
ছবি: সংগৃহীত
শখের স্মার্টফোনটি হাতে থাকলেও তার ব্যাটারির আয়ু নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। কারণ, অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মতো মোবাইল ফোনের ব্যাটারির কর্মক্ষমতাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়। তবে কিছু সহজ কৌশল আর সচেতনতা অবলম্বন করলে ফোনের ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব।
বর্তমানে স্মার্টফোনের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। কেউ কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে সময় কাটান। ফলে, অল্প কিছুদিনেই ফোনের ব্যাটারির চার্জ কম ধরে বা দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে অ্যাপল-এর সাবেক কর্মী টাইলার মরগান কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।
১০০% চার্জ নয়, ৮০%-তেই থামুন
টাইলার জানাচ্ছেন, অনেকেই ফোনকে ১০০ শতাংশ চার্জ হওয়ার পর আনপ্লাগ করেন কিংবা সারারাত চার্জে দিয়ে রাখেন। তবে এভাবে ফুল চার্জ দিলে ব্যাটারির ভেতরের কেমিক্যালের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই, ব্যাটারিকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ দিয়েই চার্জার খুলে নেওয়া ভালো।
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস—নীরব চার্জ-খোর
অনেক সময় ফোন ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ চালু থাকে, যা চার্জ দ্রুত শেষ করে দেয়। এই সমস্যা সমাধানে ব্যাকগ্রাউন্ড রিফ্রেশ বন্ধ করে রাখা উচিত।
লোকেশন বন্ধ রাখুন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের
লোকেশন সার্ভিসও ব্যাটারি খরচ বাড়ায়। টাইলার মর্গান জানান, ফোনের সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসি > লোকেশন সার্ভিস অপশন থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপগুলো কখন লোকেশন ব্যবহার করতে পারবে তা সিলেক্ট করে দেওয়া উচিত। এতে ব্যাটারির উপর চাপ কমবে।
এক হাতে টেক্সটিং করলেও ব্যাটারি বাঁচবে!
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য টাইলারের আরেকটি পরামর্শ হলো—ওয়ান হ্যান্ডেড কিবোর্ড অপশন ব্যবহার করা। কিবোর্ডে ‘গ্লোব’ চিহ্ন ধরে রাখলে যে নতুন ফিচার আসে, তার মাধ্যমে এক হাতেই সহজে টেক্সট করা যায় এবং এতে স্ক্রিন ব্যবহারের সময় কমে যায়, ফলে ব্যাটারিও বাঁচে।
স্ক্রিন ব্রাইটনেস, অটো-আপডেট, ব্লুটুথ
ফোনের স্ক্রিন ব্রাইটনেস কম রাখা, অটোমেটিক অ্যাপ আপডেট বন্ধ রাখা এবং ব্লুটুথ বন্ধ রাখা—এগুলো খুব ছোট পদক্ষেপ হলেও ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে।
শেখ ফরিদ