ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য বিভাগের সব খবর

রোবেদ আমিনের পরিবর্তন স্বাস্থ্যের নতুন ডিজি নাজমুল হোসেন

রোবেদ আমিনের পরিবর্তন স্বাস্থ্যের নতুন ডিজি নাজমুল হোসেন

চিকিৎসকদের এক পক্ষের বিরোধিতার মুখে অবশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনের জায়গায় স্বাস্থ্যের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়, গত বুধবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপ-সচিব দূর-রে শাহওয়াজের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের এ কর্মকর্তাকে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এটি জারি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট ডা. রোবেদ আমিনকে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয় অন্তবর্তী সরকার। তবে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের একাংশের বাঁধার মুখে তিনি অফিসে ঢুকতে পারেননি। যদিও নিয়মিতই তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেখা যায়।

হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। শুধু ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে অর্ধশত রোগী। তাদেরকে দেখতে হাসপাতালটি পরিদর্শনে যান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেলে যান৷ এসময় রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন তিনি। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে, হাসপাতালটির ডেঙ্গু ইউনিটের (পুরুষ) নার্সিং ইনচার্জ নাজনিন নাহার জানান, জুলাই মাসের ১৫ তারিখে নতুন করে ডেঙ্গু ইউনিট চালু করা হয় নতুন ভবনের ৪র্থ তলায়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত ৪২৮ জন ভর্তি থেকে চিকিৎসক নিয়েছেন। তবে এখানে শুধু পুরুষ রোগী। ডেঙ্গু ইউনিটে (পুরুষ) এখন ভর্তি রয়েছে ৩৮ জন। মারা গেছেন ১ জন। নারী রোগীরা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ ৮০২ ওয়ার্ড ৬ জন ও ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন নারী রোগী ভর্তি রয়েছেন। তিনি আরও জানান, গত ৩ সপ্তাহ ধরে আক্রান্তের হার বাড়ছে৷ আর সবচেয়ে বেশী রোগী আসছে কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, মিরপুর, না গঞ্জ ও সাভার এলাকা থেকে।

