
ছবি: সংগৃহীত
‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর ভারত এবার আরও শক্তিশালী সামরিক প্রস্তুতির পথে এগিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদ (Defence Acquisition Council – DAC) অনুমোদন দিয়েছে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার ১০টি সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র কেনার পরিকল্পনাকে। এই সমস্ত সামগ্রী সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে, যা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা নীতিকে আরও জোরদার করবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বাধীন DAC জানিয়েছে, এই উদ্যোগ সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ, সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সমুদ্রপথে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
কোন অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে?
DAC যেসব সামরিক উপকরণ ক্রয়ের জন্য Acceptance of Necessity (AoN) দিয়েছে সেগুলো হল:
- Armoured Recovery Vehicles
- Electronic Warfare Systems
- Integrated Common Inventory Management System (Tri-Services)
- Surface-to-Air Missiles
- Moored Mines
- Mine Counter Measure Vessels
- Super Rapid Gun Mounts
- Submersible Autonomous Vessels
রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন পৌঁছেছে ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের অবদান প্রায় ৩২,০০০ কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, ১০ বছর আগে যেখানে প্রতিরক্ষা রপ্তানি ছিল মাত্র ৬০০-৭০০ কোটি টাকা, সেখানে এখন তা বেড়ে ২৪,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম এখন ১০০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিন্দুরে ভারতীয় অস্ত্র ব্যবহার করেই আমরা দেখিয়েছি—শত্রুর যেকোনো প্রতিরক্ষা ভেদ করার ক্ষমতা আমাদের আছে।”
তিনি বলেন, এই অর্জন শুধুই রাষ্ট্রীয় নয়, বরং দেশের ১৬,০০০-এরও বেশি MSME প্রতিষ্ঠান এখন প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশে চাকরি সৃষ্টি ও প্রযুক্তি উন্নয়নে বড় অবদান রাখছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পে এবার নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। Advanced Medium Combat Aircraft (AMCA) প্রকল্পে এবার প্রথমবারের মতো পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের যৌথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে "মেগা প্রতিরক্ষা প্রকল্পে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের যুগান্তকারী সুযোগ" বলে অভিহিত করেছেন। এতে দেশের প্রযুক্তি-নির্ভর প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতীয় সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়বে।
মুমু ২