ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সব খবর

নতুন ৪৪ নক্ষত্র আবিষ্কার রোমাঞ্চিত বিজ্ঞানীরা

নতুন ৪৪ নক্ষত্র আবিষ্কার রোমাঞ্চিত বিজ্ঞানীরা

নতুন ৪৪টি নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এগুলো খুঁজে পেয়েছেন। গত ৬ জানুয়ারি, সোমবার নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। নতুন আবিষ্কৃত নক্ষত্রগুলো পৃথিবী থেকে ৬৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। এর আগে এত দূরে একসঙ্গে এতগুলো নক্ষত্র আর পাওয়া যায়নি। নক্ষত্রগুলো খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। তাদের নেতৃত্ব দেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ ডেভিড লাগাতুতা ও ম্যাথিল্ড জাউজাক। নক্ষত্রগুলো রয়েছে ড্রাগন আর্ক গ্যালাক্সিতে। এতদিন এসব নক্ষত্র দেখা যায়নি, কারণ ওগুলো ড্রাগন আর্ক অ্যাবেল ৩৭০ নামে একটি গ্যালাক্সির পেছনে লুকিয়ে ছিল। ‘মহাকর্ষীয় লেন্সিং’ নামে পরিচিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে এগুলো শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে একই পদ্ধতি ব্যবহার করে ড্রাগন আর্ক গ্যালাক্সির খোঁজ পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

হীরার ব্যাটারি এক চার্জে হাজার বছর!

হীরার ব্যাটারি এক চার্জে হাজার বছর!

বিশ্বে প্রথমবার হীরার মতো দামি পাথর দিয়ে তৈরি হলো এমন এক ব্যাটারি, যা একবার চার্জ করলেই চলবে হাজার বছর। এই যুগান্তকারী উৎস শুধু চিকিৎসা সরঞ্জাম আর মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য নয়, এটি পাল্টে দেবে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির দিকনির্দেশনা। এই অসাধারণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যের অ্যাটমিক এনার্জি অথরিটি (ইউকেএইএ) এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। কার্বন-১৪ নামে এক তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দিয়ে তৈরি এই ব্যাটারিকে বলা হচ্ছে ডায়মন্ড ব্যাটারি। এটি সৌর প্যানেলের মতো কাজ করে, তবে আলোর পরিবর্তে কার্বন-১৪ এর ক্ষয় থেকে পাওয়া ইলেকট্রনকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। আরও মজার বিষয় হলো এটি শুধু দীর্ঘস্থায়ী নয়, অত্যন্ত নিরাপদ। এটি স্মার্টফোন, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন পেসমেকার, শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র এবং চোখের ইমপ্ল্যান্টে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে। রোগীদের জন্য এটি হবে একটি বিশাল সুবিধা, কারণ একবার ব্যাটারি লাগানোর পর আর বদলানোর প্রয়োজনই হবে না। মহাকাশ গবেষণার জন্যও এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। চরম পরিবেশে সাধারণ ব্যাটারি যেখানে কাজ করে না, সেখানেও ডায়মন্ড ব্যাটারি কাজ করতে সক্ষম। মহাকাশযান, স্যাটেলাইট এবং পেলোডের মতো ডিভাইসগুলোতে এটি কয়েক দশক ধরে শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। কারণ, একবার চার্জ দিয়ে এটি মহাকাশযানে কয়েক শ বছর কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম। তবে, এর দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হীরার মতো ব্যাটারির মূল্য সাধারণ মানুষের জন্য কতটা সাশ্রয়ী হবে, সেটি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত হলে খরচ কমে আসবে। এই ব্যাটারির প্রযুক্তি আরও একটি বিশেষ দিক তুলে ধরে—এটি পরিবেশবান্ধব। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হলেও, কার্বন-১৪ এর ক্ষুদ্র পরিমাণ কৃত্রিম হীরায় সুরক্ষিতভাবে স্থাপন করা হয়। তাই এটি ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই। গবেষকদের মতে, এই ব্যাটারি শুধু শক্তি খাতে নয়, প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এটি এমন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে।

