
হাঁটা পথের ইংরেজি শব্দই হলো ফুটপাত। রাজধানী শহরে প্রথম ফুটপাতের সৃষ্টি এবং ব্যবহার শুরু হলেও বর্তমানে মহানগর এবং জেলা শহরগুলোতেও জনবহুল স্থানে সড়কের দুপাশে ফুটপাত রয়েছে। সড়কে চলে যানবাহন আর ফুটপাতে চলে পায়ে হাঁটা মানুষ। সড়কের দুপাশেই থাকে ফুটপাত। ফুটপাত প্রশস্ত নয়। সড়কের দুপাশের ফুটপাতের প্রশস্ততা যোগ করলে মূল সড়কের অর্ধেকের চেয়েও কম হবে। কিন্তু মূল সড়কের চেয়ে তার গুরুত্ব কম নয়। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি।
রাজধানীতে ফুটপাতে হকার ও বিভিন্ন ধরনের দোকানপাটে বিকিকিনি বহু আগে থেকেই সব সময়ই ছিল এবং আছে। কিন্তু মহানগর ও জেলা শহরগুলোতে এমনকি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল স্থানগুলোতে ফুটপাত ও সড়কের পাশে কাঁচামালের দোকান/ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করে পণ্য বিক্রি শুরু হয় ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ করোনা মহামারির সময় থেকে। তখন করোনা মহামারির সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হাট-বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। মানুষের ক্রয়-বিক্রয়ের চাহিদা পূরণের জন্য রাস্তার দু’ধারে এবং ফুটপাতে কাঁচাবাজার বসিয়ে দেয় যা এখনো চলছে। কিন্তু তা বর্তমানে চলতে পারে না বা চলা উচিত নয়। যাকে যে কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে তাকে সে কাজে ব্যবহার করা উচিত। ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে পায়ে হাঁটা মানুষের নির্বিঘ্ন পথ চলার জন্য, যেন যানবাহন বা অন্য কিছু তাদের বিব্রত না করে। কিন্তু ফুটপাত দেখার কেউ যেন এদেশে নেই। আমি বয়স্ক মানুষ। হাঁটা আমার প্রতিদিনের থেরাপি। কিন্তু হাঁটতে হয় সড়কের ওপর দিয়ে। কারণ ফুটপাতে দোকানপাট বসছে, পণ্য কেনাকাটা হচ্ছে। ফুটপাত দিয়ে হাঁটার কোনো উপায় নেই।
ফুটপাত হকার ও কাঁচামালের ভ্যান গাড়ির অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। আমাদের রাস্তার দু’ধারের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত হয়ে আমাদের হাঁটার পথ সুগম হোক।
মোক্তারপাড়া, নেত্রকোনা থেকে
প্যানেল