ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য বিভাগের সব খবর

স্ট্রেচমার্ক নারী ও পুরুষের সাধারণ সমস্যা

স্ট্রেচমার্ক নারী ও পুরুষের সাধারণ সমস্যা

গর্ভকালীন সময়ে অনেক হবু মায়েরই ত্বকে স্ট্রেচমার্ক দেখা দেয়। সন্তান ধারণের ফলে ত্বকে এক ধরনের সাদাটে দাগ দেখা দেয়। দেখতে খারাপ লাগা ছাড়া এই দাগের কোনো পার্শ¦প্রতিক্রিয়া নেই। স্ট্রেচমার্ক শুধু তলপেটেই দেখা দেয় এমনটা নয়। পেট, থাই, বুক, লোয়ার ব্যাক-অর্থাৎ শরীরের যে যে অংশে বেশি ফ্যাট জমা থাকে সেখানেই স্ট্রেচমার্ক দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু মেয়েদের নয় পুরুষদেরও স্ট্রেচমার্ক হতে পারে। তা কেন হয় এই সমস্যা মূলত বাড়তি ওজনের কারণে হয়। শরীরের আয়তন বেড়ে গেলে ত্বক বাড়তি আয়তন ঢাকতে প্রসারিত হয়। ফলে এই দাগের সৃষ্টি হয়। আমাদের ত্বকের মধ্যে যে একটা টান টান ভাব থাকে তা কোলাজেন নামে এক তন্তু বা ফাইবারের কল্যাণে। এই কোলাজেন তন্তু ঠিকমতো তৈরি হতে না পারলে বা ভেঙে গেলে এই ধরনের দাগ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আদতে ত্বকের অন্তঃস্তর দুর্বল হয়ে যায় ও ফেটে ফেটে যায়। চামড়ায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ক্রিম লাগালে বা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির গোলমালের কারণেও অতিরিক্ত স্টেরয়েড বেরলে কোলাজেন তন্তুর সমস্যা হয়।

ন্যাচারাল বাইপাস চিকিৎসা কি ও কেন

ন্যাচারাল বাইপাস চিকিৎসা কি ও কেন

নেচারাল বাইপাস বিজ্ঞানভিত্তিক এক চিকিৎসা পদ্ধতি। যা হৃদরোগ চিকিৎসায় অত্যাধুনিক ও প্রায় শতভাগ সফল কার্যকর পদ্ধতি। কম্পিউটারাইজড স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে ন্যূনতম ৩৫টি সেশনে চিকিৎসা নিলে হৃৎপি-ের অব্যবহৃত সুপ্ত রক্তনালিগুলো সচল হয়ে ওঠে এবং হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। এ মেশিনটির নাম ইইসিপি (ঊঊঈচ) মেশিন। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিলে কোনো কাটা-ছেঁড়া ছাড়াই হৃদরোগজনিত বুকব্যথার উপশম হয়। কারণ হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির ব্লকের বাইপাস করা হয়। ন্যাচারেল বাইপাসে ব্লক কিংবা হার্টএটাকজনিত হৃদরোগ চিকিৎসায় বাইপাস অপারেশন কিংবা স্টেন্টিং প্রয়োজন হয় না।   যেভাবে নেচারাল বাইপাস করা হয় : ইইসিপি (EECP)  মেশিনে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে মোট ৩০ থেকে ৫০ ঘণ্টা চিকিৎসা নিলে রক্তনালির দেয়ালে রক্ত প্রবাহজনিত তীব্র চাপে প্রদাহ রোধের কার্যকারিতা (Anti Inflammatory Effect) বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্ত প্রবাহজনিত যান্ত্রিকতা নিজেই প্রদাহ রোধক (Anti Inflammatory)। অধিকতর রক্তপ্রবাহ ব্যায়ামের মাধ্যমেই হোক বা ইসিপি মেশিনের মাধ্যমেই হোক, রক্তনালিগুলোকে স্বাভাবিকভাবে প্রতিরক্ষা দেয় এবং প্রদাহকে প্রতিরোধ করে, যা কি না হৃদরোগের অন্যতম কারণ। ইসিপি মেশিন রক্তনালীর প্রসারণ ও সংকোচন (Vascular Reactivity) ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। রক্তনালীর ভেতরের আবরণের কোষ-ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এর ফলে নাইট্রিক অক্সাইড এবং এন্ডোথেলিন এ দুটি উপাদান রক্তনালির ভেতরের আবরণের কোষগুলো অনেকখানি সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। নাইট্রিক অক্সাইড :  নাইট্রিক অক্সাইডকে রক্তনালিকে Endothelial Derived Relaxing Factor বা EDRF ও বলা হয়। রক্তনালির ভেতরের আবরণকে শক্তিশালী করে, যার ফলে রক্তনালির ভেতরের আবরণে রক্তজমাট বাধা, রক্তনালির ফাটল- (Cracking), রক্তনালির সাময়িক সংকোচন (ঝঢ়ধংস) ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। ফলে রক্তনালি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে এবং অসুস্থ হয় না। উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, অতিরিক্ত চর্বি, বহুমূত্র রোগ, হার্ট ফেইলিউর, এথারো-স্ক্লেরোসিস, বার্ধক্য, রক্তনালির আঘাত ইত্যাদিসহ নানা অবস্থা রক্তনালির ভেতরের আবরণের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে এবং নাইট্রিক অক্সইডের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যে কোনো কিছু দ্বারা নাইট্রিক অক্সাইড মাত্রা বৃদ্ধি করা গেলেই এঞ্জিনা জাতীয় হৃদরোগে দীর্ঘ মেয়াদি উপকার পাওয়া যায় এবং সমস্ত শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।  এন্ডোথেলিন : এন্ডোথেলিন রক্তনালিকে সংকোচিত করে। হৃৎপি-কে বাধার বিপরীতে কাজ করানোর চেষ্টা করে। ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ইহা শরীর থেকে দুটি হরমোন- Aldosteron Ges Atriol Natriuretic Peptide মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা শরীর থেকে লবণ ও পানি নিঃসরণে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে শরীরে লবণ ও পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাতে রক্তচাপ বৃদ্ধি ও কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর স্থায়ী হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ঊহফড়ঃযবষরহ উৎপাদন হ্রাসকরণে দীর্ঘায়ু লাভ করে।