ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

ছাত্রদল নেতাকে ফাঁসাতে অনুদানের বাছুর বিক্রি , অতঃপর....

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ৫ জুলাই ২০২৫

ছাত্রদল নেতাকে ফাঁসাতে অনুদানের বাছুর বিক্রি , অতঃপর....

ছবি: জনকণ্ঠ

সরকারি অনুদানের একটি বকনা বাছুর সুবিধাভোগী নিজেই বিক্রি করে ছাত্রদল নেতা কর্তৃক জোরপূর্বক ওই বাছুর বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এলাকায় অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে পুরো উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

পরবর্তীতে স্থানীয়দের চাঁপের মুখে উপায়অন্তুর না পেয়ে বিক্রি করা বকনা বাছুর নিজ বাড়িতে ফেরত আনতে বাধ্য হয়েছেন সুবিধাভোগী জালাল হাওলাদার। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের। 

 

 

আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মৎস্যজীবীদের জন্য সরকারি অনুদানেপ্রাপ্ত বকনা বাছুরটি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী জালাল হাওলাদারের বাড়িতে রয়েছে। তবে জালাল হাওলাদারকে বাড়িতে না পেয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারিভাবে আমাকে দেওয়া বাছুর আমার কাছেই আছে। কেউ আমার কাছ থেকে তা নেয়নি। গ্রামের একটি চক্র জোরপূর্বক আমাকে দিয়ে মিথ্যে অপপ্রচার করিয়েছেন।

বকনা বাছুরটি অন্যত্র বিক্রি করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি (জালাল) বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা বন্ধ করে রাখেন।


বানিয়াশুরী গ্রামের বাসিন্দা মো. হোসেন শরীফ জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন পূর্বে অর্থের বিশেষ প্রয়োজনে জালাল সরদার আমার কাছে বাছুরটি বিক্রি করেছিলেন। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেলে এসে সে (জালাল) অনুরোধ করে টাকা ফেরত দিয়ে বাছুরটি নিয়ে গেছেন।

 

 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি বলেন, দেশি প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া জালাল হাওলাদারের বকনা বাছুরটি গৌরনদী পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হীরা রহমান সাদ্দাম জোরপূর্বক নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে বলে এলাকার কতিপয় লোক আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে অভিযোগের কোন সত্যতা মেলেনি।


এ ব্যাপারে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হীরা রহমান সাদ্দাম বলেন, এলাকার কতিপয় ব্যক্তির সাথে জমিজমা নিয়ে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরধরেই আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজনের প্ররোচনায় জালাল হাওলাদার তার বকনা বাছুরটি অন্যত্র বিক্রি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার করেছিলো। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর চাঁপের মুখে তিনি (জালাল) বিক্রি করা বকনা বাছুরটি বাড়িতে ফেরত আনতে বাধ্য হয়েছেন।

×