ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

লাইফস্টাইল বিভাগের সব খবর

ঘড়ি ধরে দু’মিনিটের মধ্যে ঘুম আসবে, অনিদ্রা কাটাতে শিখে নিন মার্কিন ‘মিলিটারি ঘুম’-এর কৌশল

ঘড়ি ধরে দু’মিনিটের মধ্যে ঘুম আসবে, অনিদ্রা কাটাতে শিখে নিন মার্কিন ‘মিলিটারি ঘুম’-এর কৌশল

বিছানায় শুয়ে পড়ার পরেও এপাশ-ওপাশ করতে থাকেন, কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসে না? এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাজে আসতে পারে কটি কৌশল যা মার্কিন মুলুকে বেশ জনপ্রিয়। মাত্র দুই মিনিটে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য একটি জনপ্রিয় মিলিটারি কৌশল রয়েছে, যা মার্কিন সেনাবাহিনী তাদের পাইলটদের দ্রুত এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও ঘুমিয়ে পড়ার জন্য শিখিয়েছিল বলে জানা যায়। এই কৌশলটি আয়ত্ত করতে নিয়মিত অভ্যাসের প্রয়োজন, কিন্তু বলা হয় একটানা ৬ সপ্তাহ অনুশীলন করলে ৯৬% ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হয়।

চুলা বন্ধ করলাম তো? এই ৫ রাশির মানুষ সব সময় এই চিন্তায় ভোগে!

চুলা বন্ধ করলাম তো? এই ৫ রাশির মানুষ সব সময় এই চিন্তায় ভোগে!

বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ যাওয়ার পর হঠাৎ মনে হলো—“চুলা কি বন্ধ করলাম?” এই মুহূর্তের ছোট্ট আতঙ্ক অনেকেরই পরিচিত। কেউ কেউ আবার সেই চিন্তায় ফিরে যান বাড়িতে, কেবলমাত্র নিশ্চিত হতে। এই মানসিক উদ্বেগ আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি কাজ করে। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, কিছু নির্দিষ্ট রাশির মানুষ এই উদ্বেগে ভোগেন অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পাঁচটি রাশির জাতক-জাতিকারা এমন চিন্তায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন— ১) কর্কট (Cancer) কর্কট রাশির মানুষদের ঘর, পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি প্রবল ভালোবাসা এবং সুরক্ষাবোধ থাকে। তারা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সচেতন। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একধরনের শঙ্কা কাজ করে তাদের মধ্যে। এই কারণেই তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায়ই চিন্তিত হয়ে পড়েন—চুলা, গ্যাস কিংবা দরজা ঠিকঠাক বন্ধ হয়েছে তো? নিরাপত্তার ব্যাপারে এই অতিরিক্ত মনোযোগ অনেক সময় তাদের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করে। ২) কন্যা (Virgo) নিয়ম-শৃঙ্খলা ও নিখুঁততায় বিশ্বাসী কন্যা রাশির মানুষেরা প্রতিটি কাজের আগে ও পরে মানসিকভাবে একটি চেকলিস্ট তৈরি করে নেন। তারা বাড়ি ছাড়ার আগে একাধিকবার গ্যাস, লাইট, তালা পরীক্ষা করেন। তবুও মনে মনে সন্দেহ কাজ করে—“সত্যিই কি সব ঠিকঠাক করলাম?” এই অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক চাপ বাড়ায়। তবে এটিই তাদের যত্নবান ও সচেতন স্বভাবের প্রকাশ। ৩) মীন (Pisces) মীন রাশির জাতক-জাতিকারা কল্পনাবিলাসী ও সংবেদনশীল হন। তারা প্রায়ই নানা দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকেন এবং বাস্তব থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এই ভাবনার জগতে হারিয়ে গিয়ে তারা প্রায়ই ভুলে যান চুলা বন্ধ করেছেন কি না। এরপর শুরু হয় চিন্তা—“না জানি কি হয়েছে!” আর তখনই তারা নিরাপত্তার খাতিরে আবার ফিরতে পারেন বাড়ির দিকে। ৪) মিথুন (Gemini) চঞ্চল ও বহুমুখী চিন্তায় ভরা মিথুন রাশির মানুষেরা একসাথে অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততার ফাঁকে প্রায়ই কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেমন চুলা বন্ধ করা, খেয়াল থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। তারা হয়তো বেরিয়ে গিয়েই কয়েক মিনিট পরেই চিন্তায় পড়েন—“উফ! চুলা কি বন্ধ করেছি?” এটাই তাদের প্রাণবন্ত ও ভাবনাপ্রবণ স্বভাবের এক অনন্য দিক। ৫) মকর (Capricorn) জীবনে শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতাকে প্রাধান্য দেন মকর রাশির জাতক-জাতিকারা। তারা কোনো কিছুতেই অব্যবস্থা সহ্য করতে পারেন না। তাই চুলা, গ্যাস, তালা—সবকিছু একাধিকবার পরীক্ষা করেও মনে মনে অস্বস্তিতে ভোগেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তি পান না। ফলে প্রায়ই তারা ফিরে যান আবার যাচাই করতে। জ্যোতিষবিদদের মতে, এই উদ্বেগ বা বাড়তি সচেতনতা আসলে দুর্বলতা নয়, বরং সচেতন, যত্নশীল ও দায়িত্ববান মনোভাবেরই পরিচয়। তাই যদি কখনো দেখেন কেউ মাঝপথ থেকে ফিরে যাচ্ছেন চুলা পরীক্ষা করতে, তাহলে অবাক হবেন না। বরং নিজের দিক থেকেও একবার দেখে নিন, কারণ একটু বাড়তি সতর্কতা অনেক সময় বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।

সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ? মনোযোগ দিন এই ৭টি আচরণে

সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ? মনোযোগ দিন এই ৭টি আচরণে

সম্পর্কে বিশ্বাস কেবল বড় বড় প্রতিশ্রুতি বা রোমান্টিক কথায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি প্রতিদিনের ছোট ছোট আচরণ ও অঙ্গভঙ্গির মধ্য দিয়ে প্রকৃত রূপ পায়। সঙ্গীর প্রতিশ্রুতি নিয়ে যদি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কিছু সূক্ষ্ম অথচ গুরুত্বপূর্ণ আচরণ খেয়াল করাই হতে পারে সঠিক পথ। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে সম্পর্কের গভীরতা যাচাইয়ের সাতটি লক্ষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গঠিত। এগুলো সম্পর্কে সচেতন হলে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার সঙ্গী সম্পর্ক নিয়ে কতটা সিরিয়াস। ১. সময় দেওয়ার আন্তরিকতা যে সঙ্গী সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সে ব্যস্ত সময়ের মাঝেও আপনাকে সময় দেবে। এটি প্রমাণ করে, আপনি এবং সম্পর্কটি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ২. নিজস্ব জীবন ধরে রাখা একজন সুস্থ মনের মানুষ নিজের শখ, বন্ধুত্ব এবং স্বাধীনতা বজায় রাখে। এমন সঙ্গী নিজের জীবনে স্বচ্ছ ও ভারসাম্যপূর্ণ হন, এবং আপনাকেও সেই সুযোগ দেন। ৩. অনুভূতির স্বচ্ছতা কঠিন সময়েও যদি সঙ্গী খোলামেলা ভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি সম্পর্ক নিয়ে আন্তরিক। পারস্পরিক আবেগ প্রকাশ সম্পর্ককে মজবুত করে। ৪. ধারাবাহিক ব্যবহার প্রতিদিনের ছোট ছোট যত্ন ও মনোযোগই প্রকৃত ভালোবাসার নিদর্শন। যে সঙ্গী প্রতিনিয়ত সম্মান ও সহানুভূতি দেখান, তিনি সম্পর্কের প্রতি দায়িত্বশীল। ৫. স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে সমর্থন একজন প্রতিশ্রুতিশীল সঙ্গী শুধু আপনাকে ভালোবাসেন না, বরং আপনার ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও স্বপ্নে পাশে থাকেন। প্রয়োজনে উৎসাহ ও ত্যাগের মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করেন। ৬. ব্যক্তিগত সীমারেখার প্রতি সম্মান একজন সচেতন সঙ্গী আপনার স্বাধীনতা ও সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করেন। এটি বোঝায়, তিনি ভালোবাসার মাধ্যমে মুক্তি দিতে জানেন, দমন নয়। ৭. সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত সব সম্পর্কেই টানাপোড়েন থাকে। তবে যে সঙ্গী সমস্যার মুখোমুখি হতে রাজি, আলোচনা করে সমাধান খোঁজেন, তিনি সত্যিকারের দায়িত্ববান। মানসিক ও আবেগিক নিরাপত্তা পেতে এই আচরণগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। বড় শব্দের চেয়ে ছোট কাজগুলো অনেক বেশি বলিষ্ঠভাবে সম্পর্কের বাস্তবতা তুলে ধরে। সম্পর্কে বোঝাপড়া ও প্রতিশ্রুতির বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে লেখক ও বক্তা জাস্টিন ব্রাউনের একটি ভিডিও দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেখানে সম্পর্কের জটিলতা ও গভীরতা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

কারা বেশি কানে শোনে? মেয়েরা নাকি ছেলেরা?

কারা বেশি কানে শোনে? মেয়েরা নাকি ছেলেরা?

আমরা অনেকেই ধারণা করি, শ্রবণ ক্ষমতার দিক থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে সাম্প্রতিক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে ১৩টি দেশে পরিচালিত এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, নারীরা গড়ে পুরুষদের তুলনায় প্রায় দুই ডেসিবেল বেশি শব্দ শুনতে সক্ষম। অর্থাৎ, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় শব্দকে আরও স্পষ্টভাবে শুনতে পান। এই পার্থক্যের পেছনে মূল কারণ হিসেবে গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন কানের ভেতরের ‘কক্লিয়া’ নামক সর্পিলাকৃতির এক অংশের গঠনগত ভিন্নতা। কক্লিয়া শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করে তা মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। নারীদের ক্ষেত্রে এই অংশের গঠন এমনভাবে তৈরি, যা শ্রবণ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, হরমোনের পরিবর্তনের প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে ইস্ট্রোজেনের মতো নারীদের শরীরে থাকা হরমোনসমূহ শ্রবণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। তবে সবসময় এই অতিরিক্ত শ্রবণক্ষমতা সুবিধাজনক নাও হতে পারে। বিশেষ করে কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে অতিরিক্ত শব্দে নারীরা সহজেই বিরক্ত বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন। ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ শব্দের পরিবেশে বসবাস হৃদযন্ত্রের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণায় আরও বলা হয়, শ্রবণ ক্ষমতা কেবল শারীরিক গঠন দিয়ে নির্ধারিত হয় না, এর সঙ্গে পরিবেশ, অভ্যাস ও জীবনধারারও সম্পর্ক রয়েছে। তাই গবেষকরা নারীদের জন্য শ্রবণ স্বাস্থ্যে আলাদা যত্ন ও সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার