ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

৬৫ বছর পর আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার সত্যতা খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা!

৬৫ বছর পর আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার সত্যতা খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা!

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতার একটি বিরল প্রভাব প্রমাণ করেছেন। এই প্রভাবকে টেরেল প্রভাব (Terrell Effect) বলা হয়। সাধারণত উচ্চ গতিতে চলমান বস্তু ছোট দেখায়, কিন্তু এই প্রভাবের কারণে বস্তুটি ঘুরছে বলে মনে হয়। ১৯৫৯ সালে পদার্থবিদ জেমস টেরেল ও রজার পেনরোজ এই প্রভাবের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এটি ঘটে কারণ, চলমান বস্তুর বিভিন্ন অংশ থেকে আলো ভিন্ন সময়ে পর্যবেক্ষকের চোখে আসে। ফলে বস্তুটি বিকৃত দেখায়। অস্ট্রিয়ার টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার গবেষকরা একটি লেজার ও স্টপ-মোশন ক্যামেরা ব্যবহার করে এই প্রভাব পরীক্ষায় দেখিয়েছেন। তারা লেজারের গতি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন, যাতে আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ২ মিটার হয়। এর ফলে বস্তুটি ঘুরছে বলে দেখা যায়। এর আগে কম্পিউটার সিমুলেশনে এই প্রভাব দেখা গেলেও, এটি প্রথম সরাসরি পরীক্ষা। যদিও ক্যামেরার সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু পার্থক্য ছিল, তবুও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সাফল্য। বিশিষ্ট জ্যোতির্পদার্থবিদ অ্যাভি লোয়েব এই গবেষণাকে "চতুর পরীক্ষা" বলেছেন। গবেষণাপত্রটি এখনো কোনো জার্নালে প্রকাশ হয়নি, তবে এটি arXiv প্রি-প্রিন্ট সার্ভারে পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র: কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় https://arxiv.org/abs/2409.04296

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সব খবর

দ্রুততম কোয়ান্টাম কম্পিউটার

দ্রুততম কোয়ান্টাম কম্পিউটার

চীনের বিজ্ঞানীরা কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে আরেকটি বড় সাফল্য অর্জন করেছেন। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) গবেষকরা নতুন একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছেন, যার নাম জুচংঝি-৩। এটি অত্যন্ত দ্রুতগতির একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গবেষকদের দাবি, এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ১০১৫ গুণ বেশি দ্রুত কাজ করতে পারে এবং গুগলের সর্বশেষ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের চেয়ে ১০ লাখ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন। গবেষণাটি জিয়ানওয়ে প্যান, জিয়াওবো ঝু, চেংঝি পেং এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি শারীরিক পর্যালোচনা পত্র নামক বৈজ্ঞানিক জার্নালের মূল প্রচ্ছদে প্রকাশিত হয়েছে, যা এই আবিষ্কারের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি বলতে বোঝানো হয় এমন এক অবস্থা, যেখানে কোয়ান্টাম কম্পিউটার এমন কাজ করতে পারে যা প্রচলিত সুপার কম্পিউটার কখনোই করতে পারবে না। ২০১৯ সালে, গুগলের সাইকামোর নামের ৫৩-কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রথমবারের মতো একটি জটিল গণনার কাজ মাত্র ২০০ সেকেন্ডে সম্পন্ন করেছিল, যা তৎকালীন বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারকে ১০,০০০ বছর লাগত। কিন্তু ২০২৩ সালে, ইউএসটিসির গবেষকরা আরও উন্নত ক্লাসিক্যাল অ্যালগরিদম ব্যবহার করে দেখান যে, ওই একই কাজ মাত্র ১৪ সেকেন্ডে করা সম্ভব, যদি ১,৪০০ অ১০০ এচট ব্যবহার করা হয়। এরপর নতুন ফ্রন্টি সুপার কম্পিউটার আসার পর এটি আরও দ্রুত করা সম্ভব হয় এবং মাত্র ১.৬ সেকেন্ডে কাজটি সম্পন্ন করা যায়। এর ফলে, গুগলের আগের দাবি কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। তবে ইউএসটিসি শুধু এই চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত থেমে থাকেনি। তারা আরও উন্নত কোয়ান্টাম কম্পিউটারের দিকে অগ্রসর হয় এবং নতুন মাইলফলক স্থাপন করে। ২০২১ সালে, ইউএসটিসির বিজ্ঞানীরা জুচংঝি-২ নামে একটি ৬৬-কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন। এটি অনেক বড় অর্জন ছিল, কারণ এটি প্রথমবারের মতো সুপ্রিমেসির প্রমাণ দেয় একটি সুপারকন্ডাক্টিং কোয়ান্টাম প্রসেসরের মাধ্যমে। এরপর ২০২৩ সালে, গবেষকরা জিউঝাং-৩ নামের এক ফোটোনিক কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেন, যা প্রচলিত সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ১০১৬ গুণ বেশি দ্রুত। ২০২৪ সালে, গুগল তাদের ৬৭-কিউবিট সাইকামোর কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রকাশ করে এবং জানায় যে এটি সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ৯ গুণ বেশি শক্তিশালী। কিন্তু সেই একই বছরে, ইউএসটিসি ঘোষণা দেয় যে তাদের নতুন জুচংঝি-৩ মডেলটি ১০৬ গুণ বেশি দ্রুত, যা গুগলের সর্বশেষ সাফল্যকেও ছাড়িয়ে যায়। জুচংঝি-৩ তে রয়েছে ১০৫টি কিউবিট এবং ১৮২টি কাপলার। এটি আরও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৭২ মাইক্রোসেকেন্ড কোহেরেন্স সময়, ৯৯.৯০ শতাংশ একক-কিউবিট গেট ফিডেলিটি, ৯৯.৬২ শতাংশ দুই-কিউবিট গেট ফিডেলিটি এবং ৯৯.১৩ শতাংশ রিডআউট ফিডেলিটি। এই উচ্চ নির্ভুলতার কারণে, এটি আগের যে কোনো কোয়ান্টাম কম্পিউটারের চেয়ে বেশি কার্যকর। গবেষকরা ৮৩-কিউবিট এবং ৩২-স্তরের র‌্যান্ডম সার্কিট স্যাম্পলিং পরীক্ষা চালান, যেখানে দেখা যায় যে জুচংঝি-৩ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ১০১৫ গুণ দ্রুত এবং গুগলের কোয়ান্টাম কম্পিউটারের চেয়ে ১০৬ গুণ দ্রুত। এর ফলে এটি এখন পর্যন্ত সর্বাধিক শক্তিশালী সুপার কন্ডাক্টিং কোয়ান্টাম কম্পিউটার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জুচংঝি-৩ শুধু দ্রুততম কোয়ান্টাম কম্পিউটার নয়, এটি ভবিষ্যতের গবেষণার জন্য এক নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। গবেষকরা বর্তমানে কোয়ান্টাম এরর কারেকশন, কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট, কোয়ান্টাম সিমুলেশন এবং কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। জুচংঝি-৩ তে ২ডি গ্রিড কিউবিট আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়েছে, যা কিউবিটগুলোর মধ্যে দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার করতে সহায়তা করে। এই আর্কিটেকচারের সাহায্যে গবেষকরা সারফেস কোড ব্যবহার করছেন এবং ডিস্ট্যান্স-৭ সারফেস কোড দ্বারা কোয়ান্টাম এরর কারেকশন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। ভবিষ্যতে তারা এটিকে ডিস্ট্যান্স-৯ এবং ডিস্ট্যান্স-১১ এ উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে। যদি এই গবেষণা সফল হয়, তবে বড় আকারের কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হবে, যা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। জুচংঝি-৩ এর সাফল্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। বিভিন্ন বিজ্ঞানী এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান এটি সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

‘ডিপসিক’ বনাম ‘মানুস’

‘ডিপসিক’ বনাম ‘মানুস’

জানুয়ারিতে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপসিক তাদের নতুন এআই মডেল ‘ডিপসিক এআই’ উন্মোচন করেছে। সেটি বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের আলোচনার ও আগ্রহের শীর্ষে ছিল। এরই প্রভাব শেষ হতে না হতেই চীনে এলো নতুন এআই এজেন্ট ‘মানুস’। এই মডেল উন্মুক্ত হওয়ার পর এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে একটি বড় অগ্রগতি। সম্প্রতি এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘মানুস’ একটি স্বয়ংক্রিয় এজেন্ট, যা মানুষের মতো যুক্তিসম্পন্ন চিন্তাভাবনা, কথোপকথন এবং সমস্যার সমাধান করতে পারে। মনিকা নামের একটি স্টার্টআপ পরীক্ষামূলকভাবে এআই এজেন্টটি উন্মুক্ত করেছে। এআই এজেন্টটি স্বাধীনভাবে চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হওয়ায় এরই মধ্যে প্রযুক্তিবিশ্বে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, ‘মানুস’ এআই এজেন্টটি বাস্তব জীবনের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। এটি শুধুমাত্র সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বা তথ্য বিশ্লেষণ করতেই দক্ষ নয়, বরং জটিল পরিস্থিতিতে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণেও সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘মানুস’ বিভিন্ন খাতে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিগত সমাধান দিতে পারে। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলো সহজেই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারবে। চীনের এআই গবেষণায় ধারাবাহিক উন্নতি ও নতুন উদ্ভাবন বিশ্বের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ডিপসিক এআই’ এবং ‘মানুস’ এজেন্ট চীনের এআই খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করবে।   সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সার্চিংয়ের শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম

সার্চিংয়ের শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম

বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য  অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে গুগলই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসাবে বিবেচিত। ২০২৫ সালের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০১ কোটি মানুষ গুগল ব্যবহার করছে। সার্চ ইঞ্জিন বাজারের ৯০ শতাংশেরও বেশি দখলে রেখে গুগল শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। ডাটা বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ডিমান্ডসেইজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিশ্বের প্রায় ৫৫৬ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে অধিকাংশই গুগলকে তাদের প্রধান অনুসন্ধান প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করে। প্ল্যাটফর্মটির নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যাপক প্রসার গুগলকে সার্চ ইঞ্জিনের অগ্রগামী শক্তিতে পরিণত করেছে। বিশ্বব্যাপী গুগলে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান হওয়া শব্দ হলো ‘ইউটিউব’, যা মাসে প্রায় ৩৭ কোটিবার অনুসন্ধান করা হয়। এরপরেই রয়েছে ফেসবুক, অ্যামাজন ও ট্রান্সলেট। গুগলের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৯৯ সালে যেখানে বার্ষিক সার্চ সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০ কোটি, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দুই লাখ কোটিতে পৌঁছে যায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গুগলে প্রতিনিয়ত পাঁচ লাখ কোটিরও বেশি অনুসন্ধান পরিচালিত হচ্ছে। গুগল কয়েক বছর ধরে সার্চ প্রযুক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে কাজ করছে। ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণায় ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে গুগল সার্চে এআই আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া গুগল সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের বয়স যাচাই করার জন্য মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষাধীন এ মডেল ব্যবহারকারীদের বয়স শনাক্ত করতে সেলফি, ক্রেডিট কার্ড বা সরকারি আইডি যাচাইয়ের বিকল্পও দেবে। গুগলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে ল্যারি পেজ ও সার্গেই ব্রিন প্রথমবারের মতো একত্রিত হন। তারা একটি ‘ব্যাকরাব’ সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেন, যা পরে ‘গুগল’ নামে পরিচিতি পায়। ১৯৯৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া গুগল বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত একটি বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। প্রথমে গুগল শুধু ‘পেজর‌্যাংক’ অ্যালগরিদমভিত্তিক ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে গড়ে উঠলেও বর্তমানে এটি বিজ্ঞাপন পরিষেবা, যোগাযোগ ও প্রকাশনা টুল, ডেভেলপমেন্ট ও পরিসংখ্যানমূলক সরঞ্জাম এবং ম্যাপ সম্পর্কিত পণ্য নিয়েও কাজ করছে। ২০২৪ সালে গুগলের নিট আয় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। বিশ্বজুড়ে তথ্য অনুসন্ধানের শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে গুগলের আধিপত্য অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত এআই ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে এটি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।