ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

শিক্ষা

শিক্ষা বিভাগের সব খবর

আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ

আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ)-এর শিক্ষার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী ও উদ্ধতপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের উপরে ইজরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি  (বৃহস্পতিবার) মিরপুর-১২ বাস স্ট্যান্ড এরিয়াতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। ‘ডাউন উইথ আমেরিকা’, ‘স্টপ ইসরায়েল’ এবং ‘ফিলিস্তিনকে মুক্তি দাও’ এ ধরনের স্লোগান দিতে থাকে তারা। বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে আমেরিকার আধিপত্যবাদের ইতিহাস এবং ইসরাইলকে সমর্থনের মাধ্যমে সংঘঠিত ইতিহাসের সর্বনিকৃষ্ট গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আধিপত্যবাদ কায়েম করে আসছে এবং ইসরাইলকে সমর্থন করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমেরিকার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১২ থেকে শুরু হয়ে আশেপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা আমেরিকার ও ইসরাইলের পতাকা পদদলিত করে এবং পুড়িয়ে ফেলে তাদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা আমেরিকার আধিপত্যবাদ ও ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ জানাতে এখানে এসেছি।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং রানার্স আপ হয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান, আরও উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা ও কৃষক সেবা সেন্টার এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হাসান, সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল কালাম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক মো. খাদেমুল ইসলামসহ প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীবৃন্দ। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ‘আজকের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা এক ধরণের একাডেমিক সেশন। যেকোন বিষয় উপস্থাপনার ধরণের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে, অনেক সময় উপস্থাপনার মাধ্যমে নেগেটিভ বিষয়কেও তোমরা বিতর্কের মাধ্যমে পজেটিভভাবে উপস্থাপন করতে পারো। যার পরিবর্তন ও প্রভাব সমাজে লক্ষ্য করা যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখান থেকে প্রাপ্ত ধারণা গুলো শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দিবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি এর মাধ্যমে তোমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে দক্ষতা অর্জন করতে পারো এবং ভবিষ্যতে কি করতে হবে সেটা নির্ধারণ করতে শেখো।’ বক্তব্য প্রদান শেষে তিনি বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

