
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন ছাত্র-গণ অভ্যুত্থান, যা মূলত কোটা আন্দোলনের সূত্র ধরে বিস্ফোরিত হয়। ৫ জুন ২০২৪ তারিখে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের কোটা সংক্রান্ত একটি সার্কুলারকে অবৈধ ঘোষণা করলে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। পরবর্তীতে এটি একটি সরকারবিরোধী গণআন্দোলনের রূপ নেয়।
আন্দোলনের মূল প্রেক্ষাপট ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ ও বঞ্চনা। ৬ জুন থেকে দেশের নানা প্রান্তে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন কেবল একটি নীতির বিরুদ্ধে ছিল না, এটি ছিল দীর্ঘদিনের অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা গণজোয়ার।
এই আন্দোলনে শহীদ হন বেশ কয়েকজন তরুণ। তাঁদের মধ্যে আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ অন্যতম, যারা দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের রক্তে ভিজে গেছে বাংলার রাজপথ, তাদের স্বপ্নে আলোড়িত হয়েছে হাজারো হৃদয়।
জুলাই আমাদের চোখের জলের ইতিহাস। একই সঙ্গে এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক গর্বের গাঁথা। এই বিপ্লব দেখিয়েছে, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এখনও ন্যায় ও অধিকার রক্ষায় অগ্রভাগে রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মত্যাগই এই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল।
এই বিপ্লব আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যখনই অন্যায় বাড়ে তখনই গর্জে ওঠে বাংলাদেশের তরুণরা। শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না, বরং তারা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।
মিমিয়া