
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর,আখাউড়া, কসবা উপজেলা জুড়ে রয়েছে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আর এই সীমান্ত বেছে নিয়েছে অবৈধ ভারতীয় পণ্য আর মাদক ব্যবসায়ীরা।
মাদকদ্রব্য চোরাচালানের বড় চালান আসে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে,সকাল, দুপুর বা গভীর রাতে প্রতিনিয়ত অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে মাদক কারবারীরা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা,মাদক চোরাচালান দমন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথবাহিনী,র্যাব,পুলিশ,ডিবি,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় টাস্কফোর্স পরিচালনা করেও হচ্ছে না নিয়ন্ত্রণ।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ২৫ জুন ২০২৪ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত বিশেষ চোরাচালানি অভিযান পরিচালনা করে ০৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য এবং ১৫৭ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬২৪ টাকা মূল্যের অন্যান্য চোরাচালানি মালামালসহ সর্বমোট ১৬৫ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৬০ টাকা মূল্যের চোরাচালানি মালামাল আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও বিজয়নগর,আখাউড়া,কসবা থানা পুলিশের অভিযান,র্যাব, যৌথবাহিনী, ডিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী- বাংলাদেশ থেকে ভারতে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। বিনিময়ে আমরা পাচ্ছি মাদকদ্রব্য, যা ছড়িয়ে যাচ্ছে সমগ্র দেশে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অধিকাংশ পরিবার,নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ,বাড়ছে দিনদুপুরে খুন ছিনতাই।
২৫বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল জাব্বার আহমেদ দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, "ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত হতে যে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য চোরাচালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর এবং সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অভিযান চলমান থাকবে।"
Mily