ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সব খবর

যে ৭টি ভুল আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইলের বিকাশ ঠেকিয়ে রাখছে

যে ৭টি ভুল আপনার লিঙ্কডইন প্রোফাইলের বিকাশ ঠেকিয়ে রাখছে

নিজের লিঙ্কডইন গ্রোথ নিয়ে হতাশ? প্রতিদিন নিয়মিত পোস্ট করেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পেলে মনে হতে পারে, সমস্যার কারণ অ্যালগরিদম বা ভাগ্য। কিন্তু বাস্তবে, সামান্য কিছু ভুলের কারণেই পিছিয়ে পড়ছেন আপনি — এমনটাই জানাচ্ছেন লিঙ্কডইনে ৩৭ হাজার ফলোয়ার অর্জন করা এক অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী। তাঁর অভিজ্ঞতা বলছে, কোনো জটিল কৌশল নয়, বরং কয়েকটি মৌলিক নীতি ধারাবাহিকভাবে মেনে চলাই লিঙ্কডইনে সফলতার মূল চাবিকাঠি। আসুন জেনে নিই সেই সাতটি সাধারণ ভুল, যা ঠিক করতে পারলে আপনার প্রোফাইলেও আসতে পারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। ১. দুর্বল হুক দিয়ে পোস্ট শুরু করা লিঙ্কডইনে একটি পোস্টের প্রথম দুই লাইনই ঠিক করে দেয় পাঠক বাকি লেখা পড়বে কিনা। অস্পষ্ট, দুর্বল বা কর্পোরেট ভাষায় লেখা হুক পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। শক্তিশালী, নির্দিষ্ট এবং আকর্ষণীয় একটি ওপেনিং ৮ শব্দের মধ্যে তৈরি করুন। প্রয়োজনে টুইটারে পরীক্ষা করে সবচেয়ে কার্যকর হুক নির্বাচন করতে পারেন। ২. কর্পোরেট ভাষা ব্যবহার করা আপনার অডিয়েন্স পেশাদার শব্দজটের ভক্ত নয়। সহজ, স্বাভাবিক ভাষায় কথা বলুন। পোস্ট পাবলিশের আগে পড়ে শুনুন—যদি কৃত্রিম শোনায়, শব্দ পাল্টান। "Utilize" এর বদলে "Use" লিখুন। গবেষণায় দেখা গেছে, কথোপকথনের মতো লেখা পোস্ট দ্বিগুণ এনগেজমেন্ট এনে দেয়। ৩. নিজের গল্প বলাই মুখ্য করা কেবল নিজের অর্জন বা অভিজ্ঞতার গল্প বললে শ্রোতাদের আগ্রহ কমে যায়। বরং অডিয়েন্সের সমস্যা, স্বপ্ন ও চাহিদার প্রতি মনোযোগ দিন। তাদের জন্য কীভাবে সমাধান দিতে পারেন, সেটাই তুলে ধরুন। এতে তাদের মধ্যে আপনার প্রতি আস্থা তৈরি হবে। ৪. ব্যক্তিত্ব আড়াল করে অতিরিক্ত পেশাদার হওয়া নিজের ব্যক্তিত্ব চেপে রাখলে পোস্ট অন্যদের ভিড়ে হারিয়ে যায়। হাসি, আবেগ ও ব্যক্তিগত গল্প প্রকাশ করুন। সফল ব্যবহারকারীরা জানেন—আসল পরিচয়ই লিঙ্কডইনে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা। ৫. অনিয়মিত এবং লক্ষ্যহীন পোস্ট করা ইচ্ছামতো পোস্ট করলে অডিয়েন্স এবং অ্যালগরিদম বিভ্রান্ত হয়। তিনটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পোস্ট করুন এবং ফলাফল পর্যবেক্ষণ করুন। যেসব বিষয় বেশি সাড়া আনে, সে দিকেই মনোযোগ বাড়ান। ধারাবাহিকতা সৃজনশীলতার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ৬. অন্যদের পোস্টে এনগেজ না করা শুধু নিজের কনটেন্ট পোস্ট করলেই হবে না। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট অন্যদের পোস্টে গঠনমূলক মন্তব্য করুন। "গ্রেট পোস্ট!" লিখে এড়িয়ে যাবেন না—নিজের অভিজ্ঞতা বা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করুন। এতে নতুন অডিয়েন্সের সামনে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন। ৭. সাইকোলজিক্যাল ট্রিগার ব্যবহার না করা অনেক পোস্ট দেখা হয়, কিন্তু মনে দাগ কাটে না। পাঠকদের ভয়, আশা ও বিশ্বাসের জায়গায় আঘাত করলে তারা আপনাকে মনে রাখবে। পোস্টের শেষে প্রশ্ন করুন, যাতে তারা মন্তব্য করতে আগ্রহী হয়। সংবেদনশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্তরে সংযোগ গড়ে তুলুন। লিঙ্কডইনে সফল হতে কোনো গোপন ফর্মুলার প্রয়োজন নেই। শুধু এই সাতটি ভুল ঠিক করুন—দৃঢ় হুক ব্যবহার করুন, বাস্তব ভাষায় লিখুন, অডিয়েন্সের প্রয়োজন বুঝুন, নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করুন, নিয়মিত পোস্ট করুন, সক্রিয়ভাবে অন্যদের সাথে যুক্ত থাকুন এবং সাইকোলজিক্যালভাবে সংযোগ তৈরি করুন। তাহলেই আপনি দেখতে পাবেন, কীভাবে লিঙ্কডইনে আপনার বিকাশ গতিময় হয়ে উঠছে।

