
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে সম্প্রতি একের পর এক সামরিক ও গোয়েন্দা হামলার প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি। ইসরাইলি হামলা থেকে বারবার অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া ও জনসমক্ষে হঠাৎ উপস্থিতি তাঁকে ঘিরে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ তৈরি করেছে। এই বিতর্কের মাঝেই এবার সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ*।
গত ১৩ জুন ইরানের ভেতরে সুনির্দিষ্ট ও সফল হামলা চালায় ইসরাইল। এই হামলায় নিহত হন ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী। পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, ইরানের ভেতরে ইসরাইলি গুপ্তচরবৃত্তি এতটাই গভীরভাবে গড়ে উঠেছে যে এই হামলা সম্ভব হয়েছে।
এই ঘটনার পর ইরানের রাজধানী তেহরানে ২৪ জুন এক জনসমাবেশে হঠাৎ করেই জনসম্মুখে উপস্থিত হন কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল কানি। এরপরই শুরু হয় গুঞ্জন—তিনি কি ইসরাইলের গুপ্তচর?
গল্প আরও ঘনীভূত হয় যখন ২৮ জুন সহকর্মীদের জানাজায় অংশ নেন কানি। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কানিকে নিয়ে নানান ধরনের সন্দেহ ও জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।এই প্রথম নয়—গত বছরের অক্টোবরেও কানি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে খবর ছড়ায়, কিন্তু কিছুদিন পর তিনি সবার সামনে হাজির হন। একইভাবে ১৩ জুন হামলায় নিহতদের তালিকায়ও কানি ছিলেন, কিন্তু কিছুদিন পর ফের তাকে দেখা যায়।
এইসব গুঞ্জনের মাঝে ৩০ জুন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ফারসি ভাষার অফিসিয়াল X (সাবেক টুইটার) একাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, ইসমাইল কানি আমাদের গুপ্তচর নয়।
তারা আরও জানায়, “প্রতিবার ইসরাইলি হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ায় তাকে ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনা।”
ছামিয়া