ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ আওয়ামী লীগের হরতাল

ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ আওয়ামী লীগের হরতাল

ঘোষিত সর্বাত্মক হরতালেও স্বাভাবিক ছন্দেই চলেছে রাজধানী ঢাকা। আওয়ামী লীগের ডাকা এই কর্মসূচি বাস্তবে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। রাস্তাঘাটে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক, জনজীবন ছিল নির্বিঘ্ন। বরং দিনভর রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে, যা স্পষ্টতই প্রমাণ করে হরতালের প্রতি জনসাধারণের অনাগ্রহ। সকাল থেকেই ফেসবুকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও, বাস্তবতায় হরতালের কোনো চিহ্ন মেলেনি। মাঠ পর্যায়ে দলটির কোনো কার্যক্রম বা অবস্থান চোখে পড়েনি। সাধারণ মানুষও হরতালের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারেননি। একজন পথচারী জানান, "আমি জানি না কোনো হরতাল চলছে কি না। সব গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলছে, কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।" রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিবর্তিত হয়েছে, ফলে এমন কর্মসূচি সফল হওয়ার সুযোগ নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার থাকলেও, বাস্তবে হরতাল কার্যকর হয়নি বলেই মত সাধারণ মানুষের। ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/yRyRq_WM-eM?si=oW9Mj8LCx5uqYMFa

এমিটি ইন্টেরিয়রের ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন

এমিটি ইন্টেরিয়রের ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন

স্বনামধন্য ইন্টেরিয়র ফার্ম এমিটি ইন্টেরিয়র সলিউশন এন্ড আর্কিটেক্টসের ৯ম বর্ষে পদার্পন ও ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানির পরিচালক নরুল ইসলামের বুলবুলের সঞ্চালনায় এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এমিটি ইন্টেরিয়র সলিউশন এন্ড আর্কিটেক্টসের ক্লাইন্ট ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রানালয়ের বিআইডিএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. বদরুন নেছা আহমেদ তামান্ন। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানী ওনারস্ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ভূইয়া। এছাড়াও মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. আলম শরীফ, বিডকোয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম রেজাউল হক, এডভোকেট খোরশেদ আলম, বিডকোয়ার সেক্রেটারী মো. কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান, মো. সোহেল আহমেদ, এম এ মান্নান, মো. বাদল সরদার, মো. নাজমুল হক খান। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি বলেন এমিটি ইন্টেরিয়র সলিউশন এন্ড আর্কিটেক্টস লিঃ গ্রাহকের আস্থার প্রতিফলন স্বরুপ কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ করে যাচ্ছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কর্মস্থান সৃষ্টি করছে যা দেশের বিকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখছে। সবাই আশা প্রকাশ করেন এমিটি ইন্টেরিয়র সলিউশন এন্ড আর্কিটেক্টস লিঃ গ্রাহকের আস্থার উদাহরন তৈরী করুক।

adbilive
adbilive
কুয়েটে ছাত্রদলের কার্যক্রম স্থগিতের কথিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া

কুয়েটে ছাত্রদলের কার্যক্রম স্থগিতের কথিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে—এমন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, "এটি গোপন সংগঠনের অকাজ এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও ভিত্তিহীন।" প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি কোথা থেকে এসেছে বা কারা এটি ছড়িয়েছে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান এবং ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্কের বরফ গলাতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার শহরটির দিরিয়াহ প্রাসাদে চার ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে রাশিয়ার নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এছাড়াও ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকোভ। ৭২ বছর বয়সী ল্যাভরভ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। আয়োজক দেশ সৌদি আরবের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসায়েদ বিন মোহাম্মদ আল-আইবান উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবারের বৈঠক শেষ হওয়ার পর রাশিয়া জানায়, মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।  বৈঠকের পরদিন আজ বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সৌদি আরব সফরের কথা রয়েছে। তবে তিনি রুশ-মার্কিন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন কি না তা আপাতত স্পষ্ট হওয়া যায়নি।  রুশ কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেন, অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক সংলাপ শুরু হয়েছে।

বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা যেসব সূক্ষ্ম লক্ষণ সবসময় খেয়াল করেন

বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা যেসব সূক্ষ্ম লক্ষণ সবসময় খেয়াল করেন

বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের তুলনায় চারপাশের ঘটনাগুলো একটু ভিন্নভাবে দেখেন। তারা শুধু কথার অর্থ বোঝেন না, বরং মানুষের ছোটখাট অঙ্গভঙ্গি, কণ্ঠস্বরে সামান্য পরিবর্তন বা দৃষ্টির অভিমুখের মতো সূক্ষ্ম বিষয়গুলোও খেয়াল করেন। বছরের পর বছর ধরে, হ্যাক স্পিরিট-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং মাইন্ডফুলনেস অনুরাগী হিসেবে আমি লক্ষ্য করেছি, সত্যিকারের অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিরা মানুষের আচরণের নির্দিষ্ট কিছু নিদর্শন অনুধাবন করতে পারেন। একবার আপনি এসব লক্ষণ খেয়াল করতে শুরু করলে, মানুষকে নতুন এক দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে পারবেন। তাহলে, বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা মানুষের কোন বিষয়গুলো সহজেই বুঝে ফেলেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক: ১) মানুষ কিভাবে ক্ষমতাহীনদের সঙ্গে আচরণ করে কোনো ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে কেমন, তা বোঝার অন্যতম উপায় হলো তিনি সেইসব মানুষকে কেমন ব্যবহার করেন, যারা তার কোনো উপকারে আসতে পারবে না। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষ্য করেন, কেউ ওয়েটার, ক্যাশিয়ার বা নিম্নপদস্থ কর্মীদের প্রতি কেমন আচরণ করছে। তারা কি বিনয়ী এবং শ্রদ্ধাশীল, নাকি উদ্ধত এবং অবজ্ঞাসূচক? যে কেউ সুবিধা পাওয়ার আশায় ভদ্রতা দেখাতে পারে, কিন্তু প্রকৃত উদারতা তখনই প্রকাশ পায় যখন কোনো স্বার্থ জড়িত থাকে না। যারা শুধুমাত্র সুবিধাজনক সম্পর্কেই সদয় আচরণ করেন, তাদের প্রকৃত চরিত্র বোঝার জন্য এটি একটি বড় ইঙ্গিত। ২) কেউ সত্যি শুনছে নাকি শুধুই বলার সুযোগ খুঁজছে কথোপকথনের সময় কেউ কি মনোযোগ সহকারে শুনছে, নাকি কেবল তার বলার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে—এটি বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সহজেই বুঝতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ অন্যের কথা শোনার সময় নিজের জবাব কী হবে তা নিয়েই ভাবতে ব্যস্ত থাকে। সত্যিকারের শ্রোতা হওয়া মানে শুধু শব্দ শোনা নয়, বরং সম্পূর্ণ উপস্থিত থেকে মনোযোগ সহকারে শোনা এবং প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা। ৩) মানুষ কোন আবেগ লুকানোর চেষ্টা করছে সবাই সব সময় তাদের প্রকৃত অনুভূতি প্রকাশ করে না, কিন্তু তাদের শরীরের অঙ্গভঙ্গি প্রায়ই সত্যিটা বলে দেয়। ক্ষুদ্র মুখভঙ্গি, জড়তা, বা চোখের হালকা পরিবর্তন—এগুলো বলে দিতে পারে কেউ আসলে কী অনুভব করছে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এই সূক্ষ্ম লক্ষণগুলো সহজেই ধরতে পারেন এবং সেখান থেকে মানুষের প্রকৃত মানসিক অবস্থা বুঝতে পারেন। ৪) কার ইগো বা আত্মগরিমা কতটা শক্তভাবে গেঁথে আছে অনেক মানুষ নিজের অহং বা আত্মগরিমার সঙ্গে এতটাই সংযুক্ত যে তারা ভুল স্বীকার করতে চায় না, সব সময় প্রশংসা পেতে চায় বা