
ছবি: প্রতীকী
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার টানা ১২ দিনের সংঘাত শেষ হলেও এর ক্ষয়ক্ষতি ও খরচ নিয়ে আলোচনা থামেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের দিকে এই সময়ের মধ্যে মোট ৫৩০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানি বাহিনী। এর মধ্যে ২২২টি প্রতিহত করতে সক্ষম হয় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির উপর ইরানের মোট ৪২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করা হয় শত শত কেজি ওজনের ওয়ারহেড এবং তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রে ছিল ক্লাস্টার বোমা, যেগুলোতে প্রতিটি ছোট ছোট বোমলেটের ওজন ছিল সর্বোচ্চ ৭ কেজি।
ইসরায়েল দাবি করেছে, এসব হামলার মধ্যে ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে। তবু আকাশ প্রতিরক্ষায় ইসরায়েল ৮৬ শতাংশ সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়। এতে অন্তত ২২২টি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করা হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও এই পরিসংখ্যান আনুমানিক এবং সামরিক কৌশলগত কারণে সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেনি ইসরায়েল।
জানা গেছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে প্রায় ১৯৫টি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এর মধ্যে ছিল ৮০টি অ্যারো-থ্রি, ২২টি অ্যারো-টু এবং ৯৩টি থাড ইন্টারসেপ্টর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব হামলার ফুটেজ পাওয়া যায়নি, সেসব ক্ষেত্রেও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ব্যবহৃত হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—এই প্রতিরোধে কত খরচ হয়েছে? প্রতিটি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে ব্যয় হয়েছে গড়ে ২০ লাখ মার্কিন ডলার। ফলে পুরো ১২ দিনের সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকার সমান।
এছাড়াও, ইসরায়েলি দাবি অনুযায়ী, ইরানের হামলায় দেশটিতে ধ্বংস হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার ভবন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=_ZWCPLI8lgg
রাকিব