ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০২ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

পরিবেশ

পরিবেশ বিভাগের সব খবর

বিষে ভরা এই পাখি, ছুঁলেই হতে পারে মৃত্যু!

বিষে ভরা এই পাখি, ছুঁলেই হতে পারে মৃত্যু!

শখের বশে অনেকেই বাড়িতে নানা রকম পাখি পোষেন। তবে খাঁচায় বন্দি করে রাখার বিষয়টি আবার অনেকেরই অপছন্দ। শখ করে পাখি পোষাই হোক বা পাখি ধরে পোষ মানানো, এই দু’টি বিষয় বেশির ভাগ পাখির ক্ষেত্রে সহজ হলেও দুই প্রজাতির পাখির ক্ষেত্রে অতটা সহজ নয়। এই দুই প্রজাতির পাখির সংস্পর্শে এলে বা কোনো রকমে ছুঁয়ে ফেললে তার ফল মারাত্মক হতে পারে। শুধু তাই নয়, মৃত্যুও হতে পারে। পাখিকে ছুঁলেই মৃত্যু? এমন আগে কখনও শুনেছেন? বিশ্বাস নাও হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এমনই পাখি আছে, যেগুলো প্রাণঘাতী।বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড়, সরীসৃপ সম্পর্কে আমরা অনেক কথাই শুনেছি। কিন্তু বিষাক্ত পাখি? বোধহয় এমন কাহিনি আগে কেউ কখনও শোনেননি। জানতে পারার কথাও নয়। কারণ, সম্প্রতি এমনই দুই প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ডেনমার্কের বিজ্ঞানীদের দাবি, এই পাখিগুলো আর পাঁচটি সাধারণ পাখির মতো নয় যে, এদের মন চাইলে খাওয়াবেন বা গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করবেন। ফলে এই সব পাখি থেকে দূরে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছেন তারা। 

শ্রীপুরের বাগানে নেদারল্যান্ডসের ৬৫ হাজার টিউলিপ  

শ্রীপুরের বাগানে নেদারল্যান্ডসের ৬৫ হাজার টিউলিপ  

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া দক্ষিণখন্ড গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের “মৌমিতা ফ্লাওয়ার্সে” এবারও ফুটেছে শীতের দেশের টিউলিপ। এ দম্পতি ২০২০ সালে প্রথমবার দেশে টিউলিপ ফুল ফুটিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তার বাড়ির পাশে এক বিঘা জমিতে বিশাল বাগানে চাষ করেছেন ১২ জাতের ৭০ হাজার টিউলিপ। তিনবার টিউলিপ ফোটানোর গবেষণা ও সফলতার পর এটি দেলোয়ার ও সেলিনা দম্পতির চতুর্থবারের বাণিজ্যিক সফলতা। বাড়ির পাশের এক বিঘা জমির বিশাল বাগানে বাহারি রংয়ের টিউলিপ ফুল এখন বাতাসের সঙ্গে দোল খাচ্ছে। এ যেন এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃত্রিম উপায়ে ছাদ ও প্রাচীর তৈরী করে তাপমাত্রা কমিয়ে বিদেশী ফুল টিউলিপ ফোটানোর সফলতা এসেছে। প্রথম বছর এক হাজার ১’শটি বাল্ব (বীজ হিসেবে ব্যহৃত কান্ড) পরের বছর ২০ হাজার এবং এর পরের বছর ২৩ হাজার বাল্ব রোপণ করে শতভাগ ফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন ওই চাষী দম্পতি। গবেষণালব্ধ ১৩টি রঙের মধ্যে ৫টি রঙের ফুল তার বাগানে বাতাসে দোল খাচ্ছে। এরমধ্যে সাদা, লাল, গোলাপী, হলুদ, হলুদ-খয়েরী সংমিশ্রণ উল্লেখযোগ্য। তারা এ চাষ ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশের উত্তরাঞ্চলের আরও আটটি এলাকায়। দেশের মোট ১৪ টি স্থানে এবছর টিাউলিপ ফোটেছে। সারি সারি বাহারি রঙের ফুল দেখতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শণার্থীরা তার বাগানে ভীড় করছেন। দর্শনার্থীদের প্রবেশমুল্য ১’শ টাকা করে নিচ্ছেন।  টিউলিপের চাষ নিয়ে দেলোয়ার বলেন, প্রথম বছর দুই শতাংশ জমিতে টিউলিপের চাষ করি। আমরা সফলতা পেয়ে এবার নিয়ে চারবার টিউলিপ ফুলের চাষ করেছি। গত বছর ৭০ হাজার বাল্ব ছিলো। এবার রয়েছে প্রায় দুই লাখ বাল্ব। বাংলাদেশের ১৪ টি স্থানে এবার টিউলিপের চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে পঞ্চগড়ে বড় একটা চাষ হচ্ছে। সেটা দুটি এনজিওর সহায়তায় ২০ জন নারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে ট্যুরিজম এলাকা করা হয়েছে। আমাদের এখানে প্রায় ৬৫ হাজার বাল্ব আছে। আমরা ফুল ফুটিয়ে বাজারে বিক্রিও করছি। যারা পর্যটক আসছে তারা ১০০ টাকা করে টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দেখছে। এ বছর থেকে বাজারে আমাদের ফুল যাচ্ছে। আমরা বাজারে ফুল বিক্রি করে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমাদের এখান থেকে স্থানীয় ফুল বিক্রেতারা ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ এক হাজার, দেড় হাজার এবং দুই হাজার টাকার ফুল কিনে নিয়ে বিক্রি করছে। এখানে পট প্ল্যান আছে। আমরা পট প্ল্যানও বিক্রি করছি। মোটামুটি অন্যান্য বছরের চেয়ে বাণিজ্যিক যে সাড়া সেটা পাচ্ছি। আর টিউলিপ চাষ আমাদের বাংলাদেশের জন্য একটা কঠিন চ্যলেঞ্জের ফুল। 

জলবাযু পরিবর্তনের প্রভাবে পাল্টে যাচ্ছে জীবন-জীবিকা 

জলবাযু পরিবর্তনের প্রভাবে পাল্টে যাচ্ছে জীবন-জীবিকা 

জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়েছে হবিগঞ্জে তরুণ জলবায়ুকর্মীরা। তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি জলবায়ু ও জ্বালানি-সুরক্ষিত বাংলাদেশ দেখতে চান। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের আহবান জানান বক্তারা।   বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার  (২ মার্চ) দুপুরে  হবিগঞ্জ জেরা শহরের আরডি  হল  প্রাঙ্গণে জলবায়ু পদযাত্রা শেষে এক সভা থেকে তরুণ জলবায়ুকর্মীরা এ দাবি জানান।