
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘শাপলা’ প্রতীক কোনো রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, যদি ‘শাপলা’ প্রতীক অনুমোদন করতে হয়, তাহলে সেটি নাগরিক ঐক্যকেই দিতে হবে। তবে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই প্রতীকটি আর ব্যবহারযোগ্য থাকবে না।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সিইসি।
নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে অনেক আবেদন জমা পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা যাচাই-বাছাই শুরু করেছি। যাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই, তাদের ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ না করলে তারা নিবন্ধন পাবে না। আইন অনুযায়ী যোগ্যতাই এখানে বিবেচ্য।"
তিনি আরও জানান, মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের প্রায় ৫৭০০ কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছেন এবং অনেক আবেদন নিয়ে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন আসা শুরু হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক চাইলেও কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে বলে জানান সিইসি। তার ভাষায়, “কমিশনে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে নিই না, পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
সিইসি বলেন, "শাপলা প্রতীক নিয়ে আগে নাগরিক ঐক্য আবেদন করেছিল। তারা আমাদের জানিয়েছে, এনসিপির আগে তারা ‘শাপলা’ চেয়েছিল। কমিশনের নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, যারা আগে আবেদন করে, তাদের অগ্রাধিকার দিতে হয়। নাগরিক ঐক্য নিবন্ধিত দল, আর এনসিপি এখনও নিবন্ধন পায়নি।"
তবে কিছু আইনি জটিলতা এবং জাতীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের বিষয় মাথায় রেখে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শাপলাকে আর কোনো দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হবে না।
সিইসি বলেন, “যেহেতু ‘শাপলা’ প্রতীক দিলে নাগরিক ঐক্যকে দিতে হয়, আবার কিছু আইনি বিষয়ও রয়েছে, তাই কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই প্রতীক আর কাউকে দেওয়া হবে না। ‘শাপলা’ এখন থেকে আর কোনো দলের প্রতীক হিসেবে থাকছে না।”
শিহাব