
সংগৃহীত
সিলিকন ভ্যালির তিন টেক জায়ান্ট — মার্ক জুকারবার্গ, ইলন মাস্ক ও স্যাম অল্টম্যান — মনে করছেন, স্মার্টফোন এখন অতীত হতে চলেছে। তারা এমন এক ভবিষ্যতের কথা বলছেন, যেখানে মানুষ কোনো স্ক্রিন বা ফোন ছাড়াই যোগাযোগ, তথ্য অনুসন্ধান ও কাজ করতে পারবে।
মার্ক জুকারবার্গ মেটার মাধ্যমে মানুষের চোখে পরিধানযোগ্য ‘এআর চশমা’র ধারণা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে বাস্তবতার সঙ্গে ভার্চুয়াল তথ্য মিলিয়ে কাজ করা যাবে, যেমন—মেসেজ দেখা, গুগল করা বা ভিডিও কল।
ইলন মাস্কের ‘নিউরোলিংক’ প্রকল্প আরও এক ধাপ এগিয়ে। তিনি চান মানুষ সরাসরি মস্তিষ্ক দিয়ে যন্ত্র চালাতে পারুক—ভাবলেই যেন কমান্ড চলে যায়, টাইপ বা ক্লিকের দরকার নেই।
স্যাম অল্টম্যান, যিনি OpenAI-এর প্রধান, AI-বিষয়ক এমন এক ডিভাইস তৈরিতে কাজ করছেন যা মানুষের প্রম্পট বোঝে এবং নিজে থেকেই সাড়া দেয়। এটির কোনও স্ক্রিনও নেই। এটি এমন এক 'ডিজিটাল পার্সোনা', যেটি আপনার মতো করে চিন্তা করে।
অ্যাপলের সিইও টিম কুক এখনও মনে করেন, স্মার্টফোন পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার মতো পর্যায়ে আসেনি।তিনি বলেন, iPhone এখনও কোটি কোটি মানুষের ভরসার মাধ্যম এবং তারা স্মার্টফোনকে আরও উন্নত করে তোলার পরিকল্পনা করছেন।
তবে অ্যাপলও পুরোপুরি থেমে নেই—তারা Vision Pro নামে একটি AR হেডসেট এনেছে, যা স্মার্টফোনের বিকল্প না হলেও পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে।
এই নেতারা বিশ্বাস করেন যে:
- ভবিষ্যতের ডিভাইস হবে স্ক্রিনবিহীন এবং “অদৃশ্য”।
- প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের সংযোগ হবে আরও প্রাকৃতিক, মস্তিষ্ক বা কণ্ঠের মাধ্যমে।
- যন্ত্র শিখবে ব্যবহারকারীর অভ্যাস, ভাষা ও চিন্তা।
তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়ে যায়
- এই ডিভাইসগুলো মানুষের গোপনীয়তা কিভাবে রক্ষা করবে?
- সবার পক্ষে এই প্রযুক্তি সহজলভ্য হবে তো?
- প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আমাদের কীভাবে প্রভাবিত করবে?
টেক দুনিয়ার এই বড় তিন নেতার বিশ্বাস—আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করছি যেখানে মোবাইল ফোন আর 'প্রধান' নয়, বরং AI ও AR-ভিত্তিক ডিভাইস হবে ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি।
তবে এই পরিবর্তন রাতারাতি হবে না। প্রযুক্তির এই অভিযাত্রায় এখনও বহু প্রশ্ন রয়ে গেছে।
হ্যাপী