ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

adbilive
adbilive
ড্র দিয়ে টেস্টের নতুন চক্র শুরু টাইগারদের

ড্র দিয়ে টেস্টের নতুন চক্র শুরু টাইগারদের

বাংলাদেশ : ৪৯৫ ও ২৮৫/৬ডি, শ্রীলঙ্কা : ৪৮৫ ও ৭২/৪ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পুরো সময়টাই চালকের আসনে ছিল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ইনিংসে ৪৯৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল টাইগাররা। টার্গেটে খেলতে নেমে ভালোই জবাব দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। গলে দ্বিতীয় ইনিংসেও শান্তর অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। আর এই সেঞ্চুরিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দিনের খেলা ৫ ওভার বাকি থাকতেই শান্ত বাস্তবতা মেনে করমর্দন করলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার  সঙ্গে। সবাই তাকে অনুসরণ করলেন। ফলে ড্র দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করল বাংলাদেশ। শনিবার শেষদিনে ৩ ঘণ্টা বৃষ্টির পর অবশেষে একযুগ ও ২৬ টেস্ট পর গলে এই প্রথম জিততে পারেনি কোনো দল। এখানে সবশেষ ড্রয়ের দেখা মিলেছিল ২০১৩ সালে। সেই ম্যাচও ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার। বাংলাদেশের দেওয়া ২৯৬ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে এক সেশনের কিছুটা বেশি সময় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ৩২ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৭২ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। এর ফলে নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শুরুটাও হলো ড্র দিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর ৫ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের স্কোর হয়ে যায় ৭৯ ওভারে ৬ উইকেটে ২৪৯ রান। নিজের পরপর দুই ওভারে থারিন্দু রতœায়েকে নিয়েছেন লিটন দাস (৩) ও জাকের আলী অনিকের (২) উইকেট। ১৯০ বলে সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখালেন শান্ত। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা ১৬ তম ক্রিকেটার হলেন শান্ত। টেস্টে বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে প্রথম এই রেকর্ড গড়লেন তিনি। সঙ্গে জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। সেঞ্চুরির পর শান্ত আরও বিস্ফোরক হয়েছেন। ১৯৯ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তিনটি ছক্কাই মেরেছেন সেঞ্চুরির পর। ৮৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ২৯৬ রানের লক্ষ্যে নেমে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে উদারাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। এরপর সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পাথুম নিশাংকাকে ফেরান নাঈম হাসান। চা বিরতির পর ম্যাথুসকে মুমিনুলের ক্যাচে পরিণত করেন তাইজুল। শেষ ইনিংসে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি ম্যাথুস। ১১৮ টেস্ট খেলে ইতি টানলেন ৮ হাজার ১৬৭ রান নিয়ে। ম্যাথুসের পর দিনেশ চান্দিমালকে বোল্ড করেন তাইজুল। এরপর মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করেন কামিন্দু মেন্ডিস ও ডি সিলভা। দুজনে অপরাজিত থাকেন ১২ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন তাইজুল।

ঈদের পরের সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১৫০ কোটি

ঈদের পরের সপ্তাহে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১৫০ কোটি

টানা আট সপ্তাহ পতনের পর ঈদের ছুটির সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫০ কোটি টাকার বেশি। আর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় ৫০ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান। আর দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে, গত ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদের পর থেকে শেয়ারবাজারে টানা ৮ সপ্তাহ দরপতন হয়। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে আসে। শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়ছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক বাড়ল। তবে এর আগে ৮ সপ্তাহ পতনের মধ্যে থাকে শেয়ারবাজার। টানা ৮ সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ২৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫৮২ পয়েন্ট। টানা ৮ সপ্তাহ পতনের পর ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মেলে। ওই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও অন্য সূচক কমে। তবে দ্বিতীয় ও চতুর্থ কার্যদিবসে সবকটি মূল্য সূচক বাড়ে। আর তৃতীয় ও পঞ্চম কার্যদিবসে সবকটি মূল্যসূচক কমে। উত্থান-পতনের এই বাজারে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৪টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৯টির। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলস্বরূপ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৭১ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এতে দুই সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ল ১১৬ পয়েন্ট। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৭ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৪১ কোটি ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ৩৫ শতাংশ।