
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা বিএনপি'র কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে আনজুমান আরা বেগম ও বেলাল হোসেন মিলনের পরিষদ।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা বিএনপি'র আয়োজনে পাঁচরাস্তা চত্বর এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আনজুমান আরা বেগম। এ সময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বেলাল হোসেন মিলন ও কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী শামীম আহমেদ বাদল সহ উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
লিখিত বক্তব্যে সভাপতি প্রার্থী আনজুমান আরা বেগম বলেন, আনোয়ার পঞ্চায়েত ২০০২ সালে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়। এরপর থেকেই দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি ও নানা ধরনের সুবিধা নিতে ব্যস্ত ছিলেন। বিগত সরকারের আমলে বেশিরভাগ সময় এলাকা ছেড়ে ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। সরকার বিরোধী কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তার কোন উপস্থিতি ছিল না। যার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ ও সখ্যতা খুবই কম। যার ফলে তার সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললে চলে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করে দলীয় নেতা কর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন করছে। এমনকি কাউন্সিল অধিবেশনের তারিখ পরিবর্তনের পাঁয়তারা করছেন। নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে ভোটাররা যাদেরকে নির্বাচিত করবেন তা মেনে নেওয়ার জন্যও এই পরিষদ আহ্বান জানান। আঞ্জুমান আরা আলো আরও বলেন, তার চাচা যুদ্ধকালীন ৯ নং সাব সেক্টরের সেকেন্ড ইন কমান বাগেরহাট জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার তাকে পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে শরণখোলা নিয়ে আসে। পরে ১৯৮১ সালে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিউর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকে তিনি স্বামীর পাশে থেকে বিএনপি রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে অনেক হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বাড়িতে অনেকবার হামলা হয়েছে। তার স্বামী খান মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অনেকগুলি নাশকতার মামলা হয়েছে যা অন্য কোন নেতার বিরুদ্ধে হয়নি। স্বৈরাচারী এরশাদ ও আওয়ামী ফেসিস্ট সরকার বিরোধী সকল আন্দোলনে সংগ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে তার স্বামী মতিয় রহমান অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি দাবি করেন শরণখোলা উপজেলায় তার পরিবারের চেয়ে বেশি অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার কেউ হয় নাই।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বেলাল হোসেন মিলন বলেন, দলের জন্য জেল খেটেছি, মার খেয়েছি। আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করছে। এবং কাউন্সিল যাতে সুষ্ঠভাবে না হতে পারে তার পাঁয়তারা করছে। শরণখোল বিএনপির কর্মীরা এসব অপতৎপরতা মেনে নেবে না। সুষ্ঠভাবে নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল হবে।
গেল ৫ জুলাই শরণখোলা উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে জেলা বিএনপি মনোনীত কমিটি আগামী ১৩ জুলাই কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এর আগে গেল ২ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে আনজুমান আরা ও বেলাল হোসেন মিলন পরিষদের বিরুদ্ধে নানা বিষেদাগার করেন একই দলের সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার পঞ্চায়েত।
মিরাজ খান