ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

ট্রাম্প কেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুমকি দিচ্ছেন?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১৯ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্প কেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুমকি দিচ্ছেন?

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি গণমাধ্যম মোগল রুপার্ট মারডক এবং তার মালিকানাধীন প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (WSJ)-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। WSJ-এর একটি প্রতিবেদনে ট্রাম্পকে যৌন অপরাধে দণ্ডিত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে যুক্ত দেখানোর পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৩ সালে এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ট্রাম্প একটি বার্তা লিখেছিলেন, যা একটি নগ্ন নারীর অবয়বে টাইপকৃত ছিল। বার্তাটির শেষাংশে লেখা ছিল,  “একজন বন্ধু চমৎকার বিষয়। শুভ জন্মদিন – আর প্রতিটি দিন হোক আরেকটি সুন্দর গোপন রহস্য।”

যদিও এই বার্তাটির আসল চিত্র প্রকাশ করেনি WSJ, তবে তারা অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে বার্তায় ট্রাম্পের স্বাক্ষর ছিল।

নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমি রুপার্ট মারডককে সরাসরি বলেছি এটি ভুয়া একটি খবর। তবু তারা ছেপেছে। আমি মামলা করবো।” তিনি আরো বলেন, “এটি আমি না। আমি এমন বার্তা লিখি না, নারীদের ছবি আঁকি না, এগুলো আমার ভাষা না।”

১৭ জুলাই, ট্রাম্প আরও কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (WSJ)-এর সম্পাদক এমা টাকারকে সরাসরি দোষারোপ করেন। ট্রাম্প বলেন, তিনি এবং তার মুখপাত্র কারোলিন লেভিট স্পষ্টভাবে এমাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে ওই চিঠিটি ভুয়া। তারপরও পত্রিকাটি এই মিথ্যা, অপমানজনক এবং মানহানিকর গল্প চালিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি খুব শিগগিরই WSJ, নিউজ কর্পোরেশন এবং রুপার্ট মারডকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন। তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমকে সত্যবাদী হতে হবে এবং এমন সূত্রের ওপর নির্ভর করা যাবে না, যেগুলোর অস্তিত্বই নেই।”

ট্রাম্পের এই আইনি হুমকিকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা Reporters Without Borders (RSF) এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। RSF জানায়, “ট্রাম্প সাংবাদিকদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। তিনি সাংবাদিকতা স্তব্ধ করতে মামলা, নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছেন।”

এই WSJ প্রতিবেদনটি এমন সময় এসেছে যখন মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, জেফরি এপস্টেইনের মৃত্যু আত্মহত্যা হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছে এবং তাকে ঘিরে থাকা “ক্লায়েন্ট লিস্ট” বা অতিরিক্ত কোনো দলিল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না। এই ঘোষণায় ট্রাম্পের অনেক সমর্থক ক্ষুব্ধ হয়েছেন, কারণ তারা মনে করেছিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই সব তথ্য উন্মুক্ত হবে।

মুমু ২

আরো পড়ুন  

×