ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
সংসদ নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে সংকট তত তীব্র হবে

সংসদ নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে সংকট তত তীব্র হবে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত পিছিয়ে যাবে দেশে সংকট তত তীব্র হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অপর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাগ্রত চেতনাকে বিভাজনের রেখা দিয়ে বিভক্ত করা যাবে না।  দুদু বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের অতি উত্থানে বাজারে আগুন লেগেছে। দ্রব্যমূল্য এতটাই বেড়েছে যে মানুষ অস্বস্তিতে পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই অবস্থা হবে সেটা কেউ প্রত্যাশা করেনি। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।  দুদু বলেন, ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। আর তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বিএনপিকে রক্ষা করেছেন। আমাদের আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন তিনি। এটা যদি কাউকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় তাহলে একটু অসুবিধা আছে।  দুদু বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের ছোট একটি প্রত্যাশা ছাড়া তেমন কিছু নেই। দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার জ্ঞান গরিমা ও কর্মের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে এ কথাটা যতদিন তিনি জাতিকে জানাতে না পারবেন, ততদিন নানা বিতর্ক তৈরি হবে। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে তত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় তার উপযুক্ততা প্রমাণ করতে পারবে। সেজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লা আল বাকি, সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন রবি প্রমুখ।  জাগ্রত চেতনাকে বিভাজনের রেখা দিয়ে বিভক্ত করা যাবে না- রিজভী ॥ দেশের মানুষের জাগ্রত চেতনাকে বিভাজনের রেখা দিয়ে আর বিভক্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পূজাম-প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশে আজ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একসঙ্গে দুর্গাপূজার উৎসবকে আরও বেশি উন্মুক্ত, আরও বেশি উদ্বেলিত করার জন্য প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে পাহারা দিচ্ছে। কোনো কুচক্রী মহল যাতে তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে না পারে সে জন্য সবাই সতর্ক রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই উৎসবকে আরও আনন্দদায়ক করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন।  রিজভী বলেন, শতাব্দী প্রাচীন এই দুর্গাপূজা উৎসব যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। এই উৎসবের দরজা কখনো বন্ধ থাকেনি। আমরা এই উৎসবের বেদিতে দাঁড়িয়ে এখানে একেকজন ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের হতে পারি, কেউ হিন্দু, কেউ বৌদ্ধ, কেউ মুসলিম। কিন্তু আমরা তো একই ভূখ-ে দাঁড়িয়ে আছি। একই আলো-বাতাস-জলের মধ্যে অবগাহন করি। এই অবগাহনের মধ্য দিয়ে আমাদের চিন্তা- চেতনা জাগ্রত হয়েছে। জাগ্রত চেতনাকে বিভাজনের রেখা দিয়ে আর বিভক্ত করা যাবে না। তবে একসময় শুধু নিজের স্বার্থের জন্য জঙ্গি, সাম্প্রদায়িক যে বিভেদ রেখা তৈরি করা হয়েছিল সেটা এখন আর করতে পারবে না। রিজভী বলেন, যারা বিবাদের বাণী শুনিয়েছে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশে, ব্যক্তিস্বার্থে শুনিয়েছে। আমাদের এই জমাট অটুট বন্ধনকে নষ্ট করার জন্য বলেছে। হাজার বছর ধরে আমরা একসঙ্গে দেশে বাস করছি। বৌদ্ধদের আমল, হিন্দুদের আমল, মুসলমানদের আমলসহ বিভিন্ন আমল থাকতে পারে কিন্তু উৎসবের কোনো আমল ছিল না। ছিল মহামিলনের একটি জায়গা, একটি প্রাঙ্গণ। সেই প্রাঙ্গণ যাতে কেউ বিনষ্ট না করতে পারে আমাদের সবাইকে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। এ সময় রিজভীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, যুবদলের নেতা মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের নেতা মাসুদুর রহমান ও রাজু আহমেদ প্রমুখ। ১৯ বছর পর আজ দেশে ফিরছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি মালিক ॥ ১৯ বছর পর আজ রবিবার দেশে ফিরছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এমএ মালিক। আজ দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন বিএনপি নেতারা। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাবেন বলে বিএনপি সূত্র জানিয়েছেন।  শাহবাগ থানা বিএনপির ২০ নং ওয়ার্ডের সকল কার্যক্রম স্থগিত ॥ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শাহবাগ থানাধীন ২০ নং ওয়ার্ডের সকল কার্যক্রম পরবর্তী  নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন শনিবার গণমাধ্যমকে দলের এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারা সংশ্লিষ্ট সকলকে দলের পরিচয় দিয়ে কোনোরকম কার্যক্রম না চালাতে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

