ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য বিভাগের সব খবর

খাদ্যনালিতে কিছু আটকে গেলে

খাদ্যনালিতে কিছু আটকে গেলে

অন্যমনস্কভাবে খাওয়ার সময় মাছের কাঁটা/মাংসের হাড় অথবা ছোট ছোট শিশুরা খেলার সময় কোনো কিছু মুখে দিলে তা গলায় আটকে যেতে পারে। এটি একটি মেডিক্যাল ইমারজেন্সি। এমতাবস্থায় রোগীকে যত শীঘ্রই সম্ভব হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অথবা নিকটস্থ নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কি কি গলায় আটকাতে পারে ১. ধাতব মুদ্রা বা পয়সা ২. খেলনার ছোট ছোট অংশ ৩. বাঁধানো দাঁত ৪. মাছের কাঁটা ৫. মাংসের হাড় ৬. সুই/সেপ্টিপিন এবং আরও অনেক কিছু। খাদ্যনালির কোথায় আটকাতে পারে গলবিল ও খাদ্যনালি এর সংযুক্ত স্থান হলো খাদ্যনালীর সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গা। এইখানেই বেশিরভাগ জিনিস আটকায়। এ ছাড়াও খাদ্যনালীতে চারটি সংকোচিত পয়েন্টে যে কোনো কিছু আটকাতে পারে। রোগের লক্ষণসমূহ ১. রোগীর বা রোগীর লোকজন কোনো কিছু খেয়ে ফেলার অথবা গলায় আটকে যাওয়ার কথা বলবে ২. ঢোক গিলতে অসুবিধা হতে পারে ৩. গলা ব্যথা হতে পারে ৪. অতিরিক্ত লালা বের হওয়া ৫. বমি বমি ভাব হওয়া। রোগ নির্ণয় করার উপায় ১. রোগের লক্ষণসমূহ থেকে ২. গলার বা বুকের এক্সরে করে দেখা যাবে ৩. ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারি। চিকিৎসা : যেহেতু এটি একটি মেডিক্যাল ইমারজেন্সি অবস্থা, সেজন্য রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে ইসোফ্যাগোস্কপির (এন্ডোসকপি) মাধ্যমে খাদ্যনালীতে আটকানো জিনিস বের করতে হবে। চিকিৎসা না করার ফলে কি কি অসুবধিা হতে পারে ১. খাদ্যনালীতে ইনফেক্শন হতে পারে ২. খাদ্যনালী ফুটা হয়ে ফুসফুসে ইনফেক্শন অথবা পুঁজ জমতে পারে। (যদি ধারালো কিছু হয়) এমনকি রোগী মৃত্যুবরণও করতে পারে।

কিডনি পাথরের কারণ ও চিকিৎসা

কিডনি পাথরের কারণ ও চিকিৎসা

কিডনিতে পাথরের কারণগুলো কিডনিতে পাথর হওয়া কিডনির একটি অন্যতম সাধারণ রোগ। শতকরা ১০ ভাগ মানুষের সারাজীবনে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ : কিডনিতে পাথর হওয়ার অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে প্রধান কারণগুলো নি¤œরূপ : ১. বয়স ২০-৫০ বছর ২. লিঙ্গ: পুরুষ: মহিলা = ৩:১ ৩. জেনেটিক বা বংশগত ২৫% ৪. পরিবেশগত কারণ : গরম পরিবেশ, অতিরিক্ত ওজন, ব্যায়াম না করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা। অতিরিক্ত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাদ্য ও লবণ গ্রহণ ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করলেও কিডনিতে পাথর হতে পারে। অপরদিকে কায়িক পরিশ্রম কিডনির জন্য ভালো ফল বয়ে আনে। এছাড়াও শরীরের কিছু রোগ যেমন হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজম, রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ার কারণেও পাথর হতে পারে। ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়লেও ইউরিক এসিড স্টোন ও গাউট হয়। ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশনও কিডনিতে পাথরের একটি কারণ। কিডনিতে পাথর রোগীদের লক্ষণ: ১. কোমরের পাশে ব্যথা । ২. কোমর থেকে তলপেট হয়ে ব্যথা অনেক সময় অ-কোষ বা পায়ের দিকে যেতে পারে । ৩.প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া । ৪. বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া ।  ৫. বমি, জ্বর, মাথা ব্যথা ও খাবারে অরুচি ইত্যাদি।  ৬.কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া । পরীক্ষা নীরিক্ষা ১ কিডনিসহ তল পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম। ২. কোমরের এক্সরে, আই ভি ইউ। ৩. ঈঞ ঝপধহ ড়ভ কটই, ঈঞ ঁৎড়মৎধসসব.  ৪. ঝ.পৎবধঃরহরহব . ৪.গজ টৎড়মৎধসসব.