও ক্ষেত্র বিশেষে বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয়। এ প্রসঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য করপোরেট কর কমানো হলেও কঠিন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে ব্যবসায়ীদের কোনো লাভ হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ লেনদেন এখনও ব্যাংকের বাইরে। যেমন একটি কারখানায় ১ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী আছে। তাদের  বেতন ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের টিএ, ডিএ বা তাদের পেছনে অন্য যেসব খরচ হয়, সেগুলো নগদে সম্পন্ন হয়। ফলে বড় আকারের এসব লেনদেন ব্যাংকের আওতার বাইরে থেকে যায়। এছাড়া সর্বনিম্ন চাঁদার হার আরও কমিয়ে আনার নতুন বিধান যুক্ত করে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পেনশনযোগ্য বয়স হলে জমাকৃত অর্থ এককালীন তোলার সুযোগ, প্রবাস ও প্রগতি স্কিমে সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার পরিমাণ কমানো, প্রগতি স্কিমে মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ বাড়ানো, আউটসোর্সিং সেবা চুক্তিতে নিয়োজিত কর্মীদের পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা ও সর্বজনীন  পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালুর প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া ইত্যাদি। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যাবে। আগামী অর্থবছর থেকে এসব সুবিধা কার্যকর করবে সরকার। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হচ্ছে স্থায়ী কমিশন ॥ বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ রোজার ঈদে বাজারে স্বস্তি ছিল সাধারণ মানুষের। এখন চালের দাম কমে আসায় বাজারে স্বস্তি ফিরে আসছে। সারাবছরই যাতে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেজন্য স্থায়ী কমিশন গঠনের ঘোষণা বাজেটে দেওয়া হতে পারে। নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সিন্ডেকটমুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চাল, ডাল, ডিম, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি নিত্যপণ্যে সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য নতুন একটি স্থায়ী কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ কমিশনের উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এ ধরনের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ভোক্তাদের সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এ  প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সম্প্রতি বলেন, আমরা নতুন কমিশন গঠনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মতামত পাওয়ার পর সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হবে। এর পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের এ ধরনের প্রস্তাবে সরকার যদি সম্মতি দিয়ে থাকে তাহলে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় ক্যাব। তিনি আরও বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে অবশ্যই সংস্কার হতে হবে। তবে শুধু একটি কমিশন করে দিলেই হবে না,  এ সম্পর্কিত আরও যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে কার্যকরী করতে হবে।   বাজেটের আকার কমিয়ে বাস্তবসম্মত করা হয়েছে ॥ অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে সস্তা বাহবা নিতে বিগত দিনগুলোতে বাজেট ফুঁলিয়ে ফাঁপিয়ে করা হয়েছে। তবে এবার আকার কিছুটা কমিয়ে বাস্তবসম্মত করা হয়েছে। বাজেট শতভাগ বাস্তবায়নের আশা করা করছে বর্তমান সরকার। এ কারণে বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে  রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গতবারের চেয়ে ছোট বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অর্থ মন্ত্রণারয়। ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের আকার ঠিক করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম। নতুন বাজেটের আকার কমলেও পরিচালন বা অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দের প্রাক্কলন করা হচ্ছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। তবে উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ কমিয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) চলতি অর্থবছরের ব্যয়ের পরিকল্পনা ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী বাজেটে যা ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকুচিত মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি ব্যয় কমানো এবং বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য করতেই আকার কমানো হচ্ছে।