ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

রাজশাহীতে বর্ণিল উৎসবে রজতজয়ন্তী উদ্যাপন

রাজশাহীতে বর্ণিল উৎসবে রজতজয়ন্তী উদ্যাপন

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদ্যাপন করা হয়েছে। রবিবার দিনভর রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির এই রজতজয়ন্তী উদ্যাপন। ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে আয়োজন করা হয় ‘অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট উৎসব, পেসার ও স্পিন হান্ট এবং ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহাসিক মুহূর্ত নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে দেখানো হয় ভিডিও ও ছবি। বিসিবির ভাষ্য, কেন্দ্র থেকে প্রান্তিকে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতেই এ আয়োজন। ২০০০ সালের জুন মাসে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট খেলার মর্যাদা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির ২৫ বছর স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনে উৎসব করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সকালে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিসিবি সভাপতি ও বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করা ব্যাটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, ক্রিকেটকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন। রাজশাহীসহ সাত দিনে সাতটি বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এ উৎসব হবে। এ সময় বিসিবি সভাপতি বলেন, রাজশাহীতে যে গ্রাউন্ড ফিল্ড আছে, এমন গ্রাউন্ড ফিল্ড অনেক দেশের নেই। এত সুন্দর উইকেট নেই। এখন রাজশাহীতে প্রথম শ্রেণির খেলা হয়। আমরা রাজশাহী বিভাগের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ চালু করব। ক্রিকেট অ্যাক্টিভিটি আরও বাড়াব। এজন্য ক্রিকেটকে ডিসেন্ট্রালাইজ করা হবে। ট্রেনিং, কোচিং  ও আম্পায়ারিং প্রোগ্রাম বাড়াব। বয়সভিত্তিক খেলা আমরা দুই দিনের জন্য করব। বুলবুলের মতে, রাজশাহীর গ্রাউন্ডস আন্তর্জাতিকমানের। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। সভাপতি বলেন, ‘সকালে আমার ঢাকা থেকে রাজশাহী আসতে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা দারুণ। আসার পরে কিছুক্ষণের জন্য যে হোটেলে অবস্থান করেছি, সেটা আমার কাছে মনে হয়েছে আন্তর্জাতিকমানের। এখানে মাঠ যেটা আছে, সেটাও আন্তর্জাতিকমানের। বিশ্বের অনেক দেশেই এ রকম মাঠ নেই, রাজশাহীতে যেটা আছে।’ রাজশাহীকে কেন্দ্র করে পুরো উত্তরবঙ্গের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য বিসিবির। সে কথা জানিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমরা আজ টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর উদ্যাপন করতে এসেছি। সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিসিবির কার্যক্রম কীভাবে রাজশাহীকে কেন্দ্র করে পুরো উত্তরবঙ্গে পরিচালনা করতে পারি, সেটা দেখাও উদ্দেশ্য। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ, রাজশাহী ইয়ুথ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে বড় পরিকল্পনা আছে। আমরা যাকে বলছি ট্রিপল সেঞ্চুরি। ট্রিপল সেঞ্চুরির অংশ, ক্রিকেটকে কীভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা যায়। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহী এসেছি। যা কিছু দেখলাম, এটা রাজশাহীতে সম্ভব।’ গ্রাউন্ডস ও বিপিএল চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, রাজশাহীর এ মাঠে অন্তর্জাতিক ম্যাচ করার জন্য কিছু ফ্যাসিলিটি উন্নয়ন করা দরকার। সেই ব্যাপারে আমরা ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি। প্রস্তাবনা দিয়েছি। আগামী বছর বড় আন্তর্জাতিক বা বিপিএলের খেলা আমরা দেখতে পাব আশা করি। এ সময় তিনি, প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলা বেশি বেশি অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উদ্বোধনের পর টেস্টের সেই সাদা জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠের ক্রিকেটে অংশ নেন অনূর্ধ্ব ১২ এর খুদে ক্রিকেটাররা। মাঠের দুটি অংশে  ৬ ওভারের খেলায় ছেলেদের ৬ টি ও মেয়েদের ৬ টি মোট ১২টি দল অংশ নেয়। প্রতি দলের হয়ে ৬ ক্রিকেটার মাঠে দক্ষতা আর নৈপুণ্য দেখান। স্কুল পর্যায়ের ক্রিকেটাররা লিগ ভিত্তিক এই ক্রিকেট উৎসবে অংশ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। উৎসবে অংশ নেন অভিভাবকরাও। আহম্মেদ আলী নামের স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, ‘রাজশাহী থেকে আগে নিয়মিত জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিল। এখনো আছে। তবে আবারও রাজশাহীর ছেলেরা নেতৃত্ব দিতে পারবে, যদি এমনভাবে তাদের খেলার সুযোগ করে দেয়। এ উৎসবে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় পেসার ও স্পিনার হান্ট। বলের লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে গতির ঝড় তোলার পাশাপাশি জাদুকরি ঘূর্ণির পরীক্ষা দেন অংশগ্রহণকারীরা। এদিকে টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর ছবির প্রদর্শনী ও সেই ছবি আঁকার জন্য অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার। পরে বিভিন্ন ইভেন্টে জয়ীদের মধ্যে সনদ ও মেডেল প্রদান করা হয়।