৮ম সার্টিফিকেট এ্যাওয়ার্ড

৮ম সার্টিফিকেট এ্যাওয়ার্ড

রাজধানীর পর্যটন কর্পোরেশন ভবন আগারগাঁও-এর অডিটোরিয়ামে এইচ বি এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট-এর ‘৮ম এইচ বি সার্টিফিকেট এন্ড এ্যাওয়ার্ড সেরেমনি’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালে উক্ত ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে এয়ার টিকেটিং ও ভিসা প্রফেশনের উপর কোর্স সম্পন্ন করা ঢাকা ও সিলেটের ২০০ জন সফল শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়; যারা ট্রেনিং গ্রহণ করে উদ্যোক্তা হয়েছেন এমন ২০ জন সফল উদ্যক্তাসহ, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে ইন্সটিটিউটটি ৮ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে ৮ জন এতিম শিশুকে বিশেষভাবে সম্মানিত করে। তাদের জন্য অনুদান ও উপহারসহ এইচ বি এভিয়েশন ও স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের যৌথ উদ্যোগে ‘কিডস স্পেসক্যাম্প’-এ ট্রেনিংয়ের সুযোগ করে দেয়া হয়। এইচ বি এভিয়েশন ৮ম বছর এ পদার্পণ করায়, অনুষ্ঠানে বেশকিছু গণমাধ্যমকর্মীর সামনে মূল কি নোট উপস্থাপন করেন এইচ বি এভিয়েশনের ফাউন্ডার এন্ড চেয়ারম্যান জনাব যাকি এস বারী। তিনি বলেন, ‘এইচ বি এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট গত ৭ বছর ধরে এভিয়েশন ও ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম সেক্টর এ উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরী করে আসছে। এইচ বি এভিয়েশন শুধুমাত্র ট্রেনিংই প্রদান করছে না, ট্রেনিং শেষে শিক্ষার্থীদের চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেও পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করে আসছে। এছাড়াও এইচবি এভিয়েশন তাদের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলবার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন শীর্ষ ট্রাভেল ট্রেড প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে এইচবি এভিয়েশনের শিক্ষার্থীরা সেসব শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারছে। এছাড়াও এইচ বি থেকে ট্রেনিং নিয়ে যারা উদ্যোক্তা হচ্ছে, তাদের জন্য ২০+ সার্ভিস ফ্রিতে প্রদান করছে এইচ বি এভিয়েশন এবং সামনে এইচ বি এভিয়েশনের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, যাতে তারা ট্যুরিজম ইন্ড্রাস্ট্রিতে সফল হতে পারে এবং বাংলাদেশের ট্যুরিজম ইন্ড্রাস্ট্রিতে অবদান রাখতে পারে। উক্ত অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন সেইবার বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার ও সিইও জনাব সাইফুল হক, বাংলাদেশ বেতারের ডিরেক্টর জেনারেল জনাব এএসএম জাহিদ, স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট জনাব আরিফুল হাসান অপু, বিভিন্ন এয়ারলাইনস ও জিডিএসের জেনারেল ম্যানেজার ও অফিসারবৃন্দ এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ। সকলেই এইচ বি এভিয়েশনের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রহণ করা বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, এইচ বি এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম ইন্সটিটিউট ২০১৮ সাল থেকে এয়ার টিকেটিং প্রফেশনের উপর ট্রেনিং প্রদান করে আসছে। বর্তমানে ইন্সটিটিউটটির ঢাকা, চিটাগং এবং সিলেটে মোট ৩টি শাখা রয়েছে। এইচ বি এভিয়েশন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত ও আইএসও সার্টিফাইড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। এখন পর্যন্ত এই ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ট্রেনিং গ্রহণ করে দেশে বিদেশে চাকরি বা ব্যবসা করছে।

হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য ভালোবাসা

হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় সবার জন্য ভালোবাসা

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ‘সবার জন্য ভালোবাসা’ স্লোগানকে সামনে রেখে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হওয়া এ আয়োজনে ৬ষ্ঠ পর্ব উদযাপিত হয় এ বছর। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্ণাই এলাকায় মারকাযুন নূর মাদ্রাসার শিশুদের নিয়ে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। ফিন্যান্স বিভাগের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী  সকালে পৌঁছালে সকলকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয় মাদ্রাসার সকল শিশু। এ সময় মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও শিশুদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর তাদের নিয়ে আল-কুরআন প্রতিযোগিতা, ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতা হামদ, নাত ও গজল  এবং বিভিন্ন খেলাধুলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণীর পর দুপুরে মাদ্রাসার প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীর দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও তাদের শিক্ষাসামগ্রী কলম ও চকলেট উপহার দেওয়া হয়। এমন উপহার সামগ্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত মাদ্রাসার সকল শিশুরা। এমন আয়োজনে খুশি হয়ে আয়োজকদের প্রতি শুকরিয়া ও আয়োজক সকলের সুস্বাস্থ্য ও নেক দীর্ঘ হায়াত কামনা করে দুআ করেন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা। ব্যতিক্রমী এ আয়োজন সম্পর্কে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক শাকিলা জেবিন বলেন, প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে হাবিপ্রবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ ‘সবার জন্য ভালোবাসা’ শীর্ষক একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে। যেখানে সুবিধাবঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া এতিম শিশুদের নিয়ে দিনটি আয়োজন করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতার মাধ্যমে আয়োজন সফল হয়। আয়োজন সম্পর্কে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, এতিম, অবহেলিত শিশুদের দিনটি খুব ভালোভাবে উপভোগ করানোর জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। যাতে ওরাও বিশেষ দিনটিতে আনন্দিত থাকতে পারে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সীমানা পেরিয়ে লক্ষ্যে অবিচল

