ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সব খবর

স্মার্টফোন চার্জে বিদ্যুৎ সাশ্রয়

স্মার্টফোন চার্জে বিদ্যুৎ সাশ্রয়

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনকে প্রভাবিত করলেও আমরা চাইলেই কিন্তু তা একেবারে কমিয়ে আনতে পারি না। দৈনন্দিন যে সব কাজে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করতেই হয়, তার কোনোটিই একেবারে উপেক্ষা করা সম্ভব না। আর এটির একটি উল্লেখযোগ্য অপরিহার্য ব্যবহার হয় মোবাইল চার্জ করতে। কম-বেশি এখন সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। অনেকে একাধিক স্মার্টফোনও ব্যবহার করেন। আবার ঘরের অন্য সদস্যদের স্মার্টফোন মিলিয়ে সবার বাড়িতেই ৩-৪টি স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু এতগুলো ফোন ফুল চার্জ করে মাসে বিদ্যুৎ খরচ কত হচ্ছে, সেই হিসাব রাখছেন কি? সাধারণত একটি স্মার্টফোন গড়ে দিনে দুইবার চার্জ করা হয়। জেনে নেওয়া যাক একটি স্মার্টফোন প্রতিদিন দুইবার ফুল চার্জ করে বছরে আপনার বিদ্যুৎ খরচ কত হবে। এ বিষয়ে লরেন্স বার্কলে ল্যাবের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, যদি কোনো স্মার্টফোনে ৩ থেকে ৭ ওয়াটের মধ্যে কোনো চার্জিং অ্যাডপ্টার ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রে ২ ঘণ্টা চার্জ দিলে খরচ হয় .০০৬ থেকে .০১৪ ইউনিট বিদ্যুৎ। অর্থাৎ যদি আপনি প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে নিজের স্মার্টফোন চার্জ করেন, তাহলে সারাবছরে আপনার মোট ২ থেকে ৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে।

থ্রেডসে অ্যাপে  যেসব সুবিধা

থ্রেডসে অ্যাপে যেসব সুবিধা

সামাজিকতা এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। ইন্টারনেটজুড়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছড়াছড়ি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি। প্রত্যেকটিতেই পছন্দের সেলিব্রেটিদের ফলো করা যায় এবং পরিচিত, অপরিচিতদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায়। ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন দিন দিন বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে আসছে নতুন নতুন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপলিকেশন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইতোমধ্যে বহুল জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো টুইটার, যার বর্তমান মালিক স্পেস এক্স এবং টেসলা কোম্পানির মালিক ইলন মাস্ক। টুইটারের প্রতিযোগী হিসেবে সম্প্রতি ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা ‘থ্রেড’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে। অ্যাপটি অফিসিয়ালি চালু হয় ৫ জুলাই, ২০২৩ সালে। অ্যাপটিতে টুইটারে থাকা ফিচারগুলোর পাশাপাশি থাকবে নতুন কিছু সংযোজন। কোম্পানি জানায়, ইতোমধ্যেই তাদের অ্যাপটিতে ৩০ মিলিয়নের বেশি সাইন ইন সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বড় বড় ব্র্যান্ড, সেলিব্রিটি, সাংবাদিকসহ আরও অনেকে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেপথ্যে  যাদের বুদ্ধিমত্তা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেপথ্যে যাদের বুদ্ধিমত্তা

প্রযুক্তি জগতে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচ্য এবং জনপ্রিয় বিষয় হলো ‘এ আই’ (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কম্পিউটারকে কোডিং করে তার মধ্যে কমান্ড ইনপুট করে তাকে দিয়ে কাজ করানোর প্রকিয়াই মূলত এ আই, যা দিন দিন উন্নত হচ্ছে এবং নিজে নিজেই শিখছে অনেক কিছু। এআই মানুষের ঝঁকিপূর্ণ এবং কঠিন কাজ সহজ করে দিয়েছে। আমরা এর সুবিধা ভোগ করছি। কিন্তু আমরা কি জানি এ আই তৈরি বা একে উন্নত করার কাজে কারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে? এখন তা জানা যাবে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সাময়িকী ‘টাইমস’। গত ১০০ বছর ধরে টাইমস তাদের প্রচ্ছদে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছেÑ এমন ব্যক্তিদের নিয়ে প্রচ্ছদ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার টাইমস তাদের প্রচ্ছদে তালিকাভুক্ত করেছে সে সব মানুষের যারা এ আই তৈরি এবং তার উন্নতির পেছনে দিন-রাত শ্রম দিয়ে আমাদের জীবনযাপনে এনে দিচ্ছে আধুনিকতা। দেখে নেওয়া যাক টাইম ১০০ এআই তালিকায় কারা রয়েছেন।

ই-স্পোর্টসে ক্যারিয়ার

ই-স্পোর্টসে ক্যারিয়ার

ইলেক্ট্রনিক স্পোর্টস সংক্ষেপে ই-স্পোর্টস। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, খেলাধুলা কিভাবে ইলেক্ট্রনিক হয়? মূলত, ইলেক্ট্রনিক স্পোর্টস বলতে পেশাদার স্তরে প্রতিযোগিতামূলক ভিডিও গেমিংকে বোঝায়। এতে সংগঠিত প্রতিযোগিতা জড়িত যেখানে খেলোয়াড় বা দলগুলো বিভিন্ন ডিভাইস যেমন কনসোল, মোবাইল বা কম্পিউটারের বিভিন্ন ভিডিও গেমে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এই প্রতিযোগিতাগুলো বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা টেলিভিশন ইভেন্টের মাধ্যমে হতে পারে। এটিতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্দিষ্ট কিছু গেম সিলেক্ট করে দেওয়া হয় এবং প্রতিযোগীরা তাদের ডিভাইসের সঙ্গে কানেকশনের মাধ্যমে সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ই-স্পোর্টসের উৎস খুঁজতে হলে যেতে হবে ভিডিও গেমিংয়ের প্রথম দিকের দিনগুলোতে। যদিও এর উদ্ভাবক হিসেবে একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। এখানে বেশকিছু মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান এর বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ই-স্পোর্টসের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে ছিল ১৯৭০ এবং ১৯৮০ সালের প্রতিযোগিতামূলক গেমিং টুর্নামেন্টের আবির্ভাব। ১৯৮০ সালে আয়োজিত স্পেস ইনভেডারস চ্যাম্পিয়নশিপকে প্রথম বৃহৎ আকার গেমিং প্রতিযোগিতা হিসেবে ধরা হয়। ১৯৯০ সালের শেষের দিকে এবং ২০০০-এর শুরুর দিকে অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমিং শুরু হতে থাকে।