ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯

monarchmart
monarchmart

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য বিভাগের সব খবর

রোজা ও ডায়াবেটিস

রোজা ও ডায়াবেটিস

বিশ্বে ১৫০ মিলিয়নের বেশি মুসলিম নর-নারী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এদের মাঝে বিপুলসংখ্যক মানুষ রোজাব্রত পালন করে। রোজার সময় খাদ্য এবং ওষুধ গ্রহণে সময়সূচির তারতম্য ঘটে। নিদ্রা, শরীরচর্চা, দৈনন্দিন রুটিন বদলে যায়। ইনসুলিনসহ কিছু ওষুধের মাত্রা বদলে নিতে হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত অনেকের রোজা রাখার ক্ষেত্রে তেমন ঝুঁকি না থাকলেও কারও কারও এমনকি জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। রোজা রাখলে যেসব ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনের ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের রোজা না রাখাই উত্তম। রোজার পূর্বেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  যাদের রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ ডায়াবেটিস রোগীদের নিচের যে কোনো একটি উপাদান বিদ্যমান থাকলে তারা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। * রোজা শুরুর তিন মাসের মাঝে যাদের তীব্র মাত্রার হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিংবা ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিসের মতো জটিলতা তৈরি হয়েছে। * যারা বারবার হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হয় * হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে যারা তা বুঝতে পারে না * যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ খুব নি¤œমানের * যাদের তিন বা ততোধিকবার ইনসুলিন নিতে হয় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য * গর্ভবতী মা * কিডনি বিকল হওয়ার জন্য যাদের ডায়ালাইসিস নিতে হচ্ছে। খাদ্য তালিকায় নজর দিন রোজার সময় খাদ্য তালিকায় নজর দিতে হবে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। নিচের বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। * ইফতারে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করতে হবে পানি শূন্যতা দূর করার জন্য। * মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন জিলাপি, চিনির শরবত, মিষ্টান্ন এবং ভাজাপোড়া খাবার কাবাব, পাকুড়া, পরাটা এগুলো ইফতারের সময় পরিহার করতে হবে। * অতিরিক্ত মিষ্টি ফল গ্রহণ করা যাবে না।  * শসা, খিরা, পেয়ারা, ডাবের পানি, লেবুর পানি অন্যান্য টক জাতীয় ফল ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে। * সেহরি অবশ্যই বাদ দেওয়া যাবে না। * সেহরি ব্যতিরেকে রোজা রাখা অনুচিত। * সেহরি যতটা দেরিতে সম্ভব গ্রহণ করতে হবে। রোজা রেখে শরীরচর্চা রোজা রেখে শরীরচর্চা করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পানিশূন্যতা এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া না হয়। রোজার সময় দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মকা- অবশ্যই পরিচালনা করতে হবে। দিনের বেলায় বিশেষত শেষ বিকেলে অতিরিক্ত শরীর চর্চা না করাই উত্তম। ইফতারের দুই ঘণ্টা পর শরীরচর্চার জন্য উপযুক্ত সময়। তবে তারাবিহ নামাজ শরীর চর্চার অভাব পূরণ করতে পারে। জানা থাকা দরকার * রোজার আগেই ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা পরিবর্তন করে নিতে হবে। * রোজা রেখে রক্তের পরীক্ষা করলে রোজার ক্ষতি হয় না।  * সেহরির ২ ঘণ্টা পর, ইফতারের এক-দুই ঘণ্টা আগে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার অস্তিত্ব বোঝা যাবে। * ইফতার কিংবা ডিনারের দুই ঘণ্টা পর পরীক্ষা করলে ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণের মাত্রা বোঝা যাবে। * দিনের যে কোনো সময় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৩.৩ এর নিচে নেমে গেলে কিংবা সেহরির প্রথম কয়েক ঘণ্টার মাঝে রক্তে গ্লকোজের মাত্রা ৩.৯ এর নিচে নেমে গেলে কিংবা গ্লুকোজের মাত্রা ১৬.৭-এর উপরে উঠে গেলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে।