এনবিআর সংস্কার না হলে রাজস্ব ঘাটতি থাকবেই : সিপিডি

এনবিআর সংস্কার না হলে রাজস্ব ঘাটতি থাকবেই : সিপিডি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার না হলে রাজস্ব ঘাটতি চলতেই থাকবে বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্কার না হওয়ায় প্রতিবছর এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না বলেও মত গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত ডায়ালগে এই মতামত দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। রবিববার (২২ জুন) সকালে রাজধানীর গুলশানে এক হোটেলে এই ডায়ালগ আয়োজন করে সিপিডি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এতে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান, ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা, শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যা ও সংকটের সময় অন্তর্বর্তী সরকার বাজেটটি দিয়েছে। গত ৩ বছর ধরে অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে। অর্থনীতির মূল সূচকগুলো নিম্নমুখী। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা দুর্বল অবস্থায় ছিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা- সবকিছু মিলিয়ে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে। সেজন্য এই বাজেটের অগ্রাধিকার ঠিক করাটা চ্যালেঞ্জের। তবে মূল চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পুনরুদ্ধার করা। তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোর যেসব প্রক্ষেপণ দেওয়া হয়েছে সেগুলো উচ্চাকাক্সক্ষী মনে হয়েছে। অর্থনীতির বেশিরভাগ সূচক নি¤œমুখী। এর মধ্যে রপ্তানি, রিজার্ভ, রেমিটেন্স- এইগুলো ভালোর দিকে আছে। টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগে একেবারে স্থবিরতা রয়েছে। রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থতা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না। কেন সেটা পারে না ? কারণ সেখানে কোনো কাঠামোগত বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখনো হয়নি। সংস্কার ছাড়া এ ধরনের কাঠামো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রেখে দিলে এমন ঘাটতি চলতেই থাকবে। উচ্চাকাক্সক্ষী প্রক্ষেপণ প্রসঙ্গে ফাহমিদা খাতুন বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২০২৬ এর জন্য সাড়ে ৫ শতাংশ বলা হচ্ছে। ২০২৫ এর রিভাইজড বাজেটে এটা ছিল ৫ শতাংশ। অন্যদিকে বিবিএস বলেছে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। ৪ শতাংশ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ করতে গেলে বেশ কিছুটা উল্লম্ফন দরকার। এই প্রবৃদ্ধির জন্য দরকার বিনিয়োগ। বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে এমন প্রশ্ন করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, মূল বিনিয়োগ সরকারি বিনিয়োগ হয়ে আসছে। কারণ ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ আসছে না। সরকারি বিনিয়োগ ও জিডিপির অনুপাত সামান্য কম দেখানো হয়েছে। ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ ও জিডিপির অনুপাত দেখানো হয়েছে- এখানে যা ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ হবে। এই প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে অতিরিক্ত এক লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা লাগবে। সাধারণ সময়ের তুলনায় যা ১২ শতাংশ বেশি। অর্থনৈতিক সংকটের এ সময় ব্যক্তিখাতের প্রবৃদ্ধি হঠাৎ এত বেড়ে যাবে কীভাবে সেটা বোধগম্য না। ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেট অন্তর্বর্তী সরকার প্রণয়ন করবে কি না আমরা জানি না। কিংবা নতুন সরকার করবে। তারপরও যেসব অসামঞ্জস্যতা, ঘাটতি পাচ্ছি- বাজেটের একটা মধ্যবর্তী রিভিউ হওয়া প্রয়োজন। সেটা অ্যাসেসমেন্ট করে জনসম্মুখে প্রকাশ করা প্রয়োজন। বাজেটের মধ্যবর্তী একটা সংশোধন, অ্যাসেসমেন্ট ও রিভিউ দরকার। তারপর কাঠামোর মধ্যে থেকে পরিমার্জন করা প্রয়োজন, যাতে এর মধ্যে স্বচ্ছতা থাকে। তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা কিছুটা কমেছে। ২০২৬ এ সাড়ে ৬ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ২০২৫ সালের মে মাসে ১০ শতাংশের ওপরে। সেখান থেকে সাড়ে ৬ শতাংশে আনতে হলে বেশ খানিকটা জোর দিতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে প্রতিবছর ঘাটতি থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে বাজেটের উদ্দেশ্য পরিপালন হয় না। বাজেট বাস্তবায়নে নজর দেওয়া উচিত।

ইরানে আমেরিকান বোমা হামলার প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে

ইরানে আমেরিকান বোমা হামলার প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বোমা হামলা করেছে ইরানে। দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে ১৩ হাজার কেজি ওজনের জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর ছেড়েছে আমেরিকা। এর প্রভাবে ধস নেমেছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে। রবিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। ডিএসইতে লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। শেয়ারবাজারে রবিবার লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ে। লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই এ নিয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে চলে নানা গুঞ্জন। ফলে লেনদেনের শুরুতেই বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ে। এতে লেনদেন শুরু হতেই সূচকের বড় পতন হয়। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬৫টির। আর ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে ২৭১ কোটি ৭০ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩০৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে লাভেলো আইসক্রিমের। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ফাইন ফুডস, উত্তরা ব্যাংক, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সিটি ব্যাংক, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের মধ্যে এক যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে গেছে। ফলে এই যুদ্ধ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছে। এতে সবার মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্কের জেরেই বাজারে মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপ সৃষ্টি হয়। তার ফলেই এমন দরপতন হয়েছে। তবে ডিএসইর আরেক সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের শেয়ারবাজারে মন্দা বিরাজ করছে। ধারাবাহিক দরপতনের কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এখন অবমূল্যায়িত অবস্থায়। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে বড় দরপতন স্বাভাবিক ঘটনা না। তিনি বলেন, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কারণে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক থেকেই আজ এমন দরপতন হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা পুরোপুরি প্যানিক হয়ে গেছেন। বিনিয়োগকারীরা প্যানিক না হলে বাজারে এত বড় পতন হতো না। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কগ্রস্ত না হলে শীঘ্রই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।