ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

ফল হিসাবে করমচা অবহেলিত হলেও পুষ্টিগুণ অবহেলার নয় 

সোহেল রানা, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পাবনা সদর, পাবনা

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ৪ জুলাই ২০২৫

ফল হিসাবে করমচা অবহেলিত হলেও পুষ্টিগুণ অবহেলার নয় 

বয়স বৃদ্ধির সাথে মানুষের শরীরে নানা ধরণের অসুখ বাসা বাঁধে।  বয়সের মধ্যে ভাগ ও শেষ ভাগে বড় একটি অর্থ চিকিৎসায় ব্যয় করতে হয়। যা মধ্যে বিত্ত বা দিনমজুর মানুষের জন্য অনেক কষ্টকর।  করমচা খেলে হৃদরোগ, চুলকানি, চোখের সমস্যা সমাধানসহ নানা ধরণের উপকার পাওয়া। করমচা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে পাবনার অন্যতম মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন (অব:) ডাক্তার সরওয়ার জাহান ফয়েজ এক আলাপকালে বলেন, করমচা ফল আমাদের দেশের মানুষ অবহেলা করে। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর করমচা ফল। 

তিনি বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় থাকে - ০.৫ প্রোটিন, ভিটামিন এ- ৪০, আয়রন-১.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম এনার্জি-৬০ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট-১৪ গ্রাম, রিবোফ্লাভিন -০.১ মিলিগ্রাম,  পটাশিয়াম -২৬০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম- ১৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন- ০.২ মিলিগ্রাম,কপার -  ০.২ মিলিগ্রাম যার ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

নিম্নবর্ণিত রোগের জন্য করমচা ফল খাওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন যেমন: স্কার্ভি, দাঁত ও মাড়ির নানান রোগ প্রতিরোধ করে, রক্ত  সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়৷ ভিটামিন বি করমচাতে উপস্থিত থাকায় চুলকানিসহ ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। করমচাতে কোলেস্টেরল না থাকায় ডায়বেটিস এবং হার্টের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি। মৌসুমি সর্দি, কাশি, জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷ ভিটামিন সি থাকার ফলে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায়। কৃমিনাশক ও পেটের নানান অসুখ থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভব।  শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ থেকেও রক্ষা করে এবং ওজন কমাতে গুরুত্ব ভূমিকা রাখে। ভিটামিন এ- প্রচুর পরিমাণ থাকায় চোখের উপকারে আসে শরীরে ক্লান্তি দূর হয় বার বার হাই তোলা থেকে মুক্তি লাভ করা সহজ হয়। করমচার পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি খেলে কালাজ্বর নিরাময় হয়৷ 

করমচা একটি টক জাতীয় ফল। করমচা এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে বেশি পাওয়া যায়৷ ফলটি পাকলে লাল রং ও কাঁচা থাকলে সবুজ রং হয়। ফলটি প্রচুর টক হলেও খাওয়া যায়। বর্তমান করমচা ফলটি বিলুপ্তির পথে।

Jahan

×