
ছবিঃ সংগৃহীত
কিডনি আমাদের দেহের পরিশোধন কেন্দ্র। প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার রক্ত পরিশোধন করে শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখে এ অঙ্গজোড়া। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কিডনি আক্রান্ত হলেও অনেক সময় তা বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। কিডনি ক্ষয় ধীরে ধীরে হয় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গও হয় অত্যন্ত অস্পষ্ট।
তবে কিছু গোপন লক্ষণ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আগে থেকেই বোঝা যেতে পারে— কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সময় থাকতেই চিকিৎসা না নিলে পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনি নষ্ট হওয়ার এমনই ৬টি গোপন লক্ষণ—
🔴 ১. ঘন ঘন প্রস্রাব অথবা কমে যাওয়া:
কিডনি নষ্ট হওয়ার প্রথম দিককার লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্রাবের পরিমাণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন। দিনে অনেকবার অথবা খুব কমবার প্রস্রাব হওয়া কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
🔴 ২. পা, মুখ বা চোখের নিচে ফোলাভাব:
কিডনি সঠিকভাবে ফিল্টার করতে না পারলে শরীরে পানি জমতে থাকে, যার ফলে পা, মুখমণ্ডল বা চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা যায়।
🔴 ৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা:
কিডনি যখন কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তখন শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকে। এতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়ে ক্লান্তি, অবসাদ ও দুর্বলতা দেখা দেয়।
🔴 ৪. প্রস্রাবে ফেনা বা রক্ত:
প্রস্রাবে অতিরিক্ত ফেনা হওয়া বা রক্ত দেখা গেলে তা হতে পারে প্রোটিন লিক বা কিডনি ফিল্টার নষ্ট হওয়ার লক্ষণ।
🔴 ৫. ঘুমে ব্যাঘাত ও শ্বাসকষ্ট:
রাতের বেলায় ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, দম বন্ধ হয়ে আসা, অথবা অস্বস্তি লাগা অনেক সময় কিডনির অসুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। কারণ শরীরে জমা টক্সিন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
🔴 ৬. চুলকানি ও ত্বকে শুষ্কতা:
কিডনি নষ্ট হলে শরীরে মিনারেল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে ত্বকে চুলকানি ও অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দেয়, যা অনেকেই সাধারণ স্কিন ডিজঅর্ডার ভেবে অবহেলা করে থাকেন।
✅ বিশেষ পরামর্শ:
এই উপসর্গগুলোর এক বা একাধিক যদি আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তবে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ কিডনি রোগ যত আগে ধরা পড়ে, চিকিৎসার সফলতা তত বেশি।
আলীম