ছবি: সংগৃহীত
ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে সৌদি আরবের শক্তিশালী ক্লাব আল-হিলালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। এই জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ চারে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করেছে তারা। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এলেও ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে জয়রথ ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো আল হিলাল।
ম্যাচ শুরুর আগে ফ্লোরিডার মাঠে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাকে শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এই সময় আল হিলালের দুই পর্তুগিজ তারকা রুবেন নেভেস ও জোয়াও কানসেলোর চোখে জল দেখা যায়, যা অন্যদেরও ছুঁয়ে যায়। কান্না ও আবেগ আড়াল করেই সেমিফাইনালের লড়াই শুরু হয়।
মাঠের লড়াইয়ে বল দখল ও আক্রমণে আল হিলালের দাপটই বেশি ছিল। ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখে তারা ১৫টি শট নেয়, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ফ্লুমিনেন্স ৪২ শতাংশ বলের দখল রেখে ১০টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখে। বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও আল হিলাল গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি।
ম্যাচের প্রথমার্ধ সতর্কতার সঙ্গে শুরু হলেও, ৪০ মিনিটে আল হিলালকে হতাশ করে প্রথম গোলটি আদায় করে নেয় ফ্লুমিনেন্স। দারুণ এক আক্রমণে বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মাথেউস মার্তিনেল্লি। এই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর মার্কোস লিওনার্দোর গোলে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে আল হিলাল। কিন্তু ৭০ মিনিটে বদলি নামা হারকিউলিসের গোলে ফ্লুমিনেন্স ফের এগিয়ে যায়। এরপর ম্যাচের বাকি সময় আল হিলাল চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
ম্যাচ শেষে ফ্লুমিনেন্সের কোচ রেনাতো গাউচো দলের পারফরমেন্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, "আমরা খুব বেশি সুযোগ পাইনি, কিন্তু যা পেয়েছি কাজে লাগিয়েছি। দলের সবাই পরিশ্রম করেছে এবং প্রত্যয়ী ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে এবং ব্রাজিলে আমাদের যেসব ভক্ত আছে তাদের বলব গর্বিত বোধ করতে পারে এবং দলের জার্সি গায়ে রাখতে পারে।"
সূত্র: বিবিসি স্পোর্টস
সাব্বির
