ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

গাজায় খাদ্যের জন্য লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের মাথায় গুলি

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ৪ জুলাই ২০২৫

গাজায় খাদ্যের জন্য লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের মাথায় গুলি

ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’ (MSF)-এর এক কর্মী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসে সংঘটিত গণহত্যার হৃদয়বিদারক বিবরণ তুলে ধরেছেন। ওই কর্মী নিজেও হামলা থেকে কোনোভাবে বেঁচে গেছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তার নাম গোপন রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, “পাঁচটি ট্রাক ছিল, মানুষজন আসছিল যেটুকু পারত নিচ্ছিল। হঠাৎ করে ইসরায়েলি ট্যাংক এগোতে থাকে, চারপাশে অনেক স্নাইপারও ছিল। হঠাৎ চারদিকে গুলি শুরু হয়ে যায়। যেই একজন ময়দার ব্যাগ তুলেছিল, তাকে মাথায় গুলি করা হয়। রক্তে ভেজা সেই ময়দার ব্যাগগুলো পড়ে ছিল মাটিতে।”

তিনি আরও বলেন, “চারপাশে ছিল মৃতদেহ। পরে একটি কোয়াডকপ্টার আমাদের কাছে আসে, আমরা তখন একটি বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে লুকিয়ে ছিলাম। কোয়াডকপ্টার থেকে বলা হয়, ‘তোমরা ময়দা নিতে পারবে না। হাত তুলে বেরিয়ে আসো। মৃত বা আহতদের কেউ তুলবে না। হাঁটো।’ আমরা তখনো ট্যাংকের গর্জন শুনতে পাচ্ছিলাম। তরুণ ছেলেগুলো ময়দার জন্য জীবন দিচ্ছিল।”

এমএসএফ-এর গাজা জরুরি সমন্বয়কারী আইতোর জাবালগোগেজকোয়া বলেন, “গাজায় খাদ্যপ্রাপ্তির জন্য মানুষের যে মরিয়া অবস্থা, তা কল্পনাতীত। আর মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর চলাচল ও ত্রাণ সরবরাহ ইসরায়েল কঠোরভাবে সীমিত করে রেখেছে। তারা খাদ্য বিতরণের জন্য যে সামরিকীকৃত পদ্ধতি চালু করেছে তা অত্যন্ত অবমাননাকর ও প্রাণঘাতী।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিদের পরিকল্পিতভাবে এবং পদ্ধতিগতভাবে অনাহারে রাখা হচ্ছে। এই নিষ্ঠুরতা আর চলতে দেওয়া যায় না। এখনই এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।”

Jahan

×