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সীমানা পেরিয়ে লক্ষ্যে অবিচল

হোমাইরা জাহান সনম প্রথম বাংলাদেশী নারী যিনি থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘এশিয়া-প্যাসিফিক এসোসিয়েশন অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউশন্স’ (এপিএএআরআই)-এ টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। হোমাইরা কৃষি বিষয়ে স্নাতক ও কীটতত্ত্বে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পূর্বে তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এগ্রিকালচার এন্ড বায়োসায়েন্সেস ইন্টারন্যাশনাল (সিএবিআই)-এ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন। এপিএএআরআই একটি সদস্যভিত্তিক, অরাজনৈতিক, বহু-অংশীদার এবং আন্তঃসরকারি আঞ্চলিক সংস্থা; যার লক্ষ্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সংস্থাটি ১৯৯০ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-সহ ১৩টি দেশের সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২১টি কোর সদস্য দেশের মাঝে বাংলাদেশ অন্যতম। হোমাইরার ছোটবেলা কেটেছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার হাওরের প্রত্যন্ত বড়ই গ্রামে। গ্রাম থেকে স্কুলে যেতে তিন কিলো রাস্তা হাঁটতে হয়। প্রত্যন্ত গ্রামের একমাত্র মেয়ে হিসেবে দেশের সুনামধন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তিনি। ছোট থেকে আর্মি অফিসার হওয়ার তীব্র বাসনা থাকলেও সামাজিক প্রতিবন্ধকতায় তা আর হয়ে উঠেনি। তবে দমে যাননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই কৃষি গবেষণার নেশা তাকে পেয়ে বসে। সেই থেকে শুরু। স্নাতকোত্তর শেষ করেই স্বামী ও পরিবার সামলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন। এর মাত্র ৬ মাস যেতেই প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে যুক্ত হন এগ্রিকালচার এন্ড বায়োসায়েন্সেস ইন্টারন্যাশনাল (সিএবিআই)-এ। সিএবিআই-তে সুনামের সাথে কাজ করেন এক বছরের বেশি। পরবর্তীতে নিজ কর্ম দক্ষতায়  এশিয়া-প্যাসিফিক এসোসিয়েশন অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউশন্স-এ টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে থাইল্যান্ডে কর্মরত আছেন। তিনি আপারি-তে গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছেন। জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের কৃষি খাতকে প্রস্তুত রাখতে ন্যাচারাল রিসোর্স ব্যবস্থাপনা ও এই অঞ্চলকে স্যানিটারি এবং ফাইটোস্যানিটারি মেজারমেন্টে দক্ষ করে কৃষি বানিজ্যে এগিয়ে থাকা ও টেকসই কৃষি অনুশীলন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা, নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের গবেষণা সমন্বয়সহ নানাবিধ কৃষি উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত আছেন।

স্কলারশিপ ২০২৫

স্কলারশিপ ২০২৫

এসএসসি এবং এইচএসসি শেষ করার পর অনেক শিক্ষার্থীই বিদেশে পড়াশোনা বা উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে। নতুন পরিবেশ, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় নিজেকে গড়ে তোলার আকাক্সক্ষা তাদের এই স্বপ্নকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। তবে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনেকেই সেই স্বপ্ন পূরণে হিমশিম খাচ্ছেন, যা তাদের অগ্রযাত্রাকে থমকে দেয়। ২০২৫ সালে বিদেশে ফ্রি স্কলারশিপের এমন কিছু সুযোগ আছে যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য সত্যিকারের সহায়ক হতে পারে। স্কলারশিপ পেতে হলে যোগ্যতার বিষয়গুলো জানতে হবে, কীভাবে আবেদন করতে হয় তা বুঝতে হবে এবং সুযোগগুলো কোথায় তা জানতে হবে। আজ আপনাদের সঙ্গে এসব তথ্য শেয়ার করছি, যাতে আপনারা বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পেতে আরও আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন।