
ছবি: সংগৃহীত
চীনের অযাচিত হস্তক্ষেপে তিব্বতের ৫০০ বছরের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আজ হুমকির মুখে। এমন প্রেক্ষাপটে অবশেষে মুখ খুলেছেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা চতুর্দশ দালাইলামা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তার উত্তরসুরী নির্ধারণ করা হবে তিব্বতের শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতেই—চীনের অনুমোদিত প্রক্রিয়ায় নয়।
দালাইলামা পরম্পরার সূচনা হয় ১৫শ শতকে। তিব্বতীদের বিশ্বাস, প্রতিটি দালাইলামা মৃত্যুর পর পুনর্জন্মের মাধ্যমে একটি শিশুর দেহে ফিরে আসেন। এভাবেই ১৩তম দালাইলামা থুপতেন গাছসর মৃত্যুর তিন বছর পর, ১৯৩৫ সালের ৬ জুলাই তিব্বতের একটি কৃষক পরিবারে জন্ম নেন লামো থোনডুপ। মাত্র দুই বছর বয়সে, ১৯৩৭ সালে, তাকে ঐতিহ্যবাহী নিয়ম মেনে বর্তমান (চতুর্দশ) দালাইলামা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এই প্রথা অনুসারে, নির্বাচিত শিশুদের সামনে প্রাক্তন দালাইলামার ব্যবহৃত কিছু বস্তুসহ অন্যান্য জিনিস রাখা হয়। যেই শিশু এসবের মধ্যে প্রাক্তন দালাইলামার জিনিসগুলোকে ‘নিজের’ বলে শনাক্ত করেন, তাকেই পরবর্তী দালাইলামা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। লামো থোনডুপও দুই বছর বয়সে এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সেসব বস্তু দেখেই বলেছিলেন—“এটি আমার, এটি আমার।”
চীনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই দালাইলামার উত্তরসূরি নির্বাচনের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দালাইলামা জানিয়ে দিয়েছেন, এই আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বরদাস্ত করা হবে না। তার ভাষায়, “আমার পুনর্জন্মের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত একমাত্র আমার এবং তিব্বতের ঐতিহ্যের উপর নির্ভরশীল।”
ছামিয়া