
ছবি: সংগৃহীত
সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য উন্নতমানের ঘুম অপরিহার্য। আপনি সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে লম্বা একটা ঘুম দেবার জন্য শুয়ে পড়লেন বিছানায়। কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছে না। বহু লোকেরই এ সমস্যা হয়েছে কোনো না কোনো সময়।
পর্যাপ্ত ঘুম সবার প্রয়োজন। তবে কিশোর-কিশোরীদের জন্য দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু বেশির ভাগ কিশোর-কিশোরীর পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এই বয়সে মানুষ বিভিন্ন রকম কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
ভালো ঘুমের জন্য ৫টি উপায় নিচে দেওয়া হলো
১. নিয়মিত ব্যায়াম করলে অনিদ্রা কমে যায়। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা কাছাকাছি সময়ে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
২. সন্ধ্যায় চা-কফি খাবেন না। চা কিংবা কফি খাবেন সকালে কিংবা দুপুরে, রাতে নয়। এক কাপ কফির প্রতিক্রিয়া শরীরে থাকে দশ থেকে বারো ঘণ্টা।
৩. ঘুমের আগে অ্যালকোহল খাবেন না। অ্যালকোহল ঘুম আনায় না, উল্টো ঘুম হরণ করে।
৪. ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এগুলো থেকে যে নীল আলো ছড়ায়, তা আপনার মস্তিষ্ককে ঘুমোতে দেয় না।
৫. বিছানায় যাবার আগে এমন একটা কিছু করুন যা আপনার দেহ ও মনকে চাপমুক্ত করবে। এটা আপনাকে প্রতিদিনই করতে হবে, যাতে এটা করলেই আপনার শরীর এবং মস্তিষ্ক বুঝে যায় যে আপনার ঘুমানোর সময় হয়েছে।
এটা যে কোনো কিছু হতে পারে। যেমন পরিবারের লোকজনদের সাথে গল্প করা, মেডিটেশন বা ধ্যান করা, আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলা, ডায়েরি লেখা, বই পড়া, বা আলো কমিয়ে দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত শোনা ইত্যাদি।
প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নিশ্চিত করুন যেন প্রতি রাতে আপনার সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়।
মুমু ২