ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ জুন ২০২৩, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সব খবর

ফেসবুকে সীমিত হচ্ছে বিজ্ঞাপন

ফেসবুকে সীমিত হচ্ছে বিজ্ঞাপন

ডলার সংকটে বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের কার্যক্রম সীমিত করা হচ্ছে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার জন্য অনুমোদিত বিজ্ঞাপনী সংস্থা এইচ টিটিপুল মঙ্গলবার গ্রাহকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ডলার সংকট ও বিদেশে টাকা পাঠানো নিয়ে জটিলতার কারণে পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মেটার পরিষেবা সাময়িকভাবে পাওয়া যাবে না অথবা সীমিত থাকবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে বাংলাদেশের গ্রাহকরা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে সমস্যায় পড়বেন। সীমিত হয়ে পড়বে ফেসবুকনির্ভর ব্যবসাও। এইচটিটি পুল জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করছে। তবে বর্তমানে সৃষ্ট পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত ও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

চালু হতে যাচ্ছে পে-পল সেবা

চালু হতে যাচ্ছে পে-পল সেবা

ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। কিন্তু পেশা হিসেবে এটি এখনো অত বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যার কারণে ফ্রিল্যান্সারদের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে পে-পাল চালু করা হবে। ফ্রিল্যান্সারদের প্রাণের দাবি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এটা চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাগেরহাট গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী তা করবেন। বাগেরহাটের শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য জেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি উপজেলায়ও তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেন্টার করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর কয়েক হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বের হবে। যারা নিজেরা আয় করার পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবেন। এর আগে বাগেরহাট-২ (কচুয়া-সদর) আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় দিনব্যাপী এই স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার উদ্বোধন করেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মার্ট মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন, পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল ইসলাম, ব্রাক-কুমন-এর প্রধান নেহাল বিন হাসান প্রমুখ। আইসিটি ডিভিশন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, এটুআই, আইডিয়া, ইডিজিই আয়োজিত দিনব্যাপী ৩৫টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের স্টল রয়েছে। শিক্ষিত ও দক্ষ তরুণ-তরুণীরা চাকরির জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে তাদের জীবন বৃত্তান্ত দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের চাহিদা অনুযায়ী অনেক প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে। এ ছাড়া মেলা উপলক্ষে আইসিটি ডিভিশনের পক্ষ থেকে ২০ জন ফ্রিল্যান্সারকে ২০টি ল্যাপটপ এবং ৪০ জন উদ্যোক্তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান’

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ন্ত্রণের জন্য মার্কিন আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি-এর নির্মাতা স্যাম অল্টম্যান। মার্কিন সিনেট কমিটির সামনে নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও ত্রুটি নিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অল্টম্যান এ আহ্বান জানান। এ সময় এআই কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স প্রদান ও নিয়ন্ত্রণে নতুন কর্তৃপক্ষ গঠনের আহ্বান জানান তিনি। অল্টম্যান বলেন, ছাপাখানা প্রযুক্তি যেমন ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়েছে, এআই ও সেরকম অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। আবার এর সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেন তিনি।  অর্থনীতিতে এআইয়ের যে বড় ধরনের প্রভাব থাকতে পারে তাও স্বীকার করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে এআই প্রযুক্তি যে মানুষের চাকরির জায়গা দখল করতে পারে এবং এর প্রভাবে যে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে জনবল ছাঁটাই হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। অল্টম্যান বলেন, চাকরিতে এর প্রভাব পড়বে। আমরা বিষয়টি খুব স্পষ্ট করেই বলতে চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন সংস্থা এই শিল্পকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয়ে তিনি বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন অল্টম্যান। যার মধ্যে রয়েছে, এআই কোম্পানিগুলোকে অনুমোদন দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি। অল্টম্যান বলেন, ওপেন এআই-এর মতো সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে যাচাই-বাছাই করা উচিত। রিপাবলিকান সিনেটর জশ হাওলে বলেন, এটি এক ধরনের বৈপ্লবিক প্রযুক্তি হতে পারে। তবে নতুন প্রযুক্তিকে পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। ডেমোক্র্যাট সেনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল তার পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বলেন, আমরা যেরকম ভবিষ্যৎ চাই, এআই নির্ভর ভবিষ্যৎ যে সেরকমই হতে হবে, তা অপরিহার্য নয়। তিনি বলেন, আমাদের খারাপ দিকগুলোর চাইতে ভালো দিকগুলোকে আরও বাড়াতে হবে। কংগ্রেসের এখন বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই সাক্ষ্য থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে, তা হলো এই শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নতুন সংস্থা গঠনের বিষয়ে দুই পক্ষেরই সমর্থন রয়েছে। আইটি প্রতিবেদক

স্মার্টফোন ও প্রযুক্তির প্রভাব

স্মার্টফোন ও প্রযুক্তির প্রভাব

ক্যারিয়ার গড়তে ও দক্ষতার উন্নয়নে স্মার্টফোন ও অন্যান্য প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন ৬৯ শতাংশ বাংলাদেশী। শুধু তাই নয়, করোনা পরবর্তী বাস্তবতায়, নতুন কর্মপরিবেশে খুব দ্রুত খাপ খাওয়াতে অন্যতম সহায়ক ছিল স্মার্টফোন তথাপ্রযুক্তি। ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ২০২২ সালে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৮টি দেশে ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক জরিপ পরিচালনা করে টেলিনর এশিয়া। সম্প্রতি জরিপ থেকে এসব তথ্য ওঠে আসে। বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রায় ৮ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় ৫৭ শতাংশ বাংলাদেশী জানান, মোবাইল ডিভাইস ও প্রযুক্তির কারণে তাদের উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ বা তার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে; যেখানে ২৬ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি।

যাত্রা শুরু করল ফ্যানফেয়ার ও অপো

যাত্রা শুরু করল ফ্যানফেয়ার ও অপো

বাংলাদেশের প্রথম সোস্যাল কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্যানফেয়ার বাংলাদেশ। যেটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ইউজারদের প্রাধান্য দিয়ে সফলতার সঙ্গে কাজ করে আসছে। ফ্যানফেয়ার অ্যাপে ভালোমানের কন্টেন্ট চাইলেই ইউজাররা শেয়ার করতে পারেন, পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ধামাকা কন্টেস্টেও অংশগ্রহণ করেন এই অ্যাপের ইউজাররা। মানসম্মত ভিডিও শেয়ার করে ইউজাররা প্রতিনিয়ত জিতে নিচ্ছেন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার সঙ্গে সঙ্গে ইউজারদের ভিডিওতে তারা ব্র্যান্ড ফোকাশ করে ভিডিও শেয়ার করলেই থাকছে মনিটাইজেশনের সুবিধা।   ফ্যানফেয়ারের রয়েছে নিজস্ব শপ এফ মার্ট। ফ্যানফেয়ার এবং এফ মার্টকে কেন্দ্র করে ফ্যানফেয়ার ও অপোর মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অপো বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য একটি মোবাইল কোম্পানি। প্রতিনিয়ত অপোর নতুন নতুন আপডেটেড সব ফোন বাজারে আসছে যেটি সম্পর্কে গ্রাহকরা সবসময় জানতে চায়। সেসব বিষয়কে মাথায় রেখে ও অপোর প্রমোশনের জায়গাকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে অপো সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ফ্যানফেয়ারের সঙ্গে।  এখন থেকে ফ্যানফেয়ারের এফ মার্টে অপোর সকল মডেলের ফোনের ডিসপ্লে থাকবে যার ফলে যেকোনো মডেল ও ডিজাইন সম্পর্কিত সকল তথ্য খুব সহজেই জানতে পারবেন গ্রাহকরা। ফ্যানফেয়ারের বাংলাদেশ অফিসে অপো ও ফ্যানফেয়ারের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার সময় উপস্থিত ছিলেন ফ্যানফেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব হোসেন ও চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার শওকত সিদ্দীকি এবং অপোর হেড অফ সেলস হালিম প্যান ও বিটুবি ম্যানেজার রেজাউর রহমান। চুক্তির মাধ্যমে এই দুটি প্রতিষ্ঠান সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তারা। আইটি প্রতিবেদক

