ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র ফাঁস! হাইয়োম প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে

প্রকাশিত: ২১:১১, ৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:১৫, ৪ জুলাই ২০২৫

ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র ফাঁস! হাইয়োম প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এবার ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে উপসাগরীয় মুসলিম দেশ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলের প্রভাবশালী দৈনিক ইসরায়েল হাইয়োম দাবি করেছে, তেহরানের বিরুদ্ধে চলমান সংঘাতে গোপনে সহায়তা করেছে সৌদি আরব।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ দিনের টানা সংঘাতে প্রকাশ্যে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার কথা বললেও, বাস্তবে ইরানের ছোড়া ড্রোন ঠেকাতে ইসরায়েলকে হেলিকপ্টার সহায়তা দিয়েছে রিয়াদ। এমনকি জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করে ড্রোন প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে এই দেশগুলো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংঘাত চলাকালীন সময়ে সৌদি হেলিকপ্টারের সক্রিয় উপস্থিতি ইরানি হামলা প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখে। অথচ সংঘাতের শুরুতে রিয়াদ দাবি করেছিল, তারা তাদের আকাশসীমা ইসরায়েলকে ব্যবহার করতে দেবে না এবং কোনো উস্কানি ছাড়া ইরানে চালানো হামলার নিন্দা জানায়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, সৌদির মুখে প্রতিবাদ আর পেছনে সহযোগিতা—এটাই কি মুসলিম ভ্রাতৃত্ব?

শুধু সৌদি আরব নয়, জর্ডান ও ইরাকের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ছোড়া ইরানি ড্রোনগুলো মাঝপথে প্রতিহত করা হয়েছে এই দেশগুলোর আকাশসীমায়—এমনটাই দাবি করছে ইসরায়েল হাইয়োম।

অপরদিকে গাজায় ২১ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৭ হাজার ১৩০ জন ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার। এই মহা মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও মুসলিম বিশ্ব, বিশেষ করে সৌদি আরব, দৃশ্যমান কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। কূটনৈতিক বিবৃতি ও নীরবতার আড়ালে পুরো মুসলিম বিশ্বকে দেখা যাচ্ছে নিষ্ক্রিয়। সেখানে একমাত্র ইরানই সরাসরি বর্বর ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

আর সেই ইরানকেই দুর্বল করতে সৌদিসহ প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলো গোপনে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে—এমন গুরুতর অভিযোগে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সৌদি আরব এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী দেশগুলোর এমন ভূমিকা কেবল ফিলিস্তিন নয়, সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য হতাশাজনক ও আত্মঘাতী।

ইমরান

×