ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সব খবর

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপ শিগগিরই একটি নতুন ট্রান্সক্রিপশন ফিচার চালু করতে যাচ্ছে, যা ভয়েস মেসেজের পাঠ্যরূপ তৈরি করে ব্যবহারকারীদের যোগাযোগ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করবে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য এই ফিচার আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বব্যাপী চালু হবে। এটি ভয়েস ক্লিপের নিচে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেক্সট তৈরি করবে, যা বিশেষত এমন পরিস্থিতিতে উপযোগী যখন ভয়েস মেসেজ শোনার সুযোগ নেই। এই ফিচার ভয়েস মেসেজের সুবিধা ও অসুবিধার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করবে। ভয়েস মেসেজ রেকর্ড করা সহজ হলেও, ব্যস্ত সময় বা শব্দপূর্ণ পরিবেশে সেগুলো শোনা অসুবিধাজনক হতে পারে। তবে ট্রান্সক্রিপশন ফিচার চালু থাকলে কেবল প্রাপকেরাই এই টেক্সট দেখতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ডিভাইসেই ট্রান্সক্রিপশন তৈরি হবে, যাতে গোপনীয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে। এটি ডিফল্টভাবে বন্ধ থাকবে এবং সেটিংসের "ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপশন" অপশন থেকে চালু করা যাবে। প্রাথমিকভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ইংরেজি, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, রাশিয়ান ও হিন্দি ভাষা সমর্থিত হবে, আর আইওএসের জন্য আরও বিস্তৃত ভাষা তালিকা থাকবে। ভবিষ্যতে ভাষার সমর্থন বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

বিশ্বমানের আইটি দক্ষতা উন্নয়নে বেসিস ও সিসিপ-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

বিশ্বমানের আইটি দক্ষতা উন্নয়নে বেসিস ও সিসিপ-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (সিসিপ) প্রকল্পের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার সিসিপের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বেসিস সভাপতি এম রশিদুল হাসান এবং সিসিপ-এর নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়ালিদ হোসাইন এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়নে ২০২৮ সাল নাগাদ আগামী চার বছরে সর্বমোট ৩০০০ জনকে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে বেসিস-এর পক্ষ থেকে বেসিস সভাপতি এম রশিদুল হাসান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান, পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম এবং বেসিস-বিআইটিএম-এর প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী খালেদা বেগম। অন্যদিকে, সিসিপ-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় প্রোগ্রাম পরিচালক (এনপিডি) ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, অতিরিক্ত সচিব ও ডেপুটি নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক (প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহফুজুল আলম খান এবং সিসিপের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।    অনুষ্ঠানে বেসিস-এর পক্ষ থেকে বেসিস সভাপতি এম রশিদুল হাসান বলেন, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) একটি ক্রসকাটিং সেক্টর। এটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং আইসিটি বিভিন্ন খাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী ভিত্তিমূলক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তির বাজার দ্রুতই পরিবর্তন হয়। বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষজনবল তৈরি করতে সময়োপযোগী ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজি ভিত্তিক কোর্স গুলো নিয়েই আমাদের এই প্রোগ্রামটি সাজানো হয়েছে। এই উদ্যোগ দেশের আইটি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমি আশাবাদী। এর মাধ্যমে আমাদের কোম্পানিগুলো ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজিতে আরও বেশি দক্ষতার সাথে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”  

সূর্যালোক ছাড়াই সবুজ বৃক্ষ!

সূর্যালোক ছাড়াই সবুজ বৃক্ষ!

সূর্যালোক ও সালোকসংশ্লেষণ ছাড়াই জন্মাবে গাছ। সম্প্রতি ‘ইলেকট্রো-এগ্রিকালচার’ নামের নতুন এক রোমাঞ্চকর পদ্ধতি এনেছেন গবেষকরা, যার মাধ্যমে আলো ছাড়াই জন্মানো যাবে গাছ। ফলে খাদ্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে দাবি তাদের। গবেষকরা বলছেন, সূর্যের আলো ও সালোকসংশ্লেষণের উপর নির্ভর করার বদলে গাছ জন্মানোর জন্য বিদ্যুৎ ও কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করবে এই পদ্ধতিটি। সালোকসংশ্লেষণ এমন এক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সূর্যের আলো ও কার্বন ডাই অক্সাইডকে খাদ্যে রূপান্তর করতে ব্যবহার করে উদ্ভিদ। এর জন্য দরকার সময়সহ আরও অনেক কিছুর। গোটা বিশ্বে খাদ্যের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। ফলে প্রচলিত চাষের প্রক্রিয়া খাদ্য চাহিদা সামাল দেওয়ার জন্য আর যথেষ্ট নয় । তাই খাদ্য উৎপাদনের আরও দ্রুত ও কার্যকর সমাধান দরকার, আর সেখানেই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে নতুন এই ‘ইলেকট্রো-এগ্রিকালচার’ পদ্ধতিটি। এ জৈবিক পদ্ধতিতে কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে ইলেকট্রোলাইসিসকে সমন্বয় করে কাজ করবে নতুন পদ্ধতিটি, যা নাটকীয়ভাবে বাড়িয়ে তুলবে খাদ্য উৎপাদনকে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষিজমির প্রয়োজনীয়তাও প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ। ‘ইলেকট্রো-এগ্রিকালচার’-এর মাধ্যমে সূর্যের আলো বা কীটনাশকের প্রয়োজন ছাড়াই শহরাঞ্চল, মরুভূমি ও অন্যান্য দুর্গম জায়গায় ফসল ফলানো যাবে। একইসঙ্গে এ পদ্ধতিতে আরও কার্যকরভাবে সার ব্যবহার করতে পারবেন কৃষকরা, যা বর্জ্য কমিয়ে পরিবেশকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি’র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ফেং জিয়াও। এই নতুন পদ্ধটির এক মূল উপাদান অর্থাৎ কার্বন ডাই অক্সাইডকে রাসায়নিক যৌগ ‘অ্যাসিটেট’-এ রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াটিকে নিখুঁত করতে কাজ করছেন তিনি ও তার গবেষণা দলটি। সাধারণত শক্তির প্রধান উৎস হিসাবে অ্যাসিটেট ব্যবহারের জন্য উদ্ভিদের জিনগত রূপান্তর ঘটানো দরকার হতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন গাছ ঘরের মধ্যে জন্মানোর প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করা সম্ভব। এ নতুন পদ্ধটির মূল লক্ষ্য এমন ধরনের গাছ জন্মানো, যা সালোকসংশ্লেষণের বদলে পুরোপুরি নির্ভর করবে অ্যাসিটেটের উপর। এ পদ্ধটির মাধ্যমে সফলভাবে গাছ জন্মানো গেলে তা উদ্ভিদ সংরক্ষণের পাশাপাশি বাঁচানো যাবে অনেক কৃষিজমি। আর প্রাকৃতিকভাবে কার্বন দূষণ ঠেকাতে সহায়তা করতে পারে এই পরিবর্তন, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সাহায্য করবে। খাদ্য উৎপাদন ছাড়াও জ্বালানি বা বায়োডিগ্রেডএবল উপাদান তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই ‘ইলেকট্রো-এগ্রিকালচার’। গবেষকরা জোর দিয়ে বলছেন, অবশ্যই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বিকাশ করতে হবে নতুন পদ্ধতিকে। কারণ, বৈশ্বিক খাদ্য ঘাটতির অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করা জরুরী। এ যুগান্তকারী গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘জুল’-এ। গবেষণায় অর্থায়ন করেছে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’।