বর্ষায় স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সতর্কতা

বর্ষায় স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সতর্কতা

গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহের পর প্রকৃতিতে শান্তির বার্তা নিয়ে আসে বর্ষাকাল। বছরের এই সময় প্রকৃতিতে চলে রোদ-বৃষ্টির খেলা। ফলে আবহাওয়ায় যে তারতম্য ঘটে তার সাথে শরীরকে প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বেগ পেতে হয়। বর্ষায় পথ-ঘাট থাকে কর্দমাক্ত, বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানিতে হয় মশার বসতি, ময়লা পানিতে সয়লাব থাকে চারদিক। সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদি সাধারণ রোগের পাশাপাশি প্রতিবছর ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ে এসময়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, বর্ষাকালে আবহাওয়া স্যাঁতস্যাঁতে থাকায় কিছু রোগের প্রাদূর্ভাব বেড়ে যায়। তবে, একটু সচেতন থাকলে এসব রোগ থেকে নিজেকে ও পরিবারের অন্যদেরকে রক্ষা করা সম্ভব। বর্ষায় সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি দেখে মন ভরে গেলেও বাড়ির ছাদের কার্ণিশে জমে থাকা পানিতে বা ফেলে রাখা গাড়ির টায়ারে জমা পানিতে ডিম পারে এডিস মশা বা ডেঙ্গু মশা। বিশেষ করে, গতবছর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় এবং মারা যায় এক হাজার ৭০৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৪ সালে জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৯৩ জন এবং মারা গিয়েছে ১৫ জন। তাই এ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে নিজেকে ও পরিবারের অন্যদের বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বর্ষাকালে প্রায়শই দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করে। এসময় পানিবাহিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায়। এসব রোগ দূষিত পানি ও জীবাণুযুক্ত খাবার থেকে ছড়াতে পারে। কলেরা, ডায়ারিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, টাইফয়েড জ্বর ইত্যাদি বর্ষা মৌসুমেই বেশি দেখা দেয়। তাই পুরানো বাসি খাবার এবং স্ট্রিট ফুড (যেমন- চটপটি, ফুচকা, ভেলপুরি ইত্যাদি) পরিহার করা উচিত ও সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা উচিত। অন্যদিকে, প্রচন্ড জ্বর ও জ্বরের সাথে মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, খুসখুসে কাশি, দূর্বলতা, বমি ভাব ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে সেটি ভাইরাস জ্বর হিসেবে ধরে নিতে হবে, যা বর্ষায় প্রায় সব বয়সী মানুষেরই হয়ে থাকে। এ জ্বরে শরীর এতই দূর্বল হয় যে দাঁড়িয়ে থাকাও কষ্টকর মনে হয়। এ জ্বর অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং বাড়ির একজনের হলে অন্য সদস্যদেরও তা হতে পারে। বিশেষ করে, ছোট শিশুদের ভাইরাস জ্বর বেশি হয়। এসময় স্যালাইন ও পানি জাতীয় খাবার ইত্যাদি বেশি করে খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। বর্ষাকালে শিশু ও বয়স্কদের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে। বেশিরভাগ শিশুরাই এসময় সর্দি জ্বরে ভোগে। সমস্যা জটিল হলে হতে পারে নিউমোনিয়াও। এছাড়া, প্রয়োজন ব্যতীত শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়ি থেকে বের হতে না দেওয়াই ভালো। কেননা বর্তমানে বৃষ্টির সাথে ঝড় ও বজ্রপাতের প্রকোপও বাড়ছে। বর্ষাকালীন রোগবালাই থেকে সুস্থ থাকার সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান হলো সচেতনতা ও সতর্কতা। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে বাড়ির বাইরে গেলে ছাতা সাথে রাখা উচিৎ। বর্ষাকালে সর্দি কাশি বা জ্বর বেশি হয়। সাধারণত সর্দি কাশি বা ভাইরাস জ্বর দুই-এক দিনের মধ্যে ভালো হয়। তবে জ্বর বেশিদিন স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া, বর্ষায় চর্মরোগের প্রকোপও দেখা দেয়। এর থেকে বাঁচতে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, বিশেষ করে হাত-পায়ের নখ পরিষ্কার রাখা জরুরি। যাদের অ্যাজমা বা সাইনাসের সমস্যা আছে, তাদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শরীর ভেজা রাখা যাবে না। স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে থাকা যাবে না, আলো বাতাস আছে এমন ঘরে থাকতে হবে। এসময় শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ঠান্ডায় শিশুদের টনসিলের ব্যথা এমনকি নিউমোনিয়াও হতে পারে। শিশুদের ডায়রিয়া হলে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বর্ষাকালে বাড়িতে খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সবসময় হাতের নাগালেই রাখুন। ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ফুলের টবে জমা পানি, পরিত্যাক্ত টায়ারে জমা পানি, ছাদের কার্নিশে জমা পানি ফেলে দিয়ে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এছাড়া দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করুন। এছাড়া বর্ষায় সাপ, পোকামাকড়, জোঁকের উপদ্রব বেশি হয়। সেকারনে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অসুস্থ হলে নিজের বুঝ মতো বা অন্যদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ না খেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। নিজে সুস্থ থাকতে ও পরিবারকে সুস্থ্য রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। লেখকঃ ডা: কে এফ এম আয়াজ সিনিয়র কনসালটেন্ট ইন্টারনাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা

বার্ধক্য বিলম্বের ওষুধ

বার্ধক্য বিলম্বের ওষুধ

‘টাইপ-২’ ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন একটি ওষুধ, যেটি বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ধীর কিংবা বিলম্ব করতে পারে বলে জানান গবেষকরা। ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক হারলান ক্রুমহোলজ বেশ কয়েকটি নতুন গবেষণা প্রকাশের পর বলেছেন যে, ‘সেমাগ্লুটাইড’ যা ‘ওজেম্পিক’ নামে বেশি পরিচিত; এটি ব্যবহারে সুদূরপ্রসারী সুবিধা রয়েছে। ‘সেমাগ্লুটাইড’ ইনজেকশন ইনক্রিটিন মাইমেটিক্স নামক ওষুধের একটি শ্রেণিতে রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে অগ্ন্যাশয়কে সঠিক পরিমাণে ইনসুলিন মুক্ত করতে সাহায্য করে। ইনসুলিন রক্ত থেকে চিনিকে শরীরের অন্যান্য টিস্যুতে সরাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যেখানে এটি শক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়।