ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মতামত

পান্তাভাত- পুষ্টি ও ঐতিহ্য

পান্তাভাত- পুষ্টি ও ঐতিহ্য

পান্তা- গ্রামীণ বাংলার সকালের খাবার, যা পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যের স্মারক। এটি বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির অংশ। ‘পান্তা’ প্রত্যয় সাধিত শব্দ; পানি + তা (ভাত) = পান্তা অর্থাৎ পানিতে  ভেজানো ভাত বা পানি ভাত। সাধারণত রাতের খাবার শেষে যে অতিরিক্ত ভাত থেকে যায়, সেটাতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে বিভিন্ন ধরনের গাজনকারী (Fermented) ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক (Yeast) ভাতের শর্করা ভেঙ্গে ইথানলওল্যাকটিক এসিড তৈরি করে। ফলে, ভাতের অম্লত্ব বেড়ে যায় এবং তখন পচনকারী ব্যাকটেরিয়া আর ভাত নষ্ট করতে পারে না- এজন্যই এটি স্বীকৃত ভাত সংরক্ষণ পদ্ধতি। সকাল বেলা সেই ভাত সাধারণত পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা ও লবণ সহযোগে খাওয়া হয়। তাছাড়া, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, যেমন- আলুভর্তা, বেগুনভর্তা, শুঁটকিভর্তা, ডালভর্তা, মরিচপোড়া, সরিষার তেল, শাক ভাজা, ডালের বড়া, মাছ ভাজা ও তরকারি দিয়ে পান্তা খাওয়া হয়।

মতামত বিভাগের সব খবর

মুজিবনগর দিবস

মুজিবনগর দিবস

আজ ১৭ এপ্রিল। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বাধীনতাসহ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি চিরঅম্লান, চিরস্মরণীয়। এদিন কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার ছায়া     সুনিবিড় আম্রকাননে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং পঠিত হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। শপথ গ্রহণের পর স্থানটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। সেই থেকে দিনটি ইতিহাসে পরিচিতি লাভ করে ‘মুজিবনগর দিবস’ হিসেবে। ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ঐতিহাসিক মুজিবনগরেই রচিত হয়েছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ঘোষিত স্বাধীনতাকে বাস্তবে রূপ দিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ মুজিবনগরে একত্রিত হয়েছিলেন। এদিন নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন দেশ-বিদেশের বহু বিখ্যাত সাংবাদিক। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তাজউদ্দীন আহমদ।

রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ

রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ

উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এরই মধ্যে স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশও স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আগামীতে যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে থাকবে, তারাই ব্যবসা-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় নিজেদের নিয়ে যেতে পারবে। বাংলাদেশ দিন দিন স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে, যা দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আছি। যেখানে আমরা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং রোবটিক্স নিয়ে ভাবছি