অ্যাপল ওয়াচে স্যাটেলাইট

অ্যাপল ওয়াচে স্যাটেলাইট

আইফোনের মতো অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ সমান জনপ্রিয়। বেশ কয়েকটি সিরিজের অ্যাপল ওয়াচ বাজারে এনেছে সংস্থাটি। অনেকেই ব্যবহার করছেন নিয়মিত। তবে এবার নতুন অর্থাৎ অ্যাপল ওয়াচ ২০২৫-এ থাকছে বিশেষ চমক। অ্যাপল তাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টওয়াচ, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ৩-এ স্যাটেলাইট সংযোগের সুবিধা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের সেলুলার বা ওয়াইফাই সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে সক্ষম হবে। এই স্যাটেলাইট সংযোগের জন্য অ্যাপল গ্লোবালস্টার স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করবে, যা এরই মধ্যে আইফোন-১৪ মডেলগুলোতে ইমার্জেন্সি এসওএস ফিচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি বিশেষ করে তাদের জন্য উপকারী হবে যারা দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ করেন এবং যেখানে সেলুলার নেটওয়ার্ক উপলব্ধ নয়। এছাড়া অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ৩-এ রক্তচাপ মনিটরিং ফিচার যুক্ত করার জন্যও কাজ করছে, যা ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে আরও সহায়ক হবে। অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ৩-এর এই নতুন ফিচারগুলো ২০২৫ সালে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্মার্টওয়াচ প্রযুক্তিতে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে। সূত্র: পিসি ম্যাক

অ্যাপল ওয়াচে স্যাটেলাইট

অ্যাপল ওয়াচে স্যাটেলাইট

আইফোনের মতো অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ সমান জনপ্রিয়। বেশ কয়েকটি সিরিজের অ্যাপল ওয়াচ বাজারে এনেছে সংস্থাটি। অনেকেই ব্যবহার করছেন নিয়মিত। তবে এবার নতুন অর্থাৎ অ্যাপল ওয়াচ ২০২৫-এ থাকছে বিশেষ চমক। অ্যাপল তাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টওয়াচ, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ৩-এ স্যাটেলাইট সংযোগের সুবিধা যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের সেলুলার বা ওয়াইফাই সংযোগ ছাড়াই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে সক্ষম হবে। এই স্যাটেলাইট সংযোগের জন্য অ্যাপল গ্লোবালস্টার স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করবে, যা এরই মধ্যে আইফোন-১৪ মডেলগুলোতে ইমার্জেন্সি এসওএস ফিচারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি বিশেষ করে তাদের জন্য উপকারী হবে যারা দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ করেন এবং যেখানে সেলুলার নেটওয়ার্ক উপলব্ধ নয়। এছাড়া অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ৩-এ রক্তচাপ মনিটরিং ফিচার যুক্ত করার জন্যও কাজ করছে, যা ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে আরও সহায়ক হবে। অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ৩-এর এই নতুন ফিচারগুলো ২০২৫ সালে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্মার্টওয়াচ প্রযুক্তিতে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে। সূত্র: পিসি ম্যাক