মানুষের উপস্থিতিতে অদ্ভুত আচরণ করে উদ্ভিদ, বনাঞ্চলে নিখোঁজ মানুষ খোঁজা যাবে সহজেই!

মানুষের উপস্থিতিতে অদ্ভুত আচরণ করে উদ্ভিদ, বনাঞ্চলে নিখোঁজ মানুষ খোঁজা যাবে সহজেই!

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে বনাঞ্চলে নিখোঁজ মানুষের অবস্থান উদ্ভিদের অদ্ভুত আচরণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে। বিষয়টি শুনতে কিছুটা ভৌতিক মনে হলেও, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এটি বাস্তবে অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতিতে পরিণত হতে চলেছে। সম্প্রতি Trends in Plant Science জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মানবদেহের পচন প্রক্রিয়ার ফলে "ক্যাডাভার ডিকম্পোজিশন আইল্যান্ড" নামে বিশেষ ধরনের একটি জৈবিক এলাকা সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়ায় আশপাশের মাটি ও উদ্ভিদের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। এমনকি, গাছের পাতার রঙের পরিবর্তন বা তাদের প্রতিফলনশক্তির (ফ্লুরোসেন্স) তারতম্য দূর থেকে ড্রোনের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে। টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নীল স্টুয়ার্ট জুনিয়রের নেতৃত্বে একটি দল এই তত্ত্ব পরীক্ষা করে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্রে, যা সাধারণভাবে "বডি ফার্ম" নামে পরিচিত। তাঁরা লক্ষ্য করছেন, কীভাবে উদ্ভিদ মানবদেহের পচন থেকে নির্গত নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ উপাদান শোষণ করে এবং এসব পরিবর্তন কেবলমাত্র মানবদেহের পচনের সাথেই যুক্ত কিনা। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, যদিও ধূমপানের মতো ব্যক্তিগত রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করার বিষয়টি এখনো গবেষণাধীন, তবে মূল লক্ষ্য পরিষ্কার: দুর্গম বনাঞ্চলের গভীরে নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ দ্রুত ও নিরাপদভাবে খুঁজে বের করা। ভবিষ্যতে হয়তো কোনো গাছের অস্বাভাবিক আলো বিচ্ছুরণ বা পাতার অদ্ভুত রঙের পরিবর্তনই হারিয়ে যাওয়া মানুষের অবস্থান সম্পর্কে জানান দিতে পারে, এমনটাই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা—প্রকৃতির ভেতর লুকিয়ে থাকা সংকেত বুঝতে পারলে হয়তো হারিয়ে যাওয়া প্রাণগুলোকে খুঁজে ফেরানো আরও সহজ হবে। সূত্র: সায়েন্স ডেইলি

মানব-সদৃশ এআই নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও

মানব-সদৃশ এআই নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও

গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী ও ২০২৪ সালের রসায়নে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ডেমিস হাসাবিস সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মানব-মতো কগনিটিভ ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AGI (Artificial General Intelligence) বাস্তবতার দ্বারপ্রান্তে এবং আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই এটি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠতে পারে। টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে হাসাবিস বলেন, “AGI এখন বাস্তবতার শেষ ধাপে পৌঁছেছে। কেউ কেউ বলে, এটি আরও আগেই আসবে— তাতে আমি অবাক হব না। তবে আমার ধারণা, আমরা এখন AGI থেকে মাত্র পাঁচ থেকে দশ বছর দূরে।” তবে একইসাথে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সমাজ কি আদৌ এর জন্য প্রস্তুত?” হাসাবিস মনে করেন, AGI শুধু প্রযুক্তিগত বিপ্লব নয়, বরং এটি মানবজাতির জন্য এক গভীর সামাজিক ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, “এখন আমাদের ভাবতে হবে, এই প্রযুক্তি কতটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য, কারা এর ব্যবহারের অধিকার পাবে, এবং এর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড কী হবে।” তিনি আরও প্রস্তাব দেন, AGI-এর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি— শুধু রাষ্ট্র নয়, গবেষক এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও। তার মতে, জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক ছাতার নিচে AGI গবেষণা ও ব্যবহার তদারকির উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এর আগেও হাসাবিস AGI-এর সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি প্রস্তাব করেছেন, AGI গবেষণার জন্য একটি সার্ন (CERN)-এর মতো আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্র গঠন করা উচিত, যেখানে বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীরা একসাথে কাজ করবেন। পাশাপাশি IAEA-এর মতো একটি নজরদারি সংস্থার প্রয়োজন, যা বিপজ্জনক প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করবে। সবশেষে, একটি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের কথাও বলেন, যা এই প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করবে। সম্প্রতি ডিপমাইন্ড একটি গবেষণাপত্রে সতর্ক করেছে যে, যদি AGI সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তবে এটি মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, “AGI যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে তা স্থায়ীভাবে মানবজাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।” AGI বা আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা মানুষের মতো চিন্তা করতে, শেখার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এবং নানা বিষয়ে জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারে। সাধারণ এআই নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রোগ্রাম করা হয়, কিন্তু AGI বহু ধরনের কাজ একসাথে করতে পারে— একজন মানুষের মতো সম্পূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা নিয়ে। সূত্র: এনডিটিভি

হোয়াটসঅ্যাপ

হোয়াটসঅ্যাপ

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। যা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই অ্যাপে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য একাধিক ফিচার রয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ান’। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি ভুল করে পাঠানো মেসেজ মুছে ফেলতে পারেন। একবার ডিলিট করলে, যাকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে, তিনিও আর সেই মেসেজ পড়তে পারবেন না। ডিলিট করা সেই মেসেজও কিছু সময়ের জন্য দেখা যেতে পারে? মেসেজ ডিলিট হয়ে গেলেও, ফোনে তার একটা ছাপ রয়ে যায়। অনেকেই জানেন না যে, সেই ডিলিট হওয়া মেসেজ কীভাবে আবার পড়া যায়। বাজারে অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে এই কাজটি করা সম্ভব, তবে সেগুলো ব্যবহারে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এমন একটি পদ্ধতি রয়েছে, যাতে আপনি কোনো অ্যাপ ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপের ডিলিট করা মেসেজ পড়তে পারবেন এবং আপনার নিরাপত্তার ঝুঁকিও থাকবে না। এই পদ্ধতিটি শুধু অ্যান্ড্রয়েড ১১ বা তার পরবর্তী ভার্সনের ফোনে কার্যকর হবে। তাই প্রথমে দেখে নিন আপনার ফোনটি আপডেটেড কি না। এবার- * প্রথমে আপনার ফোনের সেটিংসে যান। * তারপর নোটিফিকেশনস অপশনে যান। * এরপর মোর সেটিংসে ক্লিক করতে হবে। * সেখান থেকে নোটিফিকেশন হিস্টোরি অপশনটি চালু (অন) করে দিন। একবার এটি চালু করলে, আপনি ফোনে আসা সব মেসেজের একটি হিস্টোরি দেখতে পারবেন, যার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের ডিলিট করা মেসেজও থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে, এই পদ্ধতিতে শুধু টেক্সট মেসেজই দেখা যাবে। ছবি, ভিডিও বা অডিও মেসেজ দেখা যাবে না। এইভাবে আপনি হোয়াটসঅ্যাপে ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ান’ ফিচার ব্যবহার করে ডিলিট করা মেসেজও খুব সহজেই পড়তে পারবেন, তাও আবার কোনো অ্যাপ ছাড়াই। আইটি ডেস্ক