বাড়ছে আইটি সেক্টরের আয়

বাড়ছে আইটি সেক্টরের আয়

আইটি (ইনফরমেশন টেকনোলজি) শব্দটির সঙ্গে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। একইভাবে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজির সঙ্গে আমরা সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। আইটি সেক্টর কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা সীমাহীন। এজন্য দরকার উদ্যোগ ও সঠিক ধারণা। আমাদের অনেকের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা কাজ করে; যেমন- আইটি সেক্টরে অর্থ উপার্জন বলতে শুধু আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং বা ইউটিউবিং এগুলোই বুঝি। আবার অনেকে ধারণা করি, আইটি সেক্টরে অর্থ উপার্জন করতে সব ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। এক্ষেত্রে অনলাইনের বিভিন্ন রিসোর্স থেকে জ্ঞানার্জন করতে হবে।  দিন যত যাচ্ছে, আইটি খাতের পরিসরও বড় হচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটা হলো চাহিদা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কাজের সুযোগ পাচ্ছে না। এর কারণ হচ্ছে, কাজের দক্ষতা না থাকা। তাই এ পেশায় আসার আগে নিজেকে দক্ষ ও উপযুক্ত হিসেবে তৈরি করে নিতে হবে। শুধু একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, অনেক ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ হলেই ঘরে বসেও আয় করা যায়। আইটি সেক্টর ব্যবহার করে অনেক মাধ্যমে উপার্জন করা সম্ভব; যেমন- ডেটা এন্ট্রি, নিজের ওয়েবসাইট তৈরি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনুবাদ, ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউব, পিটিসি, ওয়েব ডিজাইন, অনলাইন টিউটর, গ্রাফিকস ডিজাইন প্রভৃতি। অনলাইনে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। এ ধরনের কাজ যে কেউ করতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে আয় খুব কম। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ থাকে। তবে দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা থাকতে হবে; সঙ্গে লাগবে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। তবে কাজের দক্ষতা বাড়লে দ্রুত আয় বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে অনলাইনেই ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এসব উপাদান ব্যবহার করে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। যেমন, ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। পাঠক বা দর্শক ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট চেক করবে। যখন গুগলের বিজ্ঞাপন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় আসতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণও তত বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে রাইডভিত্তিক অ্যাপ সহজ, ওভাই, পাঠাও প্রভৃতি বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে আয় করছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ¯œ্যাপচ্যাট এখন আর শুধু যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলো ব্যবহার করে আয়ও করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ড তাদের প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেয়। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা প্রকাশ করে ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ আসে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাদের ধরে রাখতে অনেক ধৈর্য ও সৃজনশীল হওয়া জরুরি। বেশকিছু ওয়েবসাইট আছে, যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করা যায়। ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে এক্ষেত্রে বেশি আয় করা যায়। যেমন স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জেনে এবং সেগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায়। অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারের কাজের সুযোগ দেয়। এসব কাজের জন্য দক্ষতা অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট খুলে আবেদন করতে হয়; একই সঙ্গে দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়। কাজদাতারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরাসরি ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ দেয়। এসব সাইটের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফাইভার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। তবে এসব সাইটে কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই পেমেন্ট পাওয়া যায়। এসব সাইট থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। লেখালেখির সখ অনেকেরই আছে। তবে এই সখের বিষয়টি কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করা সম্ভব। অনলাইনে এই লেখালেখির কাজকে ‘ব্লগিং’ বলা হয়। দুই উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে নিজের ব্লগ সাইট তৈরি। এক্ষেত্রে ব্লগ চালু করতে গেলে কিছু বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যটি ওয়ার্ডপ্রেস বা টাম্বলার প্লাটফর্মে বিনামূল্যে ব্লগ শুরু করা যায়। আবার চাইলে নিজে ডোমেইন হোস্টিং কিনে ব্লগ চালু করতে পারেন। তবে ব্লগিং করে রাতারাতি আয় আসবে না। এ জন্য প্রচুর সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন। অনেক সময় ব্লগ থেকে আয় করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট এবং তা সক্রিয় রাখতে হয়। ইউটিউব বিষয়টি অনেকটা ব্লগের মতোই। তবে এ ক্ষেত্রে কনটেন্ট হচ্ছে ভিডিও। যারা ব্লগ লিখে আয় করতে চান না, তাদের ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে ভিডিও থেকে আয় করতে ইউটিউব। এজন্য ভালো সম্পাদনা ও সৃজনশীল হতে হবে। নিজেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে তাতে ভিডিও আপলোড করতে হবে। চ্যানেল কোন ক্যাটাগরির এবং তাতে কোন ধরনের ভিডিও রাখা যাবে তা আগেই ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিডিও না দেখলে আয় হবে না। তাই যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সে বিষয়ে ভিডিও দিতে হবে। ভিডিও দেখার সময় ও চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়লে আয়ের সম্ভাবনাও বাড়ে। ইউটিউবে ভিডিও ভিউর হিসাবে গুগল থেকে অর্থ প্রেরণ করা হয়। শুধু বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেও অনলাইনে আয় করা যায়। এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে, যা থেকে এ আয় করা সম্ভব। এ ধরনের সাইটকে ‘পিটিসি’ সাইট বলে। এসব সাইটে আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে পিটিসি সাইটগুলো বেশিরভাগই ভুয়া হয়। এজন্য কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সাইটটি সঠিক কি না। বর্তমানে অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা বেশি। অনেক ব্যবসায়ী নিজেদের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। এক্ষেত্রে তাদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যারা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান, তারা ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও আপডেটের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। ফলে ওয়েব ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। কোনো কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। অনলাইন টিউটরদের দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনি করা যায়। কোনো বিষয়ে যদি পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া যায়। দেশের বাইরেও শিক্ষার্থীদের পড়ানো যায়। সুবিধামতো সময়ে পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে দক্ষতা বাড়ালে এ ক্ষেত্র থেকে অনেক আয় করার সুযোগ আছে। গ্রাফিকস ডিজাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায়। এ কাজে দক্ষরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোয় দিয়ে রাখেন। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজ বিক্রি করা যায়। সেখান থেকে তাদের আয় আসে। একটি ডিজাইন তৈরি করে অনেকবার বিক্রি করা যায়; অর্থাৎ একটি ভালো গ্রাফিকস ডিজাইন থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে।