ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পরিবেশ

পরিবেশ বিভাগের সব খবর

সোলার এক্স স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জ চালু ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের

সোলার এক্স স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জ চালু ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সৌর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ও উদ্যোক্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কপ২৮ এর অধিবেশনে সোলার এক্স স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জ চালু করেছে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ)। আফ্রিকাতে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি সোলারএক্স এপিএসি বিশ্বের নানা প্রান্তে তাদের সৌরশক্তির এইসকল উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত।    এই যুগান্তকারী উদ্যোগের লক্ষ্য হল ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা, বৈশ্বিক শক্তির রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা এবং বিনিয়োগকে শক্তিশালী করা। আইএসএ-এর মহাপরিচালক অজয় মাথুর কৌশলগত প্রচারণার মাধ্যমে সৌরশক্তি স্থাপনের উপর জোর দিয়েছেন। 

জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্ব ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি হারিয়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্ব ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি হারিয়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের অর্থনীতি থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ ২৮তম জলবায়ু সম্মেলনের আগে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী জিডিপি ক্ষতি ছিল জিডিপির ১.৮ শতাংশ, ডলারের হিসাবে প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে উচ্চ জনসংখ্যার কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলো ৮.৩ শতাংশের জিডিপি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।ডলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো গত বছরের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উৎপাদন থেকে ৬.৩ শতাংশ কেড়ে নিয়েছে। প্রভাবগুলোর মধ্যে ছিল কৃষি ও উৎপাদনে ব্যাঘাত, উচ্চ তাপের কারণে উৎপাদনশীলতা হ্রাস এবংবৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর ছড়িয়ে পড়া অভিঘাত। এ প্রসঙ্গে ডলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক জেমস রাইজিং বলছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব ট্রিলিয়ন ডলারের দরিদ্রতর হয়েছে এবং সেই বোঝার বেশির ভাগই দরিদ্র দেশগুলোর উপর পড়েছে। আমি আশা করি, এই তথ্যগুলো আজকে ইতোমধ্যেই অনেক দেশ যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে এবং তাদের মোকাবেলা করার জন্য তাদের জরুরীভাবে যে সমর্থন প্রয়োজন তা স্পষ্ট করতে পারে।’ লেখকদের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, মাথাপিছু জিডিপির নিরিখে প্রভাবগুলো বিবেচনা না করে গণনা করা হলে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী জিডিপি ক্ষতি ছিল জিডিপির ১.৮ শতাংশ, ডলারের হিসাবে প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এই দুটি সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য প্রভাবগুলোর অসম বন্টনকে প্রতিফলিত করে, যা নিম্ন-আয়ের দেশ এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে কেন্দ্রীভূত। এ সব দেশে সাধারণত বেশি জনসংখ্যার বসবাস এবং জিডিপির পরিমান কম। উচ্চ জনসংখ্যার কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলো ৮.৩ শতাংশের জিডিপি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এরমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব অঞ্চলের দেশ তাদের জিডিপির ১৪.১ শতাংশ এবং ১১.২ শতাংশ হারিয়েছে৷অন্যদিকে কিছু উন্নত দেশ লাভবান হয়েছে। উষ্ণ শীতের জন্য ইউরোপ গত বছর তাদের জিডিপিতে প্রায় পাঁচ শতাংশ নেট লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ধরনের লাভগুলো কমে আসছে। কারণ তীব্র গরম এসব দেশে গ্রীষ্মের হালকা শীতকে দমিয়ে দিচ্ছে।