ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রবাস

প্রবাস বিভাগের সব খবর

৩৬তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

৩৬তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো ৩৬তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১০-১২ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত চলমান এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ৪৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ৭৫৩টি বুথে অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশসমূহ হলো চীন, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, জাপান এবং ইরান। মালয়েশিয়া প্রোমাস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সোসাইটি এবং ই. এস. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ মেলা আয়োজন করে। ১১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন অ্যান্ড কমোডিটিস (Plantation and Commodities) মন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনি (YB Datuk Seri Johari bin Abdul Ghani)।

বাংলাদেশিদের গোল্ডেন ভিসা দেবে দুবাই

বাংলাদেশিদের গোল্ডেন ভিসা দেবে দুবাই

এত দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পেতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন হতো। তবে এখন ভারতীয় এবং বাংলাদেশিদের জন্য চালু হয়েছে একটি নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা, যেটি মূলত মনোনয়ন-ভিত্তিক। ফলে এ ভিসা পেতে আর ব্যবসা বা সম্পত্তিতে বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পেতে দেশটিতে কোনো ব্যবসা অথবা কমপক্ষে ২ মিলিয়ন দিরহাম (৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বেশি) মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হতো। তবে, নতুন ‘মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা নীতি’র আওতায় ভারতীয় ও বাংলাদেশিরা ১ লাখ দিরহাম (প্রায় ৩৩ লাখ টাকার কিছু বেশি) ফি দিয়ে দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ভারতীয় এ নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এ নতুন ভিসা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। রায়াদ গ্রুপ নামে একটি পরামর্শক সংস্থা ভারত ও বাংলাদেশে মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার প্রাথমিক রূপটি পরীক্ষা করার দায়িত্ব পেয়েছে। রায়াদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব এ নতুন ভিসাকে ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের জন্য একটি ‘সুবর্ণ সুযোগ’ বলে অভিহিত করেছেন। ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই পাইলট প্রকল্প সফলভাবে শেষ হওয়ার পর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য সিইপিএ (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) আওতাভুক্ত দেশগুলোতেও এই নতুন ভিসা চালু করা হবে। নতুন গোল্ডেন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া এবং অনুমোদনের বিষয়ে রায়াদ কামাল আইয়ুব বলেন, যারা এই ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড (অতীত ইতিহাস) যাচাই করা হবে। এর আওতায় অর্থপাচার এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড যাচাইও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও পরীক্ষা করা হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হলো, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজার এবং ব্যবসাগুলো যেন আবেদনকারীর কাছ থেকে সংস্কৃতি, অর্থ, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, স্টার্ট-আপ, পেশাদার পরিষেবা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কীভাবে উপকৃত হতে পারে, তা নির্ধারণ করতে পারে। রায়াদ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘এরপর রায়াদ গ্রুপ আবেদনপত্রটি সরকারের কাছে পাঠাবে, সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তর মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ আবেদনকারীদের দুবাই ভ্রমণ করতে হবে এবং তারা নিজ দেশ থেকে প্রাথমিক অনুমোদন নিতে পারবেন। রায়াদ জানান, আবেদনগুলো ভারত ও বাংলাদেশের ওয়ান ভাস্কো সেন্টার (ভিসা কনসিয়ারজ সার্ভিস কোম্পানি), তাদের নিবন্ধিত অফিস, অনলাইন পোর্টাল, অথবা তাঁদের ডেডিকেটেড কল সেন্টারের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে।