
সুদূর অতীত-অতীত-নিকট অতীত বিশেষ করে বর্তমান সময়ে নারী ও শিশুদের প্রতি যেসব ভয়ংকর অনাচারের বহিঃপ্রকাশ পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশের জনগণ তাতে যারপরনাই উদ্বিগ্ন-আতঙ্কগ্রস্ত। সারাদেশে নারী-শিশুরা যৌন হয়রানি-সহিংস আক্রমণ-শারীরিক শাস্তি-মানসিক নির্যাতন ও অবহেলাসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছে। শিশুরাই অনেকাংশে প্রতিনিয়ত এমন কদর্য পরিস্থিতির সম্মুখীন। সাম্প্রতিককালে গণমাধ্যমে নারী ও নিষ্পাপ শিশুদের প্রতি পৈশাচিকতার ঘটনা বৃদ্ধির প্রবণতা প্রকাশ পাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে একের পর এক নৃশংস ঘটনা। অতিসম্প্রতি দেশে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুমিল্লা ও ভোলায় দুটি ধর্ষণের ঘটনা এবং এর সহিংসতার মাত্রা পুরো দেশবাসীকে হতবাক করেছে। উল্লেখ্য, ঘটনায় দেশজুড়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। বিজ্ঞজনদের মতে, আইন প্রয়োগের যথার্থ কার্যকারিতা-শিথিলতা-আদালত থেকে অতিসহজে মুক্ত হয়ে আসাসহ নানা কারণে এর ব্যাপকতা সমাজকে ধ্বংসের তলানিতে পৌঁছে দিচ্ছে। এসব জঘন্য কর্মকাণ্ড দেশের স্বাভাবিক জীবন ধারায় অন্তরায়-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অশুভ অপশক্তি পরিচালিত দেশ বিধ্বংসী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তার দ্রুত তদন্ত অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সৎ-যোগ্য-দক্ষ-চৌকস সদস্যদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র দৃশ্যমান করার প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভূত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যে নারী শিক্ষার্থী বা শক্তির দুঃসাহসিক অবদানে জুলাই বিপ্লব শক্তিমান হয়েছে সেই নারী শক্তির অবজ্ঞা বা সহিংসতার মাধ্যমে তা স্থিতিমিত করার যে কোনো ধরনের অপকৌশল অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
বর্তমানে ধর্ষণ একটি অন্যতম অপরাধে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করেও একে অবদমন করা যাচ্ছে না। ৯ মার্চ ২০২৫ গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯ জন নারী। এদের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২১টি এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ৫৭টি। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৭টি এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে দুটি। এদের মধ্যে পাঁচ জন ছিল প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারী। উল্লেখ্য, মাসে ধর্ষিতদের মধ্যে ১৬ জন শিশু ও ১৭ জন কিশোরীর সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। তাছাড়া এই মাসে ধর্ষণের চেষ্টা ১৯টি, যৌন হয়রানি ২৬টি, শারীরিক নির্যাতনের ৩৬টি ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ১১ মাসে সংঘটিত সহিংসতা ও ধর্ষণের ৭৮০টি ঘটনার মধ্যে ৫৫৮টি ঘটনা ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রকাশ পাওয়া জাতিসংঘের প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক গ্রুপ- ইউএনএফপি এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ নারী জীবনের কোনো না কোনো সময় শারীরিক-যৌন নির্যাতনসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন।
দেশের ১৫টি পত্রিকার খবর সংকলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হালনাগাদ প্রতিবেদন মতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে ৫১৬টি ছিল ধর্ষণের ঘটনা। শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৩৬৭টি। ওই সময়ে ৫২৮ নারী ও কন্যাশিশু হত্যাসহ ১৮১ জন যৌন নিপীড়ন ও ৪৩ জন উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছিলেন। রহস্যজনক মৃত্যু, শারীরিক নির্যাতন, সাইবার ক্রাইম, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের ঘটনারও আধিক্য ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৪৮১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের খবর প্রতিবেদনে উপস্থাপিত। তন্মধ্যে শিশু ৩৪৫টি। উক্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের ঘটনা কম হয়েছে মাত্র ৩৫টি এবং নারীর প্রতি সহিংসতার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাই সবচেয়ে বেশি। এর পরে রয়েছে হত্যা। তাছাড়া গত ছয় মাসে ১ হাজার ৫৫৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে দলবদ্ধ ঘর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৬ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৭ জনকে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, কিছু ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় বিচক্ষণ বা নষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন নারীদের প্রতারণা বা নানামুখী প্ররোচনায় আপরাধের সংখ্যা বেড়েছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।
সমাজবিজ্ঞানীদের অভিমত, যে কোনো অপরাধ সংগঠনের জন্য শিশুরা খুব সহজেই নাগালে আসে এবং তারা কিছু বুঝে উঠতে পারে না বলে হীন ইচ্ছা চরিতার্থে শিশুদের টার্গেট করা হয়। অনেক সময় পরিবারের বড় সদস্যদের শায়েস্তা করতেও অপরাধীরা শিশুদের ‘বলির পাঁঠা’ বানায়। মানুষের দুর্বল জায়গায় আঘাত করার জন্যই এটা করা হয়ে থাকে। এটি এক ধরনের বিকারগ্রস্ত মানসিকতা ছাড়া কিছুই নয়। আবার ব্যক্তি শত্রুতার জেরে শিশুহত্যা বা অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটছে। বিভিন্নক্ষেত্রে অর্থলোভে নষ্ট চরিত্রের মাদকাসক্ত পরিবারের সদস্যদের নিপীড়ন-নির্যাতনও নারীদের অসহায় করে তুলছে। পরিবারের নজরদারি, সামাজিক শৃঙ্খলা ও অপরাধীদর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। উন্নত দেশে বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিকে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কাউন্সেলিং-চিকিৎসাব্যবস্থার সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশে এখনও সেই ধরনের বহুমুখী কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। তবে সামাজিক সচেতনতা এবং নৈতিক-ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমে পরিস্থিতি উত্তরণ সম্ভব।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। এতদসত্ত্বেও কর্মক্ষেত্র-পরিবার ও জনপরিসরে নারীদের প্রায়ই বৈষম্য-নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য নিয়ে নারী দিবস পালিত হলেও নারীর প্রতি বিরাজিত সহিংসতার বহিঃপ্রকাশে কোনো কমতি নেই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে কেন্দ্র করে সেভ দ্য রোড কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে রেল, নৌ ও সড়কপথের পাশাপাশি রেল-নৌ-বাস স্টেশন এবং ফুটপাতে নারীদের শ্লীলতাহানি-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৭৫৮টি এবং ধর্ষিত হয়েছেন ৪১ জন নারী। তন্মধ্যে রেলপথে ৫৬২টি নির্যাতন ও ১১টি ধর্ষণ; সড়কপথে ৪১৩টি নির্যাতন ও ২০টি ধর্ষণ; নৌপথে ৩২৫টি নির্যাতন ও ৫টি ধর্ষণ এবং রেল-নৌ-বাস স্টেশন ও ফুটপাতে ৪৫৮টি নির্যাতন ও ৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া প্রযুক্তির সহায়তায়ও বাড়ছে নারী নির্যাতন। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, প্রতারণা, যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের আরেকটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। ২০২৪ সালের শুরুর থেকে শেষের দিকে অনলাইনে নির্যাতনের অভিযোগ বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, দেশে সহিংসতার শিকার নারীদের প্রায় ৬৪ শতাংশ তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা কাউকে কখনো বলেননি। পরিবারের সুনাম রক্ষা, সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নারীদের এ নীরবতা বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বাংলাদেশের সমন্বয়ে পরিচালিত নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ-২০২৪ এ উত্থাপিত হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত উল্লেখ্য জরিপের তথ্য অনুযায়ী, নারী আয় করলেও সেই টাকায় কর্তৃত্ব থাকে পুরুষের। গ্রামের সঙ্গে এক ধরনের পাল্লা দিয়ে শহরেও বেড়ে চলেছে নারী নির্যাতনের হার। জাতীয়ভাবে জীবনে একবার হলেও ফিজিক্যাল, সেক্সুয়াল, ইমোশনাল, কন্ট্রোলিং বিহ্যাভিয়ার, ইকোনমিক ভায়োলেন্সসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দেশের ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ নারী। এই হার শহরে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং গ্রামে ৭৬ শতাংশ।
অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশাসনে ছদ্মবেশে অনৈতিক পন্থায় নষ্ট চরিত্রের ব্যক্তিদের নিয়োগ-পদায়নের কারণে এসব ঘটনার অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ফৌজদারি আইনের দুর্বলতায় অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি হয় না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অপরাধীদের যথার্থ শাস্তির আওতায় আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রতিরোধ সৃষ্টি আবশ্যক। বহুলাংশে আইন প্রয়োগে দেশপ্রেম-নীতিনৈতিকতার অভাবে ধর্ষণ মহমারি রূপ পরিগ্রহ করেছে। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনতার অংশগ্রহণ ও সামাজিকভাবে ধর্ষকদের ছবি বা পোস্টার এলাকায় এলাকায় ছড়িয়ে দিয়ে এদের চরিত্র স্খলনের বিষয়টি জনসম্মুখে আনা যেতে পারে। তাদের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক না রেখে সামাজিকভাবে সর্বত্র তাদের চলাফেরায় সীমাহীন লজ্জা বা অপমান করে দেশে লজ্জার সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে হবে। কারণ লজ্জার সংস্কৃতির অভাবেই একটি পরিবার নির্লজ্জ হয়ে তার ধর্ষক ছেলে, ভাই ও আত্মীয়দের বাঁচাতে আসে। জাপানে একজন মানুষ সাধারণ লজ্জায় আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। অথচ এদেশে ধর্ষণ করে মিষ্টি খাওয়ানোর অপসংস্কৃতি চালু ছিল। যেসব পুরুষ এ ধরনের অপরাধ একের পর এক করে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে অপরাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার গোপনীয় যোগসূত্র অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত। ফলস্বরূপ পুলিশ ও মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং সর্বোপরি বিচার বিভাগ কর্তৃক ন্যায়বিচার পাওয়া সুদূর পরাহত বিষয়ে পরিণত। বিচারহীনতা-সহিংসতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের পেশিশক্তির সম্পৃক্ততা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। যেসব ক্ষেত্রে নিজের পরিবারের সদস্যরা সম্পৃক্ত, তাদের রক্ষার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা অগ্রহণযোগ্য।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে দেশে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’, ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন -২০১০’, ‘মানবপাচার (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন -২০১০’, ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’সহ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৩-২০২৫) প্রণীত হয়েছে। এতদ সত্ত্বেও এসব জঘন্য অপরাধের পেছনে কোনো ধরনের অপশক্তি অতিমাত্রায় সক্রিয় এবং সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে কারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে লিপ্ত রয়েছে তাদের মুখোশ উন্মোচন অপরিহার্য। দায়িত্বশীলতা-পেশাদারিত্বের উৎকর্ষতায় এলাকাভিত্তিক জরিপের মাধ্যমে দ্রুত এসব দানবরূপী হিংস্র পশুদের চিহ্নিত করে পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে কঠোর আইনের আওতায় আনা উচিত। অতিসম্প্রতি দেশে সংঘটিত ঘটনাসমূকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত-বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি অত্যন্ত জোরালোভাবে উচ্চকিত। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার সম্মিলিত উচ্চারণে যৌক্তিক-ইতিবাচক ভূমিকা পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতা প্রমাণের সুযোগ অবলম্বন একান্তই অনিবার্য।
লেখক : শিক্ষাবিদ
প্যানেল/মো.