
বর্তমানে ডেস্কটপের চেয়ে ল্যাপটপের চাহিদা অনেক বেশি। বহনে সুবিধা এবং যে কোনো স্থানেই কাজ করার সুযোগের জন্য এর ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। তবে অনেকেই আছেন, যারা অফিসে কিংবা বাড়িতে ল্যাপটপে কাজের সময় তা সারাক্ষণ চার্জে লাগিয়ে রাখেন। কিন্তু এটি কি স্বাস্থ্যকর প্রযুক্তিগত অভ্যাস?
সাধারণভাবে যেমন মোবাইল চার্জিং অবস্থায় ব্যবহার করলে ডিভাইস গরম হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ঠিক তেমনই ল্যাপটপ চার্জিংয়ের সময় ব্যবহার করলেও কিছু সতর্কতা মেনে না চললে ব্যাটারি ও পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
গরম হওয়া মানেই বিপদ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে অতিরিক্ত তাপ থেকে দূরে রাখা উচিত। কারণ অতিরিক্ত গরমে ব্যাটারির আয়ু দ্রুত কমে যেতে পারে। বিশেষ করে, কেউ যদি চার্জে রেখে গেমিং বা ভিডিও এডিটিংয়ের মতো হেভি টাস্ক চালান, তখন ল্যাপটপের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, যা ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
আধুনিক প্রযুক্তি কিছুটা নিরাপদ
ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক সংস্থা আসুস তাদের ব্লগে জানিয়েছে, চাইলে ল্যাপটপ সবসময় চার্জে রাখা যায়, তবে এতে কিছুটা হলেও ব্যাটারির সক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
তবে আশার কথা হলো, বর্তমানের ল্যাপটপগুলোতে এমন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে, যা ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জিং বন্ধ করে দেয় এবং এসি পাওয়ারে চলে যায় ফলে অতিরিক্ত চার্জিংয়ের সমস্যা অনেকাংশেই কমে গেছে।
চার্জিং সাইকেল বুঝলে বাঁচবে ব্যাটারি
একটি পূর্ণ চার্জ (০%-১০০%) একটি চার্জিং সাইকেল হিসেবে ধরা হয়। একজন ব্যবহারকারী যদি প্রতিদিন একটি করে সাইকেল শেষ করেন, তাহলে কিছুদিন পরই ব্যাটারির ক্ষমতা কমে আসবে। তাই প্রতিদিন পুরোপুরি চার্জ ও ডিসচার্জ না করে, মাঝপথে চার্জ দেওয়া ভাল অভ্যাস।
মিমিয়া