ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

ক্লান্তি নয়, বিপদের বার্তা! নারীদের ফ্যাটি লিভারের যে নিঃশব্দ উপসর্গ

প্রকাশিত: ০১:৪১, ১৯ জুলাই ২০২৫

ক্লান্তি নয়, বিপদের বার্তা! নারীদের ফ্যাটি লিভারের যে নিঃশব্দ উপসর্গ

ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাটি লিভার বা চর্বিযুক্ত লিভার একটি নীরব ঘাতক। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এর উপসর্গগুলো এতটাই সূক্ষ্ম যে এগুলোকে আমরা প্রায়ই মানসিক চাপ, হরমোনাল পরিবর্তন বা বয়সের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এগুলো উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে তা বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

চলুন জেনে নিই এমন ৭টি লক্ষণ যা অনেক নারীই গুরুত্ব দেন না—

১. সবসময় ক্লান্তিভাব:
সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্তি স্বাভাবিক। কিন্তু যদি বিশ্রামের পরও শরীরে এক ধরনের অবসন্নতা থাকে, তাহলে তা লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।

২. পেটের ডান দিকে ভারী অনুভূতি বা ফুলে থাকা:
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমলে তা বড় হয়ে আশেপাশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে চাপ ফেলে, ফলে পেটের ডান দিকে ভার বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

৩. ওজন কমাতে সমস্যা বা হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া:
সঠিক খাওয়াদাওয়া ও ব্যায়াম করেও যদি ওজন না কমে বরং পেটে মেদ জমে, তাহলে ফ্যাটি লিভার তার পেছনে কারণ হতে পারে।

৪. হালকা বমি ভাব বা হজমের সমস্যা:
বিশেষ করে তৈলাক্ত খাবারের পর যদি বারবার হালকা বমিভাব, অস্বস্তি বা বদহজম হয়, তাহলে তা লিভারের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

৫. গলায় বা বগলের পাশে গাঢ় দাগ পড়া:
এটি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের লক্ষণ, যা ফ্যাটি লিভারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। বিশেষ করে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) আক্রান্ত নারীদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়।

৬. মস্তিষ্কে ঝিমধরা বা মনোযোগের ঘাটতি:
ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীরে টক্সিন জমে গিয়ে মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে মনে হয় যেন মাথা কাজ করছে না, মনোযোগ নেই।

৭. মাসিক অনিয়ম ও হরমোনের সমস্যা:
লিভার শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। কাজেই ফ্যাটি লিভারের কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড, অতিরিক্ত ব্যথা বা বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

কেন উপসর্গগুলো নজর এড়ায়?
কারণ এগুলো খুবই সাধারণ ও ধীরে ধীরে ঘটে। আবার অনেকে মনে করেন যেহেতু তারা মদ্যপান করেন না বা মোটা নন, তাই লিভারে সমস্যা হওয়ার কথা না। অথচ হরমোনজনিত সমস্যা, খাবারের অভ্যাস বা জীবনযাপনই ফ্যাটি লিভারের পেছনে প্রধান কারণ।

প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য। সঠিক ডায়েট, ব্যায়াম এবং স্ট্রেস কমিয়ে জীবনযাপন করলে লিভার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

আঁখি

×