ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

Hotel ad
Hotel ad
adbilive
adbilive
শেখ হাসিনা দেশকে পঙ্গু করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল: কর্নেল অলি

শেখ হাসিনা দেশকে পঙ্গু করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল: কর্নেল অলি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম অভিযোগ করেছেন যে শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে পঙ্গু করে দিয়েছেন। তার দাবি, শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন দেশকে দুর্বল করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করতে। এক রাজনৈতিক সমাবেশে কর্নেল অলি বলেন, “আমরা ভারতের দালাল মুক্ত বাংলাদেশ চাই, সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ চাই, চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ চাই। শেখ হাসিনা পালানোর আগে দেশকে সম্পূর্ণভাবে দুর্বল করে দিয়েছেন, যাতে তার অনুপস্থিতিতে কেউ আর দেশকে পুনরুদ্ধার করতে না পারে।” তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং ভারতের সামরিক বাহিনী, বিশেষ করে বিএসএফ, ওই হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা রেখেছিল। তার দাবি, সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে ভারতের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সম্প্রতি দেশব্যাপী ছাত্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের আন্দোলনের ফলে ভারতীয়রা বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে। আমরা দেখেছি, তারা আতঙ্কে পালিয়ে গেছে। কারণ, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস সেক্টরে ভারতের দালালরা নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। যতদিন না এদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা যাবে, ততদিন বাংলাদেশ এগোতে পারবে না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। আদালতে সুবিচার পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সরকারের নির্দেশে কাজ করছে। “জেলা কোর্টগুলো কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। থানাগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে, কারণ অধিকাংশ ওসি হাসিনার অনুগত সেবক হিসেবে কাজ করছিল। এই প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার আশা করা যায় না,” বলেন কর্নেল অলি। তিনি আরও বলেন, “দেশে গণহত্যাকারীদের বিচার হয়নি। আমাদের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে করা ১৬-১৭ হাজার মিথ্যা মামলা এখনো প্রত্যাহার হয়নি। আমরা কি তাহলে এক অরাজক রাষ্ট্রে বাস করছি?” শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে। সর্বশেষ পরীক্ষায় শতকরা ৭০-৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চাকরি ও উন্নয়নের সুযোগ পাবে না।” তিনি সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের দালালদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। নইলে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে না।” ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/DMNCBoAzv6Y?si=AKK6D7e53kFAnCx4

জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে: ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে: ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

জামায়াতে ইসলামী মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রথমে মানবিক মানুষ তৈরি করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষ তৈরির কাজ করছে। সেজন্যই জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য নৈতিক ও মানবিক নেতৃত্ব। তিনি বলেন, নৈতিকতার অভাবে মানুষ অপকর্মে লিপ্ত হয়, ফলে সমাজে অশান্তি বিরাজ করে। যার কারণেই আজ শিশু, কিশোরী ও বয়োবৃদ্ধ নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরণ করার পরও আওয়ামী লীগ সরকার সেই বিচার না করায় সারাদেশে ধর্ষণের মতো ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ ধর্ষণের বিচার না করে ধর্ষণকে সমর্থন করছে— এটি তারই দৃষ্টান্ত। আজ রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাউফল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ববর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা "উই ওয়ান্ট জাস্টিস" (ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার) দাবিতে জীবন ও রক্ত দিয়েছে। তাদের জীবন ও রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বিগত ৫৪ বছরে মানুষের তৈরি আইনে বাংলাদেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, বৈষম্য দূর হয়নি। বরং বৈষম্য সৃষ্টি করে ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারে লিপ্ত ছিল। স্বজনপ্রীতি ও দলীয় বিবেচনায় কোনো অপরাধীর বিচার হয়নি। এতে স্পষ্ট যে, মানুষের তৈরি আইনে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি এবং হবেও না। ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ উপস্থিত বাউফলবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত সময়ে বাউফল ছিল এক নেতা ও এক দলের মুষ্টিতে বন্দী, কারণ মানুষের তৈরি আইনে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে। আগামীতেও যদি মানুষের তৈরি আইনের পক্ষে ভোট দেওয়া হয়, তবে জনগণ এক নেতা ও এক দলের মুষ্টিতে বন্দী থাকবে এবং শোষিত হবে— যা আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে। এরই প্রতিচ্ছবি ইতোমধ্যে সারাদেশে দেখা যাচ্ছে। তাই নতুন বাংলাদেশ কুরআনের আইনে পরিচালিত হলে মানুষ তার অধিকার ও মর্যাদা ফিরে পাবে। তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে ‘কাঙ্ক্ষিত বাউফল, প্রত্যাশিত নেতৃত্ব’ স্লোগানে বাউফলের প্রতিটি মানুষ এলাকার উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে পারবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় বাউফলের সাড়ে চার লাখ জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। কোনো একক নেতৃত্ব বাউফলে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। নুরে মোহাম্মদীয় (সা.) হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ লোকমান হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা শায়খ জামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বাউফল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা ছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বাউফলের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

মিশিগানে বাংলা প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত

মিশিগানে বাংলা প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা প্রেসক্লাব মিশিগানের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ওয়ারেন সিটিস্থ বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ কারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে এই পার্টিতে অংশ নেন ক্লাব-সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত প্রবাসী সাংবাদিক ও সম্পাদকগণ। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশিক রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত ইফতার পর্বে অংশ নেন বিসমিল্লাহ কারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের অন্যতম কর্ণধার নূর মিয়া। ইফতারে ছিল নানান বাহারি বাংলাদেশি সুস্বাদু খাবার, যার মধ্যে অন্তত ১৫-২০টি পদ পরিবেশন করা হয়। এদিকে, ইফতারের আগে সোলায়মান আল মাহমুদ মোনাজাত পরিচালনা করেন। ইফতারের পর ক্লাব সদস্যরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও চা-চক্রে মিলিত হন।

ঈদের আগে চাঙা প্রবাসী আয়, ১৫ দিনে এলো ১৬৫ কোটি ডলার

ঈদের আগে চাঙা প্রবাসী আয়, ১৫ দিনে এলো ১৬৫ কোটি ডলার

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এখন থেকেই প্রবাসী আয়ে বেশ চাঙা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে ১৬৫ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। দেশীয় মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) এই অঙ্ক ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ডলার বা এক হাজার ১১০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে দেশে এক হাজার ৮৪৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪৯৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।   চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।