এক দশকে প্রযুক্তিতে ১০ পরিবর্তন

এক দশকে প্রযুক্তিতে ১০ পরিবর্তন

প্রযুক্তির দুনিয়া বড় বিচিত্র। এখানে নিত্য-নতুন আবিষ্কারের চমক যেমন আছে, তেমনি আছে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটি টেকসই সিস্টেম ডেভলপের উদাহরণও। বিগত এক দশকে প্রযুক্তিতে এসেছে বড় দশটি পরিবর্তন, যা একইসঙ্গে বদলে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্বেকার মান ও অবস্থানকে। ২০১১ সালে একটি কোম্পানিও ছিল না যাদের বাজারমূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলার বা তার কাছাকাছি ছিল; কিন্তু আজ চারটি কোম্পানির নাম আসবে তালিকায়। পরিবর্তন অতি চূড়ান্ত বিষয়, একে থামাবার জো নেই কারো। পার্থক্য কেবল এটাই যে কিছু পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত, আবার কখনো বা এর গতি থাকে মন্থর। এসব পরিবর্তন নিয়ে সব সময় ভবিষ্যতবাণীও দেয়া যায় না, তবে অনেক বছর পর পেছন ফিরে চাইলে অনুভব করা যায়। ব্লুমবার্গের একটি টেলিভিশন শো’র জন্য এমনি দশটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের তালিকা করেছেন সান ফ্রান্সিসকোর এমিলি চ্যাং। এসব পরিবর্তন তার গত এক দশকের অনুধাবন। ১. প্রায় ১০ বছর আগে স্টিভ জবস শেষবারের মত প্রকাশ্যে মঞ্চে এসেছিলেন, এরপর টিম কুক অ্যাপল ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আসীন হন। ২. গত দশটি বছর আইফোন তার ৪ থেকে ১২ (এখন পর্যন্ত) সংস্করণ দিয়ে বিমুগ্ধ করে গেছে। সিরি, ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং, ৪জি, ৫জি, টাচ আইডি এবং তারপরে ফেস আইডি, বৃহৎ স্ক্রিন, ল্যাপটপের চাইতেও দ্রুতগামী প্রসেসরের মত নিত্যনতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়ে এসেছে। ৩. ২০১১ সালের প্রথম দিকে, ভার্চুয়ালি কোনও অ্যামাজন ভ্যান ছিল না কিন্তু এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলিতে প্রায় প্রতিটি রাস্তার কোণে অন্তত একটির দেখা মিলবে; রয়েছে সারা বিশ্বে ১৬০০ এরও বেশি লজিস্টিকস সেন্টার। অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস ক্লাউড কম্পিউটারের বিশাল নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে যা বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি তরুণদের ‘স্টার্টআপে’ সহায়তা করছে। আলেক্সাকেও ভুলে গেলে চলবে না; ঘরের অন্যান্য আসবাবগুলোর মতই আলেক্সা এখন যেন এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ৪. ২০১১ সালে একটি কোম্পানিও ছিল না যাদের বাজারমূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলার বা তার কাছাকাছি ছিল; কিন্তু আজ চারটি কোম্পানির নাম আসবে তালিকায়Ñ অ্যামাজন, অ্যাপল, গুগল এবং মাইক্রোসফট। ৫. ২০১১ সালের একদিন প্রেসিডেন্ট ওবামা স্টিভ জবস এবং মার্ক জুকারবার্গের মাঝে বসে প্রযুক্তি নির্বাহীদের সাথে ডিনার সারেন। সে সময়ই সিলিকন ভ্যালির সাথে ওয়াশিংটন তার সম্পর্ক জোরদার করে। ২০১৬ সালে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের চেয়ারে বসার আগ পর্যন্ত সে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ। আজ এক দশকের ব্যবধানে যেভাবে ফেসবুক, টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে তাদের প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপিত কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে, সন্দেহ নেই এটিই তাদের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ! ৬. বাজারে টেসলার একটিই গাড়ি ছিলÑ দ্য রোডস্টার; বলতে গেলে তেমন প্রতিযোগীও ছিল না। কিন্তু আজ তাদের বিক্রয়ের জন্য চারটি মডেল রয়েছে; মডেল এস থ্রি, এক্স এবং ওয়াই।  গাড়ি প্রস্তুতকারকের সুবিধার্থে এখন ভার্চুয়ালি ইলেকট্রিক অফারের ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু টেসলা এখনো বাজারে একক আধিপত্য বিস্তার করে আছে। ৭. অনলাইন স্ট্রিমিং জগতের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম নেটফ্লিক্সকে আজ আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার নেই। ২০১১ সালে নেটফ্লিক্স তার ডিভিডি ভাড়া দেবার ব্যবসাকে বিভক্ত করে কুইকস্টার নামক আরেকটি প্ল্যাটফর্মের জন্ম দেয়। ২০১২ সালে নেটফ্লিক্স নিজেদের প্রযোজনা শুরু করে; পরের বছর তাদের প্রথম পরিচালিত ধারাবাহিক ‘হাউস অব কার্ডস’ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। ব্যস এরপর আর পেছনে তাকাতে হয় নি। আজ এই কোম্পানিটি সমগ্র হলিউডকে বদলে দিয়েছে; স্ট্রিমিং সেবা বাড়লেও নিজেদের ডিভিডি ব্যবসা কিন্তু এখনো ধরে রেখেছে নেটফ্লিক্স। ৮. দশ বছর আগে, উবার নিছক একটি কালো রঙের গাড়ি ভাড়া দেবার পরিষেবা ছিল। এটি খুব স্বল্প সময়ের জন্য সুলভ ছিল এবং গভীর রাতে বাড়ি ফিরে আসতেই কাজে লাগত। এয়ারবিএনবি বাড়িতে এয়ার-বেড ম্যাট্রেস সরবরাহ করা কেবল শুরু করেছে তখন। আর ডোরড্যাশের তো তখনো অস্তিত্বই ছিল না। ৯. ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে কোন বৈচিত্র্য চোখে পড়েনি। শ্বেত এবং পুরুষ অধ্যুষিত শিল্প দুনিয়ায় প্রথম বড় পরিবর্তন এল ২০১৭ সালে, হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের মাধ্যমে। সদ্য সংঘটিত ২০২০-এর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন মানুষকে আরও বেশি করে অধিকার সচেতন করে তোলে। তবে যতটা আশা করা হয়েছিল, এখনো সেভাবে প্রযুক্তির দুনিয়ায় নারী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব চোখে পড়ছে না।     ১০. অঙ্ক কষতে যারা ভালবাসে, তাদের কাছেই যেন কেবল বিটকয়েন খানিকটা কৌতূহলদ্দীপক ছিল। ২০১১ সালে ভার্চুয়াল কালো বাজার সিল্ক রোড একে অর্থ প্রদানের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা শুরু করলে ইন্টারনেটের কালো বাজারের দুনিয়ায় পাচারের জন্য এই ডিজিটাল মুদ্রার কদর বাড়তে থাকে। সেই সময়ে কেনা ১০০ ডলারের বিটকয়েনের মান দশক পেরিয়ে এখন এসে ঠেকেছে ৫০ লাখ ডলারে!

নতুন বছরে প্রযুক্তি সুরক্ষা

নতুন বছরে প্রযুক্তি সুরক্ষা

বায়োপ্রিন্টিং হলো থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবন্ত কোষ এবং বায়োম্যাটেরিয়াল দিয়ে টিস্যু ও অঙ্গ তৈরি করার একটি প্রক্রিয়া। এটি অঙ্গ প্রতিস্থাপন, ব্যক্তিগতকৃত স্বাস্থ্যসেবা এবং ড্রাগ টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। বায়োইঙ্ক (জীবন্ত কোষ) এবং বিশেষ থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহৃত হয়। প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গ যেমন কিডনি, লিভার, এমনকি হার্টও তৈরি করা সম্ভব হবে এই প্রযুক্তি দ্বারা। এই প্রযুক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ সুবিধা হলো, এতে রোগীর নিজস্ব কোষ ব্যবহৃত হলে অঙ্গ প্রত্যাখ্যানের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধক নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আর থাকবে না। বায়োপ্রিন্টেড টিস্যুতে আরও সঠিক ড্রাগ টেস্টিং করা সম্ভব, যার ফলে পশু পরীক্ষা কমিয়ে আনা যায়। এটি বিশ্বব্যাপী প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গের অভাব মোকাবিলা করতে পারে, যেখানে রোগীর নিজস্ব কোষ ব্যবহার করে অঙ্গ তৈরি করা সম্ভব। এই প্রযুক্তির কিছু বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বিজ্ঞানীরা যদিও সহজতম টিস্যু যেমন ত্বক এবং কারটিলেজ বা তরুণাস্থি সাফল্যের সঙ্গে বায়োপ্রিন্ট করেছেন তবে জটিল অঙ্গ তৈরি করার চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান। বায়োপ্রিন্টিং লাভজনক বা বাণিজ্যিকভাবে কার্যকরী হতে গেলে এগুলোর প্রতিটি ত্রুটি সংস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রযুক্তি কেবল ধনী সমাজের মানুষের জন্য উপলব্ধ হবে না তো? অপরদিকে মানব টিস্যু ল্যাবরেটরিতে তৈরি করার নৈতিকতা বিষয়ক ধোঁয়াশার সমাধান দরকার।