ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন সারজিস

রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে যে মন্তব্য করলেন সারজিস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘রাজনীতির জায়গায় যদি ভালো মানুষগুলো না যায়, দিন শেষে আপনি এই দেশে যা–ই হোন না কেন, ওই খারাপ মানুষদের দ্বারা আপনাকে শাসিত ও শোষিত হতে হবে।’ সারজিস আলম বলেন, ‘আপনি যদি চান যোগ্য মানুষগুলো, মেধাবী মানুষগুলো দেশের কার্যক্রম পরিচালনায় যাক, আপনি যদি চান দেশের তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষিত প্রজন্মটি ওই সংসদে গিয়ে আপনার জন্য নীতি নির্ধারণ করুক, তাহলে হয় আপনাকে রাজনীতিবিদ হতে হবে, না হয় আপনাকে রাজনৈকভাবে সচেতন হতে হবে। কারণ, দিন শেষে রাজনীতির বাইরে কিছুই নাই।’ ছাত্র–জনতার উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনাদের হয় মেধাবী এবং দক্ষতাসম্পন্ন হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে হবে। অথবা রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে উঠতে হবে।’ রবিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ছাত্র–জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সারজিস আলম এসব কথা বলেন। 

আযমীর জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বক্তব্য : যা জানালো জামায়াত সেক্রেটারি

আযমীর জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বক্তব্য : যা জানালো জামায়াত সেক্রেটারি

জাতীয় সংগীত পরিবর্তন প্রসঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত, এটি জামায়াত ইসলামের বক্তব্য নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এ ছাড়া জামায়াতকে নিয়ে ৪৮ বিশিষ্ট নাগরিকের বক্তব্যকে অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ওয়েস্টার্ন কুজিন মিলনায়তনে ছাত্র-জনতার অভ্যুন্থানে শহীদদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আযমীর কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই জানিয়ে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তার একান্ত ব্যক্তিগত। সুতরাং তার বক্তব্যকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই। জামায়াত সেক্রেটারি আরও বলেন, বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুন্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অপচেষ্টার কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবনুালে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরেও জামায়াতের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যা করে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। যার প্রমাণ দৃশ্যমান। তিনি বলেন, এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশের সংস্কার। গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। সংবিধান, নির্বাচন কমিশনের এবং সাংবিধানিক যে প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ হয়েছিল সেগুলোর সংস্কার করতে হবে। ১৫ বছরের এসব জঞ্জাল সাফ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। সব সংস্কার সম্ভব না হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যেগুলো করা দরকার এখন সেটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মতবিনিময় সভা শেষে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্চ থেকে নেমে দর্শকসারিতে বসা শহীদ পরিবারদের সদস্যদের কাছে আসেন। তাদের জড়িয়ে ধরে কাঁদেন। এ সময় সেখানে শোকাহত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে শহীদ ১৬ পরিবারের প্রত্যেককে ১ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়। মহানগর জামায়াতের আমীর এটিএম আজম খানের সভাপতিত্বে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, জামায়াতের জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফী,মহানগর শিবিরের সেক্রেটারি নুরুল হুদাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান খসরুর

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান খসরুর

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এবি পার্টি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  আমীর খসরু বলেন, এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, যে শক্তি দেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই শক্তিকে যদি পরাজিত করতে হয়, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে অক্ষুণœ রাখতে হবে।

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড  ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ  বিতর্ক আজ

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক আজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনো বাকি প্রায় দুই মাস। এর মধ্যেই দেশটিতে নির্বাচনী লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। আজ কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম এবং সম্ভবত একমাত্র টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এই ঐতিহাসিক বিতর্ক দেখতে কোটি কোটি মার্কিনিসহ বিশ্ববাসীর চোখ থাকবে আজ টেলিভিশনের পর্দায়। সর্বশেষ সমীক্ষাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ট্রাম্প এখনো প্রায় অর্ধেক ভোটারের দৃঢ় সমর্থন ধরে রেখেছেন। যদিও তিনি একজন অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হারের ফলাফল বদলানোর চেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। খবর আলজাজিরা ও সিএনএন অনলাইনের। 

৬ দিনে বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকা

৬ দিনে বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকা

 টানা ষষ্ঠ কার্যদিবস দরপতনে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। ছয় দিনের পতনে বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি। সরকার পতনের পরপর সূচক, শেয়ারদর ও লেনদেনে লাফ দেওয়ার পর এই দরপতন শুরু হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসান বরং আরও বেড়েছে। শেয়ারদর বাড়তে থাকার পর মুনাফার আশায় বিনিয়োগ করে এখন বরং আটকে গেছেন তারা। ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দরপতনের মধ্যে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার শুরুতে উঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়ে বেলা ১২টার পর সূচক ছিল ইতিবাচক। আগের কয়েকদিনের মতোই পতন হয় শেষ বেলায়। শেষ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের মতোই ৪৯ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ হয় লেনদেন। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে দরপতন শুরু হলে ছয় দিনে কমেছে ১৭৪ পয়েন্ট। এই পতনে বাজারে তালিকাভুক্ত সব শেয়ারের মোট মূল্য বা বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ ৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর চার কর্মদিবসে সূচক ৭৮৬ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা যারা নতুন করে শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের সেই সিদ্ধান্ত এখন আর্থিক লোকসানের কারণ হয়েছে। লেনদেন নেমে এসেছে ৬২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়, গত ১১ আগস্ট যা ছিল ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে দরপতন শুরু হওয়ার দিনও ছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি টাকার বেশি। তালিকাভুক্ত ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর হারিয়েছে ৩০৭টির, বিপরীতে বেড়েছে ৬৭ টির ও আগের দরে লেনদেন হয় ২৫টির কোম্পানির শেয়ার। ডিএসইর লেনদেন তথ্য অনুযায়ী, একক খাত হিসেবে মোট লেনদেনে সবচেয়ে বেশি ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ অবদান রাখে ব্যাংক খাত। একক খাত হিসেবে ১৭ শতাংশ অবদান রাখে ওষুধ ও রসায়ন খাত। তৃতীয় অবস্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের অবদান ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ডিএসইর প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়া সূচক ডিএসইএস আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে হয় ১ হাজার ২১৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট হারিয়ে অবস্থান নেয় ২ হাজার ৯২ পয়েন্টে। একক কোম্পানি হিসেবে ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে এসেছে লোকসানি কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের।