ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

মতামত

সরকার পতনের উদ্দেশ্যেই এমন ঘৃণ্য তান্ডব চালিয়েছে

সরকার পতনের উদ্দেশ্যেই এমন ঘৃণ্য তান্ডব চালিয়েছে

কোনো রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারলে অনেক সময় ক্ষমতার লোভে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সব সময়ই তারা ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করে। কোটা সংস্কার ইস্যুতে অনাকাক্সিক্ষত কিছু পরিবেশ সৃষ্টির পর সরকার যখন অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছিল, ঠিক তখনই ওত পেতে থাকা গোষ্ঠী সুযোগ নিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে ভয়াবহ তান্ডব চালায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক এবং মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত মেট্রোরেল, সেতু ভবন, ডেটা সেন্টার, নরসিংদী জেলা কারাগার, টোল প্লাজা, বিটিভিসহ যেসব স্থানে তান্ডব চালানো হয়েছে, সেগুলোর সবই কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক। নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে সেখান থেকে যেসব কয়েদিকে পালিয়ে যেতে তারা সহায়তা করেণ্ডে সেখানে অনেকেই ছিল জঙ্গি।

মতামত বিভাগের সব খবর

ছাত্রশক্তি রূপান্তর হোক দেশপ্রেমে

ছাত্রশক্তি রূপান্তর হোক দেশপ্রেমে

আক্রমণের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং অব্যর্থ নিশানাই বলে দেয় এরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা ছাত্রদের ব্যানার ব্যবহার করেছে। তাদের হিংসার বহির্প্রকাশ ছিল উন্নয়নের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল আধুনিক বাংলাদেশের প্রতীকসমূহ। মেট্রোরেল, উড়ালসড়ক, তথ্যযোগাযোগ হাব, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম, ব্যক্তিগত জানমাল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ কেপিআই স্থাপনায় আক্রমণের মাধ্যমে তারা জানিয়ে দিয়েছে এই বাংলাদেশ তারা পছন্দ করে না। তারা পছন্দ করে একটি দারিদ্র্যপীড়িত ও অনগ্রসর বাংলাদেশ, যাকে শোষণ করা যায়। উন্নয়নবিরোধী এ শক্তি অতীতেও একই কাজ করেছে

সহিংসতার পেছনে ষড়যন্ত্র

সহিংসতার পেছনে ষড়যন্ত্র

বুধবার এডিটরস গিল্ডের উদ্যোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, হেড অব নিউজ এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়ে অভিমত ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, তাঁর একটা ধারণা ছিলÑ এই ধরনের একটা আঘাত আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা যে একটা বিরাট চক্রান্ত ছিল সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। সারাদেশ থেকে শিবির-জামায়াত এসেছে। সঙ্গে ছাত্রদলের ক্যাডাররাও সক্রিয় ছিল। যত ঘটনা ঘটেছে এরাও (বিএনপি) সক্রিয় ছিল।’ উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাংলাদেশ টেলিভিশন, দুর্যোগ ভবন, সেতু ভবন, বিআরটিএ, ডেটা সেন্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। এসব সহিংসতার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র ছিল এটা এখন পরিষ্কার। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখনো লাশ পড়েনি। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টের (যুক্তরাষ্ট্রের) বক্তব্যে এসে গেল যে, লাশ পড়েছে। তো লাশের খবর তাদের কে দিল?’ তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করেন, ‘তাহলে লাশ ফেলার নির্দেশটা কে দিয়েছে?’  কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিষয়ে সরকারের সহানুভূতিশীল মনোভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলি বলেন, আমরা সব সময় তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছি। তাদের সব সময় নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, এটা কখনো ক্ষমা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হলো দেশবাসীর প্রতি ইতিবাচক আহ্বান। দেশের মানুষকে সব ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেছেন, জঙ্গিবাদের একটা বীভৎস চেহারা আজকে সকলের সামনে চলে এসেছে। এটার বিরুদ্ধে জাতিকে, সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ক্রান্তিকালে সংবাদপত্রের দায়িত্ব যে বেড়ে যায় সেটি নতুন করে বলার কিছু নেই। সাংবাদিকতা দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এটি যেমন সত্য, তেমনি বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ এখনো সংবাদপত্রকে বিশ^াস করে, ছাপানো সংবাদের ওপর আস্থা রাখে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দেখা গেছে মানুষ আবারও সংবাদপত্রের প্রতি ঝুঁকেছে। শুধু তথ্যপ্রাপ্তিই নয়, সংবাদ বিশ্লেষণ এবং যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যাধর্মী অভিমতের জন্য পাঠক সংবাদপত্রের ওপর নির্ভরশীল।

কোটা আন্দোলন এবং এর প্রভাব...

কোটা আন্দোলন এবং এর প্রভাব...

স্বাধীন দেশে আর কতকাল আমরা এ জাতীয় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের সাক্ষী হব? একটা জেলার কারাগার থেকে ৮২৬ কয়েদি নির্বিঘেœ চলে গেল, আমরা কিছুই করতে পারলাম না। এ ব্যর্থতাগুলোও খুঁজে বের করতে হবে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয়, জাতীয় গণমাধ্যম বিটিভিতে (যা কেপিআই নামে পরিচিত) ছয় ঘণ্টা ধরে তা-ব চালাল সন্ত্রাসীরা, তারপরও কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা গেল না। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নিরাপত্তার ঘাটতি এবং বিটিভির কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল কিনা দেখা দরকার। আমাদের শেষ ভরসাস্থল হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দূরদর্শী চিন্তা, দৃঢ়চেতা পদক্ষেপ দুর্বৃত্তদের দমন এবং এদের কুশীলব ও অর্থদাতাদের মুখোশ উন্মোচন করে সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেÑ এটাই আমাদের প্রত্যাশা

খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে ভোজ্যতেল উৎপাদন

খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে ভোজ্যতেল উৎপাদন

মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মাথাপিছু দৈনিক ৪০ গ্রাম ধরে ২০৩০ সালে ভোজ্যতলের দেশীয় চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২৮ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভোজ্য তেল আমদানি করতে সরকারকে প্রতিবছর ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় (২০২৩)। বর্তমানে ২৪ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে দেশে ভোজ্য তেল (সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী) স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার মাত্র সাড়ে ১২ শতাংশ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার

জনসেবায় সেনাবাহিনী

জনসেবায় সেনাবাহিনী

রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের  দুর্যোগ, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস বা মহামারিতে সেনা সদস্যদের ভূমিকা বরাবরই অগ্রগামী। সম্প্রতি কক্সবাজারে আটকে পড়া পর্যটকদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ৫০টি চেয়ার কোচ দেওয়া হয়েছে। এতে তিন হাজার পর্যটক নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারবেন। হোটেল-মোটেল ওনার্স- অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক করিমুল্লাহ করিম জানান, কক্সবাজারে অন্তত আট হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন।