ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

adbilive
adbilive
দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতিকে হোয়াইট হাউজে তুলোধুনো করলেন ট্রাম্প!

দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতিকে হোয়াইট হাউজে তুলোধুনো করলেন ট্রাম্প!

হোয়াইট হাউজে আলোচনার জন্য এসেও অপমানের শিকার হতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বসেছিলেন ভৎসনার জন্য। বৈঠকের শুরুতেই একের পর এক অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের উপর নিপীড়ন নিয়ে। সচরাচর কূটনৈতিক সৌজন্যের বাইরে গিয়ে রামাফোসা সঙ্গে নিয়ে যান দুইজন শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকান গলফারকে, যেন সম্ভাব্য অপমানের প্রস্তুতি থাকেই। ওভাল অফিসে বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাম্প কাগজে কাগজে তুলে ধরেন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের জমি দখল, নির্যাতন এবং হত্যার অভিযোগ। এরপর ভিডিও চালিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করেন সেখানে শ্বেতাঙ্গদের উপর গণহত্যা চলছে বলে। ট্রাম্প বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে, এমনকি খুনও হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে কয়েকজনকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছে।” তবে ট্রাম্পের এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন প্রেসিডেন্ট রামাফোসা। তিনি স্পষ্ট বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো গণহত্যা হচ্ছে না। যেসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে মানুষ মারা যাচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। এটি বর্ণবাদের ইস্যু নয়।” তিনি আরও বলেন, “যদি সত্যিই শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের উপর গণহত্যা চলতো, তাহলে এই তিনজন ভদ্রলোক (শ্বেতাঙ্গ গলফার) আজ এখানে থাকতেন না।” বৈঠকে এ সময় বাণিজ্য, শুল্ক ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ নিয়েও আলোচনা হয়। আফ্রিকার রুয়ান্ডা ও গণতান্ত্রিক কঙ্গোর মধ্যে সংঘাত মীমাংসায় মার্কিন ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন ট্রাম্প। বৈঠকের এক পর্যায়ে এনবিসির এক সাংবাদিক কাতারের উপহার দেয়া একটি জেট বিমান নিয়ে প্রশ্ন করতেই চটে যান ট্রাম্প। ওই সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। সেই মুহূর্তে ব্যঙ্গ করে রামাফোসা বলেন, “দুঃখিত, আমাদের যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার দেওয়ার মতো কোনো বিমানই নেই।” প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির জন্য জরুরি মার্কিন সহায়তা বাতিল করা হয়েছে, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=urmCXJhWrmQ

এখন থেকে ২১ মে পালিত হবে জাতীয় চা দিবস

এখন থেকে ২১ মে পালিত হবে জাতীয় চা দিবস

এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক চা দিবসের সঙ্গে মিল রেখে দেশে পালন হচ্ছে জাতীয় চা দিবস। আন্তর্জাতিকভাবে ২১ মে চা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পঞ্চম জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, এবারে চা দিবসের দিনটি পরিবর্তন করা হয়েছে। যৌক্তিক কারণেই আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত দিনটির সঙ্গে সমন্বয় করে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান দ্রুতই পরিবর্তন করা হবে। এদিকে, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে চা রপ্তানি বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ সময় তিনি চা শিল্পকে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও সমানভাবে তুলে ধরতে কাজ করার আহ্বান জানান। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পঞ্চম জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মইনুদ্দিন হাসান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান, জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ী চা শ্রমিক জেসমিন আক্তার এবং চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নৃপেন পাল।  অনুষ্ঠানে দেশের চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আট ক্যাটাগরিতে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়। এছাড়াও জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে এ বছর সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী কারখানা ক্যাটাগরিতে দুইটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে পঞ্চম জাতীয় চা দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। পরে তিনি চা মেলায় চায়ের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।