ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

জাতীয়

জাতীয় বিভাগের সব খবর

দাতাদের খোঁজ চলছে

দাতাদের খোঁজ চলছে

নাশকতা চালিয়ে দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করেছে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। দেশের তরুণ ব্যবসায়ী ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অর্থের জোগান দেওয়ার তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কয়েকটি দেশ থেকেও পাঠানো হয়েছে অর্থ। নাশকতাকা- বাস্তবায়নের জন্য পাঠানো সেসব অর্থ মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে সমন্বয়ক ও বাস্তবায়নকারীরা। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী অর্থদাতা, সমন্বয়ক এবং বাস্তবায়নকারীদের খোঁজে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা।  গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার ঘটনায় দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী এবং অর্থ জোগানদাতারা শনাক্ত হচ্ছে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের হয়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী দীর্ঘদিন ধরেই নাশকতাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। সবশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ধ্বংসাত্মক রূপ দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের জোগান দিয়েছে তারা।

সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী

সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়াবেন। প্রয়োজনে দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। তাদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।  বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কয়েকটি ওয়ার্ডের নেতাদের সঙ্গে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ওবায়দুল কাদের সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও আহতদের প্রতি সহানুভূতি জানান। সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নেবেন বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাশকতাকারীরা এখনো ঘাপটি মেরে আছে, আরও খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। দলের নেতাকর্মীদের তা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকতে হবে। সন্ত্রাসী কর্মকা- ও হত্যাকা-ের তদন্ত করে বিচার করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত তাদের পরিচিত আগুন সন্ত্রাস করেছে, দেশের অর্জন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চেয়েছে। বিএনপি সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। জনগণের মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। কোটা আন্দোলনে ভর করে বিরোধীরা যে ধ্বংসস্তূপ করেছে তা পরিদর্শন করে বিদেশীরা কম্পিত হয়ে গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে কোটা আন্দোলনের কুশীলব দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রদের ছিল ততক্ষণ কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ত্রাসী এনে ২০১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাস বাস্তবায়ন করেছে।  ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন? ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী করে বলতে পারেন বিএনপি আগুনসন্ত্রাস করে না! এই মিথ্যাচারের জন্য তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতু ভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় যে কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না, তারাই এসব করেছে।     সেতুমন্ত্রী বলেন, এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পুরো পূর্বপরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাসীদের ঢাকা এনে তা-ব করেছে। এদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। 

সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী

সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়াবেন। প্রয়োজনে দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। তাদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।  বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কয়েকটি ওয়ার্ডের নেতাদের সঙ্গে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ওবায়দুল কাদের সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও আহতদের প্রতি সহানুভূতি জানান। সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নেবেন বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাশকতাকারীরা এখনো ঘাপটি মেরে আছে, আরও খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। দলের নেতাকর্মীদের তা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকতে হবে। সন্ত্রাসী কর্মকা- ও হত্যাকা-ের তদন্ত করে বিচার করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে বিএনপি-জামায়াত তাদের পরিচিত আগুন সন্ত্রাস করেছে, দেশের অর্জন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চেয়েছে। বিএনপি সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। জনগণের মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। কোটা আন্দোলনে ভর করে বিরোধীরা যে ধ্বংসস্তূপ করেছে তা পরিদর্শন করে বিদেশীরা কম্পিত হয়ে গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে কোটা আন্দোলনের কুশীলব দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রদের ছিল ততক্ষণ কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ত্রাসী এনে ২০১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাস বাস্তবায়ন করেছে।  ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন? ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী করে বলতে পারেন বিএনপি আগুনসন্ত্রাস করে না! এই মিথ্যাচারের জন্য তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতু ভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় যে কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না, তারাই এসব করেছে।     সেতুমন্ত্রী বলেন, এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পুরো পূর্বপরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাসীদের ঢাকা এনে তা-ব করেছে। এদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। 

যে দেশে স্কুলে পরীক্ষা নেই

যে দেশে স্কুলে পরীক্ষা নেই

স্কুল এক আনন্দের নাম কিন্তু সেই আনন্দকে মাটি করে দেয় পরীক্ষা। পরীক্ষা মানেই পাস ফেলের হিসাব। ভালো ফল করার চিন্তায় অনেকেই ভুলে যায় খাওয়া-ঘুম। অনেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রজীবন সুখের জীবন যদি না থাকে এক্সামিনেশন। সত্যিকার অর্থেই এমন দেশ আছে। ফিনল্যান্ড এমন একটি দেশ। ইউরোপের অন্যতম নবীনতম দেশ হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছে সবুজে ঘেরা এই দেশটি। স্কুল থেকে দেওয়া হয় না বাড়ির কাজও। ফিনল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা সময় স্কুলে পার করে। দিনের হিসেবে চার ঘণ্টা। প্রতিটি ক্লাস শেষে খেলাধুলা এবং রিফ্রেশমেন্টের জন্য শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট সময় পায়। ফিনল্যান্ডের স্কুলগুলো শুরু হয় সকাল ৯টায় এবং দুপুরের দিকেই শেষ হয়ে যায় ক্লাস। ফিনল্যান্ডে স্কুল শিক্ষার্থীদের কাউকে টাকা দিতে হয় না সব খরচ সরকার বহন করে। এমনকি ফিনল্যান্ডে নেই কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফিনল্যান্ডের স্কুলে শিশুদের অঙ্ক, গ্রামার, বিজ্ঞান, ভাষা শেখানোর পাশাপাশি শেখানো হয় নানা ধরনের খেলাধুলা এবং রান্না। এ ছাড়া সংগীত ও কাব্যচর্চাও করানো হয়। ফিনল্যান্ডে শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়। তারা একজন অন্যজনকে সাহায্য করে। ১৬ বছরের আগে তাদের কোনো পরীক্ষায় বসতে হয় না। এর পরে কেউ চাইলে পরীক্ষা দিতে পারে। ফিনল্যান্ডে ১৯২১ সালে প্রণীত হয় সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা আইন। ১৯৭০ সালে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনে ফিনল্যান্ড। প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদকে ৬ থেকে ৯ বছরে নিয়ে যায়। ২০২১ সালে ফিনল্যান্ড বাধ্যতামূলক শিক্ষাকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পরিবর্ধন ও বিনামূল্যে করে দেয়। শুধু শিক্ষাই নয়, সুখী দেশের তালিকাতেও শুরুর দিকেই থাকে ফিনল্যান্ড। -এনডিটিভি