
ছবি: সংগৃহীত
কর্মজীবনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য মোবাইল ফোন বেছে নেওয়া এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং একান্ত প্রয়োজন। অফিসের কাজ, অনলাইন মিটিং, জরুরি ইমেইল কিংবা তথ্য সুরক্ষা— সব ক্ষেত্রেই ফোন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় সহায়। ২০২৫ সালে বাজারে যেসব স্মার্টফোন এসেছে, তার মধ্যে কিছু মডেল ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। নিরাপত্তা, ব্যাটারি ব্যাকআপ, পারফরম্যান্স এবং দামের ভারসাম্য বিবেচনায় এই ফোনগুলোকে রাখা হয়েছে সেরা তালিকায়।
এ বছরের আলোচিত মডেলগুলোর মধ্যে রয়েছে iPhone 16 Pro Max, Samsung Galaxy S25 Ultra, Google Pixel 9 Pro, OnePlus 13 এবং Moto G Power (2025)। এগুলো শুধু গতিময় কাজের অভিজ্ঞতা নয়, বরং উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারিও নিশ্চিত করে। কেউ চাইলে ভাঁজ করা স্ক্রিনসহ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন, যেমন Samsung Galaxy Z Fold6 বা Motorola Razr 2025। আবার যারা কম বাজেটেও ভালো মানের পারফরম্যান্স খোঁজেন, তাদের জন্য আছে iPhone SE (3rd Gen) বা Moto G Power-এর মতো নির্ভরযোগ্য মডেল।
এবারের তালিকায় চোখে পড়ার মতো দুটি নাম হলো Vertu Quantum Flip এবং Vertu Ironflip। বিলাসবহুল এই ফোনগুলো শুধু বাহ্যিক ডিজাইনেই নয়, বরং নিরাপত্তা ও এক্সক্লুসিভ ফিচারের দিক থেকেও ব্যতিক্রম। যারা অনন্য কিছু খুঁজছেন, তাদের জন্য এই ফোন হতে পারে বিশেষ পছন্দ।
ফোন বেছে নেওয়ার সময় অপারেটিং সিস্টেমের কথাও গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে। কেউ iOS-এর সহজ ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা পছন্দ করেন, আবার কেউ Android-এর খোলা প্ল্যাটফর্ম ও ব্র্যান্ড বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দেন। এছাড়া ফেস আইডি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বা এনক্রিপশন সুবিধার মতো নিরাপত্তা ফিচারগুলোও এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজন।
একটি ব্যবসায়িক ফোন মানেই শুধু ফোন কল নয়। নোট নেওয়া, ডকুমেন্ট এডিটিং, ক্লাউডে ফাইল রাখা কিংবা ল্যাপটপের সঙ্গে সিঙ্ক করে কাজ করার সুবিধা এসব ফোনকে করে তুলছে আপনার পকেট অফিস। ব্যস্ত দিনগুলোতে দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং দ্রুত চার্জিং সুবিধা আপনার কাজের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে বহুগুণ।
দামের বিষয়েও সচেতন থাকা জরুরি। সবসময় দাম বেশি হলেই ফোন ভালো হয় না। অনেক সময় বাজেটের মধ্যেই ভালো মানের ফোন পাওয়া যায়। কোম্পানিগুলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণ করে থাকে—কখনো উৎপাদন খরচের উপর ভিত্তি করে, কখনো প্রতিযোগী ব্র্যান্ডের দামের সঙ্গে মিলিয়ে অথবা গ্রাহকের কাছে যে মূল্য ধারণা তৈরি করে, তার ভিত্তিতে। এসব দিক মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
দোকানে গিয়ে হাতে নিয়ে ফোন দেখে নেওয়া কিংবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। কারণ আপনার কর্মজীবনের একটি বড় অংশ এই ফোনের সঙ্গেই কাটবে। তাই প্রয়োজন, ভেবে-চিন্তে আপনার উপযুক্ত সহকর্মী হিসেবে একটি কার্যকর মোবাইল ফোন বেছে নেওয়া।
সূত্র: ভার্চু ডটকম
এম.কে.