
.
গলে ড্র টেস্টে দারুণ ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কলম্বোয় ইনিংস ব্যবধানে হারের পর নেতৃত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের শুরুটাও ভালো হয়নি। প্রথম ওয়ানডেতে ২৪৫ রানের টার্গেটে ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে হারতে হয়েছে ৭৭ রানের ব্যবধানে। এক পর্যায়ে ২৬ বলের ব্যবধানে স্কোর বোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই ৭ ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিংধস ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ভক্তদেরও হতাশ করে। পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন,‘আমি ড্রেসিংরুমে কফি খাচ্ছিলাম এবং হঠাৎ করেই পাঁচ উইকেট পড়ে গেল। আশা করি, পরের ম্যাচেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং সবাই ভুল থেকে শিক্ষা নেবে।’ সিরিজে টিকে থাকতে হলে সেই শিক্ষাটা যে আজই কাজে লাগাতে হবে। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায়। পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ মঙ্গলবার।
শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৫ রানের টার্গেটে ১ উইকেটে ১০০ রান তুলে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউট দিয়ে ব্যাটিংধস শুরু। এরপর নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট শিকার করেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। লিটন দাসকে শূন্য হাতে এবং বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা তানজিদ হাসান তামিমকে (৬২) থামান ডি সিলভা। হাসারাঙ্গার সঙ্গে অন্যপ্রান্ত দিয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে হারের মুখে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। বড় দায় মিডল অর্ডার ব্যাটারদের। ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা সব ক্রিকেটারই শুক্রবার অনুশীলনে ছিলেন। দেখা যায়নি শুধু লিটনকে। ঠিক কি কারণে অনুশীলনে এই উইকেটকিপার ব্যাটার সেটা অবশ্য জানা যায়নি। লিটন না থাকলেও এদিন অনুশীলন করেছেন রিশাদ হোসেন। অসুস্থ থাকার কারণে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি এই লেগ স্পিনার। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ তাকে একাদশে দেখা যেতে পারে। আগের ম্যাচে বাংলাদেশ যে ভালো শুরু পেয়েছিল তাতে বড় অবদান ছিল ওপেনার তানজিদ তামিমের। ৬১ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রান করে আউট হন তিনি। ‘আমার কাছে মনে হয় না আমি ভালো খেলেছি। কারণ দলের যখন যেটা দরকার ছিল আমি সেটা পূরণ করতে পারিনি।’ বলছিলেন তরুণ এ বাঁহাতি ওপেনার।
সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে হাল ধরতে চান তামিম,‘আমার সবসময় চেষ্টা থাকে ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার এবং প্রতি ম্যাচে দলের জন্য ভালো কিছু অবদান রাখা। দলের যেটা প্রয়োজন যেটা আমি গত ম্যাচে পূরণ করতে পারি, চেষ্টা থাকবে দলের যা প্রয়োজন দ্বিতীয় ম্যাচে যেন পুষিয়ে দিতে পারি। যেহেতু তিন ম্যাচের সিরিজ, একটা হয়েছে এবং আরও দুই ম্যাচ বাকি আছে। আমরা দুই ম্যাচের চিন্তা করছি না।