ফেসিয়াল পালসি

ফেসিয়াল পালসি

সাধারণত নার্ভ ড্যামেজের কারণে মুখের নড়াচড়া করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বলা হয়।  এটা এক ধরনের প্যারালাইসিস, আমাদের ৭ম ক্রেনিয়াল নার্ভটিকে ফেসিয়াল নার্ভ বলে, যখন এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়, তখন তাকে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা পালসি বলা হয়। জন বেল নামের এক ভদ্রলোক এই রোগটি প্রথম আবিষ্কার করেন, সেজন্য একে বেলস পালসিও বলা হয়। এটি যে কোনো বয়সের মহিলা ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে, তবে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগটি বেশি দেখা যায়। ফেসিয়াল পালসি বা বেলস পালসি হওয়ার কারণ- বেলস পালসি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১. ভাইরাস ইনফেকশন ২. মধ্যকর্ণে ইনফেকশন ৩. ঠান্ডাজনিত কারণে ৪. আঘাতজনিত কারণ  ৫. মস্তিষ্কের স্ট্রোকজনিত কারণ ৬. ফেসিয়াল টিউমার  ৭. কানের অপারেশন পরবর্তী ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি । ফেসিয়াল পালসি বা বেলস পালসির লক্ষণ- ১. আক্রান্ত রোগীর মুখ একদিকে বাঁকা হয়ে যায় । ২. আক্রান্ত পাশের চোখ বন্ধ হয় না ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে। ৩. কুলি করতে গেলে অন্য পাশে চলে যায়। ৪. খাবার গিলতে কষ্ট হয় । ৫. কপাল ভাঁজ করতে পারে না । ৬. অনেক সময় কথা বলতে কষ্ট হয় । ফেসিয়াল পালসি বা বেলস পালসি নির্ণয়- এটি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ও রোগীর ইতিহাস জেনে রোগ নির্ণয় করতে পারেন, তবে অনেক সময় কিছু প্যাথলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে । যেমন: ১. কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট উইথ ইএসআর ২. এক্স-রে অব টিএম (টেম্পরো- মেন্ডিবুলার) জয়েন্ট। ৩. নার্ভ কন্ডাকশন ভেলসিটি (এনসিভি) অব ফেসিয়াল নার্ভ ইত্যাদি। ফেসিয়াল পালসি বা বেলস পালসির  চিকিৎসা- এই রোগের চিকিৎসা কারণের ওপর নির্ভর করে।  ফেসিয়াল পালসির চিকিৎসার জন্য কর্টিকোস্টেরয়েড হলো সব থেকে ভালো ওষুধ। দেখা গেছে যে, এই ওষুধ ৬ মাস সময়ের ওপর পর্যন্ত আরাম দিয়ে থাকে। তবে, এই অবস্থার জন্য প্রাথমিক পর্যায় থেকেই স্টেরোয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।  যদি সন্দেহ করা হয় যে, কোনো ভাইরাস এই রোগের কারণ, তাহলে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয়।  ওষুধের পাশাপাশি, ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পেশির ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।  মারাত্মক ক্ষেত্রে যেখানে ট্রমার কারণে স্নায়ু সঙ্কুচিত হয়ে যায় বা আক্রান্ত হয়, সেক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এই অবস্থা কয়েক মাসের মধ্যেই কমে যেতে পারে এবং এটি আবার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। শুরুতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভালো থাকা যায়। 

শীর্ষ সংবাদ:

স্থায়ী ঠিকানা পেলেন আরও ৪০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ
রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় জাতিসংঘ দূতকে আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সচেতনতার অভাবে প্রতিদিন দেশে ১০০ যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু
‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারবিরোধী এনজিও থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে’
ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ৭ এপ্রিল
বাংলাদেশ-ভুটানের ট্রানজিট চুক্তি সই
হজ পালনে খরচ কমলো ১১ হাজার ৭২৫ টাকা
একক ক্ষমতায় বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ: ফখরুল
নির্ভীক ও আধুনিক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ:মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খানের আজ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী
মিয়ানমার জান্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, নিহত ৯
‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’ পোস্টারে ছেয়ে গেছে দিল্লি, গ্রেপ্তার ৪
এবার টিকটক নিয়ে তদন্তে ইতালি
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আইসিসি