ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন চেলসি

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন চেলসি

ফুটবল বিশ্বে একটা কথা বেশ ভালোভাবেই প্রচলিত আছে। যে কোনোভাবে ফাইনালে উঠে এলে আর চেলসিকে আটকানো সম্ভব না! যেভাবেই হোক তারা শিরোপা জয় করবে। নতুন আঙ্গিকে হওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এ কথা আরেকবার প্রমাণ করেছে ইংলিশ পরাশক্তি চেলসি। রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন ও ফরাসি পরাশক্তি প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইনকে (পিএসজি) ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এ কৃতিত্ব দেখিয়েছে বøুজরা। জোড়া গোল করে ফাইনালের নায়ক বনে  গেছেন চেলসির ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার। বিজয়ী দলের হয়ে অপর গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো। ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ম্যাচ শেষে বিজয়ী চেলসির খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৮১ হাজার ১১৮ সমর্থকের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের উপস্থিতি বাড়তি আকর্ষণের জন্ম দেয়। অথচ সুস্পষ্ট ফেভারিট হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে এসেছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। দাপটের সঙ্গে বড় দলগুলোকে বিদায় করে ফাইনালের টিকিটও পেয়েছিল প্যারিসের পরাশক্তিরা। বিশেষ করে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল ম্যাচের আগে পিএসজি ছিল হট ফেভারিট। কিন্তু সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়ে চেলসির কাছে তাদের অবিশ্বাস্য পতন হয়েছে। তাদের ব্যর্থতার ষোলোকলা পূরণ হয়েছে ম্যাচ শেষের চার মিনিট আগে। এ সময় মার্ক কুকুরেলাকে ধাক্কা দিয়ে লালকার্ড  দেখেন পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার  জোওয়া নেভেস। মৌসুমটা স্মরণীয় করে রাখতে এর থেকে বড় কিছু আর হতে পারে না চেলসির জন্য। উয়েফা কনফারেন্স লিগ জয়ের পর প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে আয়োজিত বর্ধিত কলেবরের ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাও তারা শোকেসে ভরেছে। টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতায় প্রাইজমানি হিসাবে ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পকেটে পুরেছে চেলসি। অন্যদিকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে পরাজিত করে রেকর্ড গড়ে প্যারিসের পরাশক্তিরা। এবার সেই দলটি চেলসির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