
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ যুব সংঘ (Sadar South Youth Club)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও নৈশভোজ অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার যশপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মাসুমের পিতা শাহীন মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব ও সদর দক্ষিণ যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান, ইসলামি আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক মজুমদার, মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “এক সময় ছিল যখন কে কী বলবে, কী ওয়াজ-নসিহত হবে, সবকিছুই ফ্যাসিস্ট শক্তির ছায়ায় নির্ধারিত হতো। সেই নিপীড়নের সময় থেকে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছেন শহীদ ও আহত সহযোদ্ধারা। তাদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয়।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু একটি সরকারের পতনের আন্দোলন ছিল না; এটি ছিল একটি স্বপ্ন দেখার সংগ্রাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা এখনো সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেখছি না— রাজনৈতিক বিভাজন ও সমাজে অব্যাহত সুবিধাবাদীদের কারণে। শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে, যারা ফ্যাসিবাদের অংশীদার ছিল, আজ তারাই পুনর্বাসিত হচ্ছে।”
রাশেদুল হাসান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সদর দক্ষিণ যুব সংঘ একটি আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে যুবকদের নৈতিকভাবে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকবে এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে আবেগঘন পরিবেশে শহীদ মাসুমের পিতা শাহীন মিয়া কান্নাভেজা কণ্ঠে শহীদ ও আহতদের জন্য বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানান। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন যশপুর মাদ্রাসার সম্মানিত ইমাম, যিনি কারবালার ত্যাগ ও শহীদদের আত্মাহুতির প্রসঙ্গ টেনে এনে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় মোনাজাত করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের অন্যতম সংগঠক মোঃ শরিফুল ইসলাম রাকিব এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সদস্য কামরুল হাসান। কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার আবহে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে নৈশভোজের মাধ্যমে।
আসিফ