ইনফিনিক্স এক্সক্লুসিভ নোট ৫০ সিরিজ ইভেন্ট

ইনফিনিক্স এক্সক্লুসিভ নোট ৫০ সিরিজ ইভেন্ট

গ্লোবাল টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তাদের নতুন নোট ৫০ সিরিজের পোস্ট-লঞ্চ প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স ইভেন্ট আয়োজন করেছে। এই এক্সক্লুসিভ ইভেন্টে একত্রিত হয়েছেন প্রযুক্তি সাংবাদিক, শীর্ষস্থানীয় টেক কে-ওএল, ইনফিনিক্স ফ্যান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা। এই ইভেন্টে তারা হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন ইনফিনিক্সের সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ সিরিজের উদ্ভাবনী ফিচারগুলোর। রাজধানীর একটি সুসজ্জিত ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ প্রযুক্তি সাংবাদিক, জনপ্রিয় টেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইনফিনিক্স ভক্ত এবং ব্র্যান্ড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিত্বরা। ইভেন্টের শুরুতেই অতিথিরা প্রবেশ করেন একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ইমারসিভ ওয়াকথ্রু জোনে, যা নতুন প্রজন্মের চাহিদা ও প্রযুক্তির ধারণাকে প্রতিফলিত করে। এ অংশটি মূল প্রদর্শনী ভেন্যুতে প্রবেশের আগে দর্শকদের মাঝে প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ও কৌতূহল জাগিয়ে তোলে। অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইনফিনিক্স বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা বলেন, নোট ৫০ সিরিজ আমাদের সেই অঙ্গীকারেরই বহিঃপ্রকাশ যেখানে ফ্ল্যাগশিপ প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ডিজাইন থেকে শুরু করে পারফরম্যান্স সবকিছুতেই এই সিরিজ ব্যবহারকারীদের নতুন কিছু দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি। পুরো আয়োজনজুড়ে প্রযুক্তির সঙ্গে স্টাইল ও ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার সংমিশ্রণ ছিল চোখে পড়ার মতো। নোট ৫০ সিরিজের নান্দনিক নকশা, উজ্জ্বল ডিসপ্লে এবং আধুনিক এ-আই ফিচারগুলোকে ঘিরেই গড়ে তোলা হয়েছিল আয়োজনের আবহ। এতে ফুটে উঠেছে ইনফিনিক্সের নতুন প্রজন্মের ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি লাইফস্টাইল-ভিত্তিক প্রযুক্তির প্রতিচ্ছবি। ইভেন্টের মূল আকর্ষণ ছিল প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স জোন, যেখানে অতিথিরা সরাসরি নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোন ব্যবহার করে এর বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে ধারণা পান। এ-আই ফিচার, স্লিম ডিজাইন, স্মুথ ডিসপ্লে, ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি এবং উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম সব মিলিয়ে ডিভাইসটি প্রশংসা কুড়িয়েছে উপস্থিত সবার থেকেই। এই আয়োজন শুধু একটি প্রোডাক্ট প্রদর্শনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না এটি ছিল নতুনত্ব ও উদ্ভাবনের একটি উদযাপন, যা বাংলাদেশের তরুণ ও প্রযুক্তি সচেতন প্রজন্মের জন্য ইনফিনিক্সের প্রতিশ্রুতি ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা স্পষ্ট করে দেয়।  আইটি ডেস্ক

ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইনে আয়

ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইনে আয়

ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম এখন এটি। ফ্রিল্যান্সিং মুক্তপেশা হওয়ায় মানুষ দিনে দিনে এটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে বর্তমানে অনেক টাকা আয় করা যায়। এজন্য তরুণ-তরুণীরা এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে বর্তমানে বিবেচনা করছে। অনলাইন জগতে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনি তাদের মধ্যে থেকে একটা ভালো মানের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। তো চলুন, এখন আমরা জানি একজন ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কোন কোন গুণগুলো আমাদের মধ্যে থাকা আবশ্যক: * যুগান্তকারী উদ্ভাবনী চিন্তা ও নতুন নতুন ধারণা। * যে কোনো বিষয়ে দক্ষতা। * সমন্বিত পারদর্শিতা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য আপনাকে কিছু টিপস ও ট্রিকস অনুসরণ করতে হবে। আমাদের দেওয়া টিপসগুলো অনুসরণ করে কাজ করতে পারেন। প্রথমত, আপনাকে ভালো মানের কোনো কার্যকরী ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিতে হবে। আপনাকে বোঝাতে হবে আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। দ্বিতীয়ত, এবার আপনাকে নিজের ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে একটা সুন্দর ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। নিজের ব্যক্তিত্ব ও মনোভাব এমন ভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে যাতে আপনাকে অদ্বিতীয় মনে হয়। তৃতীয়ত, আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার প্রোফাইলটি পুরোপুরি সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপর আপনার দক্ষতা অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য অনুসন্ধান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্য বিবেচনা করে বিড করতে হবে। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে শত শত ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। আপনাকে পছন্দমতো যোগ্যতা অনুযায়ী সেটা নির্বাচন করে নিতে হবে। চতুর্থত, এই ধাপে আপনাকে কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে একটা ভালো প্রজেক্ট সাবমিট করতে হবে। খুব সতর্কতার সঙ্গে প্রফেশনালভাবে প্রজেক্ট কমপ্লিট করতে পারলে আপনি সফল হবেন। ভালো প্রজেক্ট কমপ্লিট করার বিনিময়ে আপনি অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন। পঞ্চমত, আপনি ভালোভাবে কাজটি সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের নিকট সাবমিট করতে পারলে রিওয়ার্ডস পাবেন। আপনার কাজ ভাল লাগলে ক্লায়েন্ট আপনাকে ফাইভ স্টার রিভিউ দেবে। তারা আপনার অন্যান্য দক্ষতাগুলোর তালিকা চাইতে পারে। এজন্য আপনার একটা পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখা ভালো। কাজের বিনিময় হিসেবে আপনাকে ক্লায়েন্ট অর্থ প্রদান করে থাকবে। তখন সেটি আপনি উত্তোলন করে নিতে পারবেন। সেরা কিছু ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এর নাম: ফ্রির‌্যান্সার, গুরু, আপ-ওয়ার্ক, ফাইবার।