adbilive
adbilive
কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত

রামুতে বাঁকখালী নদীর দুই তীরে হাজারো মানুষের মারো মারো ধ্বনি আর নাচে-গানে উৎসব আমেজে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অফিসেরচর মায়ের দোয়া নৌ দল। রানার্সআপ হয়েছে অফিসেরচর ফুটন্ত গোলাপ নৌ দল এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেছে অফিসেরচর সোনার তরী নৌ দল। প্রতিযোগিতায় অফিসেরচর ফুটন্ত গোলাপ নৌ দলের ইসনান সেরা খেলোয়াড় (বেত ধারক) এবং অফিসেরচর মায়ের দোয়া নৌ দলের কলিম উল্লাহ সেরা খেলোয়াড় (দারি) এর পুরস্কার পান। রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বৃহত্তর অফিসেরচর ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার বাঁকখালী নদীতে আয়োজন করা হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। অফিসেরচর আতিক্কাবিবির ঘাট সেতুর দক্ষিণ পাশে বাঁকখালী নদীতে অফিসেরচর আন্তঃনৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০২৪ দেখার জন্য দুপুর হতে দূর-দূরান্তের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে নদীর দুই তীর। জাতীয় সংগীত, আতশবাজির মাধ্যমে এ ক্রীড়া উৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। আয়োজকরা জানান, অফিসেরচর গ্রামের চারটি নৌ দল এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।

হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন একরাম চৌধুরী

হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন একরাম চৌধুরী

একরামুল করিম চৌধুরী। নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতার অপব্যবহার, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। অবৈধ উপায়ে এত টাকার মালিক হলেও দেশে দৃশ্যমান বড় কোনো সম্পদ গড়েননি একরাম ও তার পরিবার। অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বিদেশে। ভিয়েতনামে গড়েছেন ব্যবসা ও সম্পদ। সদর ও সূবর্ণচরÑ এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের এমপি হলেও গত ১৬ বছরে কার্যত নিয়ন্ত্রণ করেছেন গোটা নোয়াখালী।  গত ২ অক্টোবর সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। ইতোমধ্যে দেশে তার অনেক অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে অনুসন্ধান টিম। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রামের খুলশি এলাকা থেকে দুর্দান্ত প্রতাপশালী সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরের দিন সকালে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাজ্জাদ  হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ  দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম  চৌধুরী গত ১৬ বছরে নিয়ন্ত্রণ করেছেন গোটা  নোয়াখালী। জেলাজুড়ে একরামুল করিমের দুর্নীতি অনিয়ম ছিল ওপেন সিক্রেট। টানা চারবারের এমপি থাকা অবস্থায় টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি থেকেই কামিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। দেশে দেড়শ’ কোটি টাকার সম্পদ ॥ দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, হলফনামায় ৩২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব দিলেও তিনি আসলে শতকোটির  বেশি টাকার সম্পদের মালিক।  রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি আলিশান ফ্ল্যাট কিনেছেন একরামুল। যার দাম প্রায় ১০  কোটি টাকা।  আর চট্টগ্রামের লালখানবাজার হাই  লেবেল  রোডে একরামুলের সাড়ে চার কাঠা জমি রয়েছে। যার দাম অন্তত ২০  কোটি টাকা।  সেখানে একটি বহুতল ভবন ছিল।  সেটি  ভেঙে নতুন ভবন  তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিন বছর আগে খুলশী এলাকায় তিনি একটি ফ্ল্যাট কেনেন।  যেটি সম্প্রতি  দেড়  কোটি টাকায় বিক্রি করে  দেন। নগরীর এল ব্লকেও আটতলা একটি বহুতল ভবন আছে তার। ভবনটিতে আছে ১৪টি ফ্ল্যাট। যার দাম অন্তত ৩০  কোটি টাকা। এদিকে নোয়াখালীর কবিরহাটে একরামুল করিমের বাড়িটি পাঁচ একর জায়গাজুড়ে। এখানে আছে  হেলিপ্যাড, সুইমিংপুল। পাশে একটি বাগানবাড়িও রয়েছে। জায়গাসহ বাড়িটির দাম অন্তত ২৫  কোটি টাকা। একরামুল নিজে এবং তার পরিবারের সদস্যরা  যেসব দামি গাড়ি ব্যবহার করেন,  সেগুলোর বাজারমূল্যও কমপক্ষে ২৫  কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের ১১ নম্বর  জেটিতে কনটেনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে একরামুল করিমের প্রতিষ্ঠান এঅ্যান্ডজে  ট্রেডিং। এখানে তার ব্যবসা অন্তত ৪০  কোটি টাকার। সব মিলিয়ে দেড়শ’ কোটি টাকার  বেশি টাকার সম্পদের মালিক একরামুল করিম  চৌধুরী। একরামুল ও তার পরিবারের সম্পদ শুধু  দেশে নয়, বিদেশেও আছে। নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় দুইশগুণ ॥ এমপি হওয়ার প্রথম পাঁচ বছরে একরামুল করিম চৌধুরীর নগদ টাকা  বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ২০০৮ সালে তার হাতে নগদ ছিল তিন লাখ ৩৭ হাজার টাকা, যা ২০১৪ সালে  বেড়ে হয় পাঁচ  কোটি ৩৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ হিসাবে পাঁচ বছরে নগদ টাকা বাড়ে ১৫৮গুণ। ২০০৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা ছিল আট লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে তা  বেড়ে হয় চার  কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ হিসাবে এমপি হওয়ার পর ১০ বছরে তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা  বেড়েছে ৫৮গুণ। হলফনামায় একরামের যত সম্পদ ॥ হলফনামায় তার এমন সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকার। ১০ বছরের ব্যবধানে তার সম্পদের পরিমাণ ফুলে ফেঁপে উঠলেও কমেছে তার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার ব্যাংক ঋণ চার কোটি ১০ লাখ সাত হাজার ৫৩৯ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। আর ২০০৮ সালে তার হলফনামায় ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২০ টাকা। এ ছাড়া ২০১৮ সালে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, একরামুলের অস্থাবর সম্পদের মূল্য এক  কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন

চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন

মঞ্চনাটকের আশ্রয়ে শুরু হয়েছিল তার অভিনয় জীবন। এর পর টিভি নাটকে অভিনয় করে অর্জন করেন জনপ্রিয়তা।  স্বকীয় অভিনয়শৈলীতে জায়গা করে নেন দর্শক হৃদয়ে। প্রিয় পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নিলেন একুশে পদকজয়ী সেই জনপ্রিয় অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কানাডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী অভিনয়শিল্পী রওশন আরা  হোসেন এবং এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী।  দেশের গণ্যমাধ্যমকে জামালউদ্দিন হোসেনের  মৃত্যর খবরটি নিশ্চিত করে তার  ছেলে তাশফিন  হোসেন জানান,  শনিবার বাদ জোহর কানাডার ক্যালগেরি শহরে জামালউদিনকে সমাহিত করা হবে। তিন সপ্তাহ ধরে কানাডার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জামালউদ্দিন হোসেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রর আটলান্টায়  মেয়ের কাছে ছিলেন।  সেখান থেকে কানাডার ক্যালগিরিতে  ছেলে তাশফিন  হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান এই প্রবীণ অভিনেতা হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা  শেষে চিকিৎসকরা তার মূত্র সংক্রমণ হয়েছে বলে জানান।  এক সময় জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছিলেন না। এর পর চিকিৎসকেরা তাঁকে  ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত  নেন।  তবে  শেষ পর্যন্ত তাকে  বাঁচানো যায়নি।  সত্তরের দশকের মাঝামাঝি  থেকে মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন  হোসেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এই সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক এবং চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। গত ১৫ বছর অভিনয়ে একেবারে অনিয়মিত তিনি। এই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। মাঝেমধ্যে যখন  দেশে ফিরলে অভিনয় করতেন। সাত-আট বছর ধরে একেবারে অভিনয়ে  নেই। ছিলেন না বাংলাদেশেও, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকতেন। জামালউদ্দিন  হোসেনের  ছেলে তাশফিন হোসেন কানাডার মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক।  মেয়ে তাঁর পরিবার নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। জামালউদ্দিন হোসেন ১৯৭৫ সাল  থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি নিজের নাট্যগোষ্ঠী নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল শুরু করেন এবং এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন  করেন। তিনি বাংলাদেশ গ্রুপ  থিয়েটারর ফেডারেশানের  প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং  বেতার  টেলিভিশন শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জামালউদ্দিন  হোসেন ‘খাঁচার  ভেতর অচিন পাখি’, ‘রাজা রানী’, ‘চাঁদ বণিকের পালা’, ‘আমি নই’, ‘বিবি সাহেব’, ‘যুগলবন্দী’সহ কয়েকটি আলোচিত মঞ্চনাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তিনি এপুশে পদক পান। জামালউদ্দিনের স্ত্রী অভিনয়শিল্পী রওশন আরা হোসেন। তার ছেলে কানাডায় এবং  মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি গত এক দশক ধরে ছেলেমেয়েদের কাছেই থাকতেন। এজন্য তাকে অভিনয়ে খুব একটা  দেখা যায়নি।

১০০ বছর পর...

১০০ বছর পর...

ব্রিটিশ পর্বতারোহীর পায়ের অবশিষ্টাংশসহ একটি বুট পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে। ১০০ বছর আগে এভারেস্টে নিখোঁজ হওয়া অ্যান্ড্রু আরভিন নামের যুবকের বুট এটি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হিমালয়ে জমে থাকা বরফ পাতলা হয়ে আসছে। ফলে তুষারের নিচে চাপা পড়ে থাকা পর্বতারোহীদের মৃতদেহ আবিষ্কারের ঘটনা ঘটছে। আরভিনের পরিবারটি তাকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু গত মাসে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডকুমেন্টারির চিত্রগ্রহণকারী পর্বতারোহীদের একটি দল একটি সংরক্ষিত বুটে হোঁচট খায়। হিমবাহের ওপরের বরফ গলে তা বেরিয়ে আসে। বুটটি নিখোঁজ ব্রিটিশ পর্বতারোহী অ্যান্ড্রু কমিন স্যান্ডি আরভিনের বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলোÑ উদ্ধার হওয়া বুটের মধ্যে আরভিনের একটি পায়ের অবশিষ্টাংশ এখনো রয়ে গেছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জানিয়েছে, তথ্যচিত্র নির্মাতা দলটি লাল লেবেলসহ একটি মোজাও খুঁজে পেয়েছে, যেখানে সেলাই করে লেখা আছে এ সি আরভিন। তার পরিবারের সদস্যরা দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে। বিখ্যাত আভিযাত্রিক জিমি চিন এই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন। এই মুহূর্তকে তিনি স্মরণীয় ও আবেগঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন।  ১৯২৪ সালে তার সঙ্গী জর্জ ম্যালোরিকে নিয়ে এভারেস্টে ওঠার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। পরে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই যুগল। নিখোঁজের ৭৫ বছর পর ১৯৯৯ সালে প্রেমিকা জর্জ ম্যালোরির দেহাবশেষ পাওয়া গেলেও নিখোঁজ ছিলেন আরভিন। তিনি যখন এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার মিশনে গিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। অনেকেই ধারণা করছেন, এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে সর্বপ্রথম মানব হিসেবে এভারেস্টে পৌঁছানোর ২৯ বছর আগে হয়তো অ্যান্ড্রু কমিন স্যানডে আরভিন প্রথম আরোহী হিসেবে সফল হয়েছিলেন।  এভারেস্টে ওঠার সময় আরভিনের শরীরে একটি ক্যামেরার ভেস্ট লাগানো ছিল। সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হলে পর্বতারোহণের অনেক ইতিহাস নতুন করে জানা যাবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এভারেস্টের চূড়ায় যদি তারা পৌঁছেই থাকেন, তবে অবশ্যই সেই মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধরা পড়ার কথা। তথ্যচিত্র নির্মাতা দলটি এখন ক্যামেরাটির অনুসন্ধান করছে।- বিবিসি অবলম্বনে

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বহাল রাখতে পারে বাংলাদেশ

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বহাল রাখতে পারে বাংলাদেশ

বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি থাকলেও ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি বহাল রাখতে পারে বাংলাদেশ। দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ ও আইনি জটিলতার কারণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ চুক্তি বাতিল না-ও করতে পারে বলে দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা চুক্তিগুলোতে জাতীয় স্বার্থ যথাযথভাবে রক্ষা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করেছে নতুন সরকার। বিশেষ করে দ্রুত আইনের অধীনে নেওয়া স্বচ্ছতার অভাব থাকা ত্রুটিপূর্ণ প্রকল্পগুলো যাচাই করবে এই কমিটি। সূত্রমতে, অনিয়মের নিরেট প্রমাণ ছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতে এ চুক্তি নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ জানালে তাতে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দ্বিতীয় সূত্র বলেছে, এ চুক্তি থেকে যেহেতু বেরিয়ে আসা সম্ভব না-ও হতে পারে, তাই পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিদ্যুতের দাম কমানোই হতে পারে সরকারের জন্য একমাত্র কার্যকর বিকল্প। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘কমিটি বর্তমানে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে, তাই এখনই কোনো মন্তব্য করা সময়োচিত হবে না।

দুর্বল ব্যাংকগুলো সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা দিতে পারছে না

দুর্বল ব্যাংকগুলো সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা দিতে পারছে না

আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকা দিতে পারছে না। এক্ষেত্রে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় যেসব ব্যাংক ছিল, সেই সব ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। গ্রাহকরা মুনাফার টাকা তুলতে পারছেন না, আসল টাকাও ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মধ্যে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোনো পথ বের করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো। ফলে টাকা না পেয়ে গ্রাহকেরা ব্যাংকগুলোতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।  জানা গেছে, মুনাফার টাকা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ব্যাংকে জমা হলেও যারা তা তুলতে পারছেন না এবং নিকট ভবিষ্যতে যাদের সঞ্চয়পত্র নগদায়ন (ম্যাচিউরড) হবে, তাদের অনেকেই জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে ব্যাংকের শাখা ও হিসাব পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। গত দুই মাসে সঞ্চয় অধিদপ্তরে এমন ২৭০টি আবেদন জমা পড়েছে। বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এ আবেদনের সংখ্যা অস্বাভাবিক। সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি আবেদনকারীদের মধ্যে সরকারের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিবেরাও আছেন বলে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে।

ভালো থেক কন্যা

ভালো থেক কন্যা

প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে জাতীয় কন্যা-শিশু দিবস পালিত হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’। সারা বিশ্বেই নানা কারণে কন্যা-শিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসাÑ সব দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যা-শিশু। পরিবার ছাড়াও সামাজিকভাবেও তারা হচ্ছে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রসহ সমস্ত স্থানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলো কন্যা-শিশু দিবস অন্যতম উদ্দেশ্য।  বিশ্বজুড়ে নারী ও কন্যা-শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নৃশংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম। আর শিশুদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ কন্যা-শিশু যাদের পিছনে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কন্যা-জায়া-জননীর বাইরেও কন্যা-শিশুর বৃহৎ জগত রয়েছে। স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকা-ে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যা-শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।  কন্যা-শিশু সুরক্ষা পেলে সব বৈষম্য দূর হবে। কন্যা-শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে কঠোর আইন। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হতে হবে কন্যা-শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কন্যা-শিশুর অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে পুরুষকে।