ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজনীতি

রাজনীতি বিভাগের সব খবর

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। শনিবার দুপুরে সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ কর্মসূচি শুরুর আগে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।  কারাগারে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নিপীড়ন-নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে সেটা আর সহ্য করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, যুদ্ধ জয় করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। অবশ্যই তারা সরকারের পতন ঘটাবে। মির্জা আব্বাস বলেন, আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে এবং বাড়বে। আমরা এটাই শুধু জনগণকে জানাতে চাই এ অবস্থার অবসানে আন্দোলন করতে হবে। আমরা বলতে চাই, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। সাময়িকভাবে আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, কিন্তু সার্বিকভাবে আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। আজ না হয় কাল জনতার হাতে এই সরকারের পতন ঘটবেই।  মির্জা আব্বাস বলেন, মুসোলিনি-স্ট্যালিনরা বহুদিন রাজত্ব করেছে। কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারেনি, পারবেও না। তিনি বলেন, আজকে যে সরকার আছে এটাকে সরকার বলা যাবে না। এরা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, চুরি করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে  দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

হাত মেলানো, লিফলেট  বিতরণেই চলছে  প্রচার

হাত মেলানো, লিফলেট বিতরণেই চলছে প্রচার

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রচার এখনো তেমন জমে ওঠেনি। প্রতীক প্রাপ্তির পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিফলেট বিতরণ, হাত মিলানোসহ কর্মকান্ড চালালেও নগরীতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোটের যে আমেজ তা এখনো সৃষ্টি করতে পারেননি প্রার্থীরা। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচন শুধু একজন মেয়র পদের উপনির্বাচন। এতে ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলর পদে নির্বাচন না থাকায় শুধু মেয়র পদে চার প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এখন পর্যন্ত প্রচার সীমাবদ্ধ রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দের দু’দিন হলেও নগরীতে প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানারের প্রচারও তেমন জমে ওঠেনি। তবে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে সাধারণ ভোটাররাও উদ্দীপ্ত হবেন। তখন ভোটের মাঠের পরিবেশ আরও চাঙ্গা হয়ে ভোটের আবহ সৃষ্টি হবে। আগামী ৯ মার্চ এ সিটির উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।