চ্যাটজিপিটি

চ্যাটজিপিটি

ভদ্রতা দেখাতে ‘প্লিজ’, ‘থ্যাংক ইউ’ লিখে বা বলে ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটির মিলিয়ন ডলার খরচ করাচ্ছে। এই তথ্য দিয়েছেন চ্যাটজিপিটির জনক স্যাম অল্টম্যান নিজেই। আর তাই অনেকটা মজা করেই সবাইকে তিনি অনুরোধ করেছেন এই প্লিজ আর থ্যাংক ইউ বলা বন্ধ করতে। ওপেনএআইয়ের নির্বাহী পরিচালক স্যাম অল্টম্যান চ্যাটজিপিটিকে প্লিজ, সরি বা থ্যাংক ইউ বলতে মানা করলেন এর ব্যবহারকারী বিশাল জনগোষ্ঠীকে। তিনি মজা করে বলেছেন যে কেউ যখন চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলেন, যেমন ‘প্লিজ’ বা ‘থ্যাংক ইউ’ বলেন, তখন সিস্টেমটি এই অতিরিক্ত শব্দ প্রক্রিয়াজাত করতে প্রচুর কম্পিউটেশনাল শক্তি ব্যবহার করে। এতে কোম্পানির বছরে প্রচুর অতিরিক্ত খরচ হয়।   একজন এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী মজা করে প্রশ্ন করেন, ‘মানুষের এই সৌজন্যমূলক শব্দগুলো ব্যবহারের ফলে ওপেনএআই কত টাকার বিদ্যুৎ খরচ করছে?’ উত্তরে অল্টম্যান জানান, বছরে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হয়েছে। কিন্তু তার মতে, এই খরচের ইতিবাচক একটা দিকও আছে। যদিও এআইকে ভদ্রতা দেখানো বাহুল্য মনে হতে পারে। তবে অনেক এআই ডিজাইনার বলছেন, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাইক্রোসফটের ডিজাইন ম্যানেজার কার্টিস বিভারের অভিমত, এআইকে যেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এটি সেভাবেই কাজ করে। তাই সঠিক শিষ্টাচার, সম্মান ও সহযোগিতামূলক শব্দ এআইকে সূক্ষ্ম আউটপুট তৈরি করতে সাহায্য করবে। ‘প্রেডিকশন মেশিন’ হিসেবে এআই চ্যাটবটকে আখ্যায়িত করে বিভারস বলেন, যখন আপনি এআইকে ভদ্রভাবে প্রশ্ন করেন, তখন এ-ও ভদ্র সুরে উত্তর দেয়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীর পেশাদারত্ব ও স্পষ্টতার ওপর নির্ভর করে এআইয়ের প্রতিক্রিয়া। ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ৬৭ শতাংশ মানুষ এআইয়ের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলেন। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ মনে করেন, ‘এটাই ঠিক কাজ’। আর এআই অ্যালগরিদমকে তুষ্ট করতে ১২ শতাংশ মানুষ ভদ্র সুরে কথা বলেন। কারণ, কে জানে এআই বিদ্রোহ ঘোষণা করতে হয়তো বেশি দিন বাকি নেই। বিদ্রোহের এই আশঙ্কা অনেক দূরের বিষয় হলেও বর্তমানে এআই ব্যবহারের পরিবেশগত প্রভাবও আছে। এআই দিয়ে মাত্র ১০০ শব্দের একটি ই-মেইল তৈরিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় প্রায় ০.১৪ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে ১৪টি এলইডি লাইট এক ঘণ্টা আলো দিতে পারে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। কেউ প্রতি সপ্তাহে একটি করে এআই ই-মেইল লিখলে বছরে তার বিদ্যুৎ খরচ দাঁড়াবে ৭.৫ কিলোওয়াট ঘণ্টা, যা ওয়াশিংটন ডিসির ৯টি পরিবারের এক ঘণ্টার বিদ্যুৎ ব্যবহারের সমান। ভাবনার বিষয় এই যে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চ্যাটজিপিটির মতো চ্যাটবটকে যে লম্বা লম্বা মেসেজ পাঠাচ্ছেন, সেগুলো প্রসেসিং করতে গিয়ে পরিবেশের ওপরও প্রভাব পড়ছে। সৌজন্য প্রদর্শনের এই অভ্যাস মানবিক হলেও, এর পেছনের খরচ আমাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে। প্রতিটি ইনপুট ছোট হোক বা বড়, তৈরি করছে কার্বন ফুটপ্রিন্ট। কারণ, এগুলো পরিচালিত করতে ডেটা সেন্টারগুলো বিশ্বব্যাপী মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রায় ২ শতাংশ একাই গ্রাস করে। এআই যেভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে বিদ্যুৎ খরচের এই হার আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। সূত্র: ফিউচারিজম, নিউ ইয়র্ক পোস্ট আইটি ডেস্ক

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার