
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের লাহোর শহরের একটি ব্যস্ত সড়কে একটি পোষা সিংহ হঠাৎ পলায়ন করে একজন নারী ও তার দুই শিশুর ওপর ভয়াবহভাবে আক্রমণ চালায়। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতের এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিংহটিকে কাবু করে একটি বন্যপ্রাণী স্যাংচুয়ারিতে হস্তান্তর করেছে।
নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বড় গেট পার হয়ে সিংহটি হঠাৎ রাস্তায় চলে আসে এবং বাজার থেকে ফেরার পথে এক নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার পিঠে হামলা করে মাটিতে ফেলে দেয়। ওই সময় নারীর পাশে থাকা দুই শিশু দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সিংহ তাদেরও আক্রমণ করে।
আহত নারীর স্বামীর বর্ণনায়, তার পাঁচ ও সাত বছর বয়সী দুই সন্তান এবং স্ত্রী সিংহের আক্রমণে হাতে ও মুখে আঘাত পান। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা জানান, যদিও তারা গুরুতর আহত হয়েছেন, তবে কারো জীবন ঝুঁকিতে নেই।
পুলিশ জানিয়েছে, সিংহটির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল থেকে সিংহটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে।
আহতদের স্বামীর দাবি অনুযায়ী, সিংহের মালিকেরা ঘটনাটি দেখেও হাসাহাসি করছিলেন এবং মজা পাচ্ছিলেন, যা পুলিশের কাছে দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
১১ মাস বয়সী পুরুষ সিংহটিকে এখন একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, প্রাণীটি সুস্থ আছে।
পাঞ্জাব প্রদেশে বড় বিড়ালজাত প্রাণী (যেমন সিংহ) পোষা সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এর আগেও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লাহোরে আরেকটি সিংহ পালিয়ে গেলে নিরাপত্তাকর্মী গুলি করে সেটিকে হত্যা করে। ওই ঘটনার পর সরকার নতুন নিয়ম-কানুন চালু করে।
বর্তমান আইনে বলা হয়েছে:
-
বসতিতে এ ধরনের প্রাণী রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
-
মালিকদের অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে
-
প্রজননকারী খামারগুলোকে কমপক্ষে ১০ একর জায়গা থাকতে হবে
-
লাইসেন্স ও নিবন্ধনের জন্য বড় অঙ্কের ফি ধার্য করা হয়েছে
মুমু ২