ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

কত ভিউ এলে ইউটিউবে পাবেন গোল্ডেন বাটন? নতুন পলিসিতে জেনে নিন নিয়ম

প্রকাশিত: ২২:০৯, ১৮ জুলাই ২০২৫

কত ভিউ এলে ইউটিউবে পাবেন গোল্ডেন বাটন? নতুন পলিসিতে জেনে নিন নিয়ম

ছবিঃ সংগৃহীত

ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণার নাম ‘গোল্ডেন প্লে বাটন’। এটি ইউটিউব কর্তৃক প্রদত্ত একটি সম্মাননা, যা মূলত কনটেন্ট নির্মাতাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবেই বিবেচিত হয়। তবে অনেকেই জানেন না—শুধু ভিউ বা সাবস্ক্রাইবার বাড়ালেই এই পুরস্কার মেলে না, এর জন্য রয়েছে একাধিক শর্ত।

গোল্ডেন বাটন পেতে কী করতে হয়?

অনেক কনটেন্ট নির্মাতার কাছেই এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নেই। গোল্ডেন বাটন পেতে হলে ইউটিউব চ্যানেলে অন্তত ১০ লক্ষ (১ মিলিয়ন) সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। কিন্তু সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যাই শেষ কথা নয়—তাদের ‘রিয়েল’ হতে হবে। অর্থাৎ, কোনও প্রকার সাবস্ক্রাইবার বুস্টিং সার্ভিস, ভুয়া অ্যাকাউন্ট বা প্রতারণামূলক উপায়ে সংখ্যা বাড়ানো হলে, সেই চ্যানেল গোল্ডেন বাটনের জন্য বিবেচিত হবে না।

কীভাবে পর্যালোচনা করা হয়?

যখন কোনও চ্যানেল ১০ লক্ষ সাবস্ক্রাইবারে পৌঁছে যায়, তখন ইউটিউবের টিম সেই চ্যানেলটি ম্যানুয়ালি রিভিউ করে। দেখা হয়—সাম্প্রতিক সময়ে কোনও কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন হয়েছে কি না, কপিরাইট ক্লেম বা স্ট্রাইক আছে কি না, কিংবা চ্যানেলে স্প্যাম কনটেন্ট আপলোড হয়েছে কি না। এসব মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হলেই চ্যানেলটি পুরস্কারের উপযুক্ত বিবেচিত হয়।

রিওয়ার্ড কীভাবে পাওয়া যায়?

পর্যালোচনায় উত্তীর্ণ হলে ইউটিউব 'ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস ড্যাশবোর্ড'-এ একটি রিডেম্পশন কোড পাঠায়। এই কোড ব্যবহার করে চ্যানেল মালিক ইউটিউবের ওয়েবসাইট থেকে পুরস্কারটি অর্ডার করতে পারেন। ডেলিভারি ঠিকানা, চ্যানেলের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সেই চ্যানেলকে গোল্ডেন প্লে বাটন পাঠিয়ে দেয়।

বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা কবে?

ইউটিউব মনে করলে যে, কোনও চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার অনিয়মিত পদ্ধতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, বা চ্যানেলটি কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেছে—তাহলে সেই চ্যানেলকে পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করাও হয়। এমনকি পুরস্কার অর্ডার করার পরও এটি বাতিল হয়ে যেতে পারে, যদি ইউটিউব নতুন করে কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়।

অতএব, ইউটিউব থেকে গোল্ডেন প্লে বাটন পেতে হলে শুধু সাবস্ক্রাইবার বাড়ালেই চলবে না, সৃজনশীল, নির্ভরযোগ্য এবং ইউটিউব নীতিমালা-বান্ধব কনটেন্ট তৈরি করাও জরুরি।

ইমরান

×