ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

রাতের খাবারেই মিলবে ঘুমের ওষুধ! জানুন কী খাবেন প্রতিদিন

প্রকাশিত: ০১:৫৩, ৫ জুলাই ২০২৫

রাতের খাবারেই মিলবে ঘুমের ওষুধ! জানুন কী খাবেন প্রতিদিন

সংগৃহীত

দিনের শেষ খাবার রাতের খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, এটি ঘুম, হজম, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে। অনেকেই মনে করেন রাতের খাবার যত ভারী হবে, ততক্ষণ পেট ভরা থাকবে। বাস্তবতা হলো, ভারী ও অনিয়মিত রাতের খাবারই পরের দিনের ক্লান্তি, ঘুমহীনতা এবং হজম সমস্যার অন্যতম কারণ।

সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য গবেষণা এবং পুষ্টিবিদদের অভিমত অনুযায়ী, রাতের খাবারে হালকা ও সহজপাচ্য খাবারই শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী। এটি যেমন হজমে সহায়তা করে, তেমনি শরীরকে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করে, এবং ঘুমও হয় গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন।

কী খাবেন, কী খাবেন না

  • রাতের খাবারে এড়িয়ে চলতে হবে
    • অতিরিক্ত লবণ, মসলা ও তেল
    • লাল মাংস ও ভাজাপোড়া খাবার
    • গাঢ় চা, কফি বা কোমল পানীয়
    • প্রসেসড ফুড এবং প্যাকেটজাত খাবার
  • রাতের খাবারে যা রাখলে ভালো
    • – পরিমাণমতো ভাত বা রুটি
    • – ডাল, স্যুপ, বা হালকা ঝোলের মাছ
    • – সিদ্ধ ডিম, সবজি, শাক
    • – টক দই বা কলা (হজমে সহায়ক)
    • – খাবার পর ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি

সময় ও ব্যবধান

  • রাতের খাবার এবং ঘুমের মাঝে অন্তত ২ ঘণ্টা বিরতি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বুকজ্বালা ও গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।

প্রস্তাবিত দৈনিক রুটিন

  • ৭:০০ PM – হালকা ভাত/রুটি, ডাল, সবজি, মাছ বা ডিম
  • ৭:৩০ PM – ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি
  • ৮:৪৫ PM – কলা বা টক দই (ঐচ্ছিক)
  • ৯:৩০ PM – ঘুমের প্রস্তুতি

বৈচিত্র্যপূর্ণ সাপ্তাহিক রুটিন

  • শনিবার: ওটমিল বা রুটি, গ্রিলড চিকেন, সালাদ, ফল
  • রবিবার: ভাত, ডাল, সিদ্ধ সবজি, গ্রিলড মাছ
  • সোমবার: রুটি, ডিমের ঝুরি, সালাদ
  • মঙ্গলবার: চিড়া বা ওটস, ছোলা, দই, কলা
  • বুধবার: ভাত, কুমড়ো/পেঁপে, মাছের ঝোল
  • বৃহস্পতিবার: সুজি, সিদ্ধ ডিম, শাক
  • শুক্রবার: হালকা খিচুড়ি, সবজি ভাজি, দই

কেন গুরুত্বপূর্ণ এই রুটিন?

  • এই নিয়মিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য পরিকল্পনা শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতে সহায়তা করে, ঘুমের গুণমান উন্নত করে এবং পেটের সমস্যাগুলো কমিয়ে আনে। শুধু তাই নয়, এটি মানসিক প্রশান্তিও বাড়ায়।

রাতের খাবারকে যদি গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা করা যায়, তবে তা হতে পারে সুস্থতার একটি চাবিকাঠি। শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় রাখতে দিনে যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, রাতের খাবারে সামান্য সচেতনতাই বদলে দিতে পারে পরবর্তী সকালের অনুভূতি।

পরামর্শ: রাতে খাবার নির্বাচনে হালকা, কম লবণযুক্ত, কম তেলযুক্ত ও প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান বেছে নেওয়াই দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতার সেরা চর্চা।

হ্যাপী

×