ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
adbilive
adbilive
পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট। যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকে রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তা। তাই তো যুগে যুগে খেলাটি আবেদন এতটুকু কমেনি। টেস্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা শঙ্কায় ছিলেন, ধুন্ধুমার ‘বাজবল স্টাইলে’ তাদের মুখে চুনকালি দিচ্ছে ইংল্যান্ড। মুলতান টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন সেঞ্চুরিতে ৫৫৬ রান তোলার পর পাকিস্তান নিশ্চয়ই বাংলাদেশের কাছে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হওয়ার দুঃখ ভোলার স্বপ্ন দেখছিল। জো রুটের ডাবল সেঞ্চুরি ও হ্যারি ব্রুকের অনবদ্য ট্রিপল সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৭ উইকেটে ৮২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে উল্টো ২৬৭ রানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সেই রান শোধ করে লিড নেওয়া দূরের কথা, দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ও ৪৭ রানে হার মানে পাকিস্তান! টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ’ বছরের ইতিহাসে পাঁচশ’র ওপরে রান তুলে ইনিংস ব্যবধানে হারের ঘটনা এটিই প্রথম। ৩১৭ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলে ব্রুক হয়েছেন ম্যাচসেরা।

নিত্যপণ্যের বাজারে বেপরোয়া  অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট

নিত্যপণ্যের বাজারে বেপরোয়া অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট

নিত্যপণ্যের বাজারে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আলু, পেঁপে,   শাক, কাঁচকলা ও কুমড়া ছাড়া বেশিরভাগ সবজি কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি অর্থ। টমেটো ও গাজরের মতো সবজি কিনতে কেজিতে ২০০ টাকার বেশি গুনতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বাজারভেদে ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। বেড়েছে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ডিম, মুরগি, মাছ ও মসলার দাম। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বস্তি নেই বাজারে। নিত্যপণ্য কিনতেই সাধারণ মানুষের পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তথ্য-উপাত্ত বলছে, কোনো কোনো পণ্যের দাম মাসের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে খোলা চিনি কেজিতে ২ টাকা কমেছে মাত্র। অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আমদানিতে ১৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর ফলে পরিশোধিত প্রতিকেজি চিনিতে ১৪ টাকার মতো দাম কমবে।

ভালো থেক কন্যা

ভালো থেক কন্যা

প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে জাতীয় কন্যা-শিশু দিবস পালিত হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’। সারা বিশ্বেই নানা কারণে কন্যা-শিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসাÑ সব দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যা-শিশু। পরিবার ছাড়াও সামাজিকভাবেও তারা হচ্ছে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রসহ সমস্ত স্থানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলো কন্যা-শিশু দিবস অন্যতম উদ্দেশ্য।  বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যা-শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম। আর শিশুদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ কন্যা-শিশু যাদের পিছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কন্যা-জায়া-জননীর বাইরেও কন্যা-শিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে। স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকা-ে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যা-শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।  কন্যা-শিশু সুরক্ষা পেলে সব বৈষম্য দূর হবে। কন্যা-শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর আইন। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে হবে কন্যা-শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কন্যা-শিশুর অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে পুরুষকে।

বাল্যবিয়ে বন্ধে সামাজিক আন্দোলন

বাল্যবিয়ে বন্ধে সামাজিক আন্দোলন

কুড়িগ্রামের কিশোর-কিশোরীরা বাল্যবিয়ে বন্ধে জোরদার করছে সামাজিক আন্দোলন। অনেক সময় নিজেদের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তারা প্রশাসনের সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করছে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো  বোঝাচ্ছে তাদের। পড়াশোনার পাশাপাশি এই সামাজিক দায়িত্ব পালন করে। তারা চায় এ জেলায় থাকবে না কোনো বাল্যবিয়ে আর বৈষম্য।   জেলার চিলমারী উপজেলার চর পাত্রখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিষা আক্তার (১১)। সে ওই চরের সবুজপাড়া গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা মহুবর আলীর মেয়ে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ পারিবারিকভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু মনিষার ইচ্ছে সে পড়ালেখা করে শিক্ষক হবে। গত ২৩ জানুয়ারি মনিষার বিয়ের কথা চিলমারীর ‘কিশোরী ব্রিগেড ফোর্সে’ জানতে পারে। তারা চর পাত্রখাতায় মনিষার বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন। কিশোরী মেয়েদের অনুরোধ উপেক্ষা করে চলে বিয়ের আয়োজন। এবারে কিশোরী ব্রিগেড ফোর্সের কিশোরীরা চিলমারী মডেল থানা পুলিশ ও উপজেলার চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মনিষা আক্তারের বিয়ে বন্ধ করে। উলিপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী কলি রাণী (১৭)। উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের বামনহাট গ্রামের দর্জি শ্যামল রায়ের মেয়ে। ২০১৯ সালে অষ্টম  শ্রেণিতে পড়ার সময় তার অমতে বিয়ে ঠিক করে পরিবার। কলি রাণী ছেলে পক্ষকে বলে তার বিয়ে ভেঙে দেন। এরপর ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর পরিবার আবারও কলি রাণীর বিয়ে ঠিক করেন। কিন্তু এবারে কলি রাণীর কথায়  থেমে যায়নি পরিবার। জোর করে চলে বিয়ের আয়োজন। অবশেষে বাধ্য হয়ে কলি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএসের ‘ইউনিয়ন যুব সংগঠন’ সদস্যদের বিষয়টি জানায়।