
ছবি: সংগৃহীত।
টানা ১২ দিনের ইরান-ইসরাইল সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও থেমে নেই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁসের ধারা। এবার ইসরায়েলি প্রভাবশালী দৈনিক ইসরাইল হাইয়োম দাবি করেছে—সংঘাত চলাকালীন সময়ে মুসলিম দেশ সৌদি আরব গোপনে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকাশ্যে ইরানের পাশে থাকার ভান করলেও বাস্তবে সৌদি আরব ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে ড্রোন প্রতিহত করতে হেলিকপ্টার সহায়তা দিয়েছে। এই অভিযান চালানো হয়েছে জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করে। ফলে এই দুই দেশকেও গোপন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
একদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা জোটের সহায়তা—অন্যদিকে সৌদি, জর্ডান ও ইরাকের নীরব ভূমিকা—সব মিলিয়ে ইরান একাই এই সংঘাতে লড়েছে। ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও আকাশসীমায় বাধার কারণে সেসব অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে।
সৌদি আরব এর আগে প্রকাশ্যে জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না এবং ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছিল। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে—প্রকাশ্যে প্রতিবাদ, ভেতরে সহযোগিতা।
এদিকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইতোমধ্যে ৫৭,১৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের নিরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মুসলিম ভ্রাতৃত্বের নামে প্রতারণা নাকি রাজনৈতিক কৌশল?—এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা মুসলিম বিশ্বজুড়ে। যদিও এখন পর্যন্ত সৌদি আরব বা সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
নুসরাত