যেকোনো সমালোচনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ মনে করে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা খুব দ্রুত বুঝতে পারেন, কেউ কি নিজের অহংকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, নাকি বাস্তবতা মেনে নিয়ে শিখতে চায়। প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা মানে সব সময় সঠিক হওয়া নয়, বরং শিখতে ও বদলাতে প্রস্তুত থাকা। ৫) কে সত্যিকার অর্থে সাফল্যে আনন্দিত হয় সবাই আপনার সাফল্যে আন্তরিকভাবে খুশি হয় না। অনেকে বাহ্যিকভাবে অভিনন্দন জানালেও ভেতরে লুকিয়ে রাখে ঈর্ষা কিংবা প্রতিযোগিতার মনোভাব। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এই পার্থক্য অনুধাবন করতে পারেন। তারা বুঝতে পারেন, কারা সত্যিকারের সমর্থন করছে এবং কারা শুধু সামাজিক সৌজন্যতা দেখাচ্ছে। ৬) মানুষ ভুল করলে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় কেউ ভুল করলে তার প্রতিক্রিয়াই বলে দেয় সে কতটা আত্মবিশ্বাসী এবং মানসিকভাবে পরিণত। কেউ কেউ ভুল স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করে, অজুহাত দেয়, কিংবা অন্যের ওপর দোষ চাপায়। আবার কেউ কেউ সহজেই স্বীকার করে নেয় এবং ভুল থেকে শেখার মানসিকতা রাখে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা খুব দ্রুত বুঝতে পারেন, কারা সত্যিকারের আত্মবিশ্বাসী এবং কারা শুধুমাত্র নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে চায়। ৭) ছোটখাটো কোন বিষয়গুলো মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলে সব অস্বস্তির প্রকাশ বড় নয়। কারও শরীরের হালকা টান, হাত-পা নাড়াচাড়া, চোখ ফিরিয়ে নেওয়া কিংবা কণ্ঠস্বরের সূক্ষ্ম পরিবর্তন বলে দিতে পারে সে মানসিকভাবে অস্বস্তি বোধ করছে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এই সূক্ষ্ম সংকেতগুলো বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী কথোপকথন পরিচালনা করতে পারেন, যাতে অপর ব্যক্তি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ৮) কে অন্যদের মূল্যায়ন করে এবং কে শুধু নিজের কথাই ভাবে কিছু মানুষ আছেন যারা সবসময় অন্যদের গুরুত্ব দেন, তাদের কথা শোনেন এবং সহানুভূতি প্রকাশ করেন। আবার অনেকেই কেবল নিজেদের কথাই বলেন এবং অন্যদের উপস্থিতি অবহেলা করেন। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সহজেই বুঝতে পারেন, কারা প্রকৃত অর্থে অন্যদের মূল্যায়ন করে এবং কারা কেবল নিজেদের স্বার্থের দিকেই মনোযোগী। ৯) কার কথা ও কাজের মধ্যে মিল রয়েছে অনেকেই সুন্দর কথা বলেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাদের আচরণ ঠিক তার বিপরীত হয়। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা শুধু মানুষের কথায় বিশ্বাস করেন না, তারা কাজের মাধ্যমে যাচাই করে নেন। কেউ যদি সত্যিই সৎ ও সহানুভূতিশীল হয়, তবে তার কথার সাথে কাজের মিল থাকবে। বেশিরভাগ মানুষ জীবনে নানা সংকেত উপেক্ষা করেই চলাফেরা করেন। কিন্তু যারা সত্যিকার অর্থে বুদ্ধিমান, তারা এই সূক্ষ্ম ইঙ্গিতগুলো ধরতে পারেন—যা অন্যদের প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে সাহায্য করে।