ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

পাটগ্রামে

থানায় হামলা ও আসামি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১৪, বহিষ্কার বিভিন্ন দলের তিন নেতা

জামাল বাদশা, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:০৭, ৬ জুলাই ২০২৫

থানায় হামলা ও আসামি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১৪, বহিষ্কার বিভিন্ন দলের তিন নেতা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে থানা হেফাজত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নিতে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন ছিনতাই হওয়া দুই আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুন্নবী কাজল এবং আরও কয়েকজন বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল নেতা-কর্মী ও সমর্থক।

ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার (২ জুলাই) রাতে।

পাটগ্রামের মমিনপুর এলাকার বেলাল হোসেন ও মির্জারকোর্ট এলাকার সোহেল রানা নামের দুই পাথর কোয়ারির শ্রমিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের কারাদণ্ড দিলে তাঁদের পাটগ্রাম থানায় নেওয়া হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাজাপ্রাপ্তদের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে থানায় ঢুকে প্রথমে তর্ক ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় থানার দরজা-জানালা, ল্যাপটপ ও আসবাবপত্র এবং ছিনিয়ে নেওয়া হয় দুই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে।

এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। প্রথম দফায় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় বেলাল, সোহেলসহ আরও ছয়জনকে। সব মিলিয়ে দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদ আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে হামলার সময় পাটগ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ সহায়তা চাইলেও, থানা চত্বর ঘিরে রাখা ও রাস্তায় ব্যারিকেডের কারণে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। এই ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতীবান্ধা উপজেলা আহ্বায়ক নুরুন্নবী কাজল ও আরও দুজনকে। দলীয় সিদ্ধান্তে কাজলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জাহাঙ্গীর মোস্তাফিজ চপল এবং পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেনকেও বহিষ্কার করেছে সংশ্লিষ্ট সংগঠন।

লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত বাকি অভিযুক্তদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।” তিনি জানান, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সানজানা

×