
ছবি: সংগৃহীত
আমরা অনেকেই এখন সিভি বানানোর মতো ব্যক্তিগত কাজেও ভরসা রাখছি চ্যাটজিপিটির ওপর। এতে সময় বাঁচে, বানান ভুল হয় না ঠিকই; কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সিভির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর পুরোপুরি নির্ভর করা বিপজ্জনক।
আপনি নন, অন্য কেউ আপনার হয়ে কথা বলছে
চ্যাটজিপিটি দিয়ে তৈরি সিভিতে হয়তো চমৎকার শব্দ থাকবে, কিন্তু সেখানে থাকবে না আপনার নিজস্বতার ছাপ। আপনার দক্ষতা, গুণ বা কাজের অভিজ্ঞতা হয়তো ঠিকমতো উপস্থাপনই হবে না। ফলে, আপনি যোগ্য হয়েও বাদ পড়তে পারেন।
একই ছাঁচে তৈরি শত শত সিভি
চ্যাটজিপিটি অনেক সময়ই একই ধরনের তথ্য দিয়ে একই ছকে সিভি বানায়। ফলে সেটি হয়ে ওঠে গতানুগতিক, একঘেয়ে। এতে চাকরিদাতার চোখে পড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
যান্ত্রিক ভাষা, প্রাণহীন উপস্থাপনা
চ্যাটজিপিটির লেখায় মানবিক আবেগ বা ভাষার উষ্ণতা থাকে না। সেই লেখা পড়ে অনেকেই বুঝে ফেলেন—এটি প্রার্থী নিজে লেখেননি। এতে প্রার্থী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে।
তাহলে কী করবেন?
চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিন আইডিয়া নেওয়ার জন্য, কী কী তথ্য রাখা উচিত, এসব বুঝতে।
নিজের ভাষায়, নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে সিভি তৈরি করুন।
শেষে চ্যাটজিপিটির সাহায্যে বানান ও ব্যাকরণ ঠিক করে নিতে পারেন।
প্রয়োজনে চ্যাটজিপিটিকে আপনার সব তথ্য দিয়ে বলতে পারেন, "এসব দিয়ে একটি গুছানো সিভি বানাও"। তবে সেটি পাবার পর নিজে পড়ে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিন।
সিভি শুধু তথ্যের তালিকা নয়, এটি আপনার পরিচয়পত্র। সেটি যেন কৃত্রিম নয়, হোক আপনার মতোই স্বতন্ত্র, বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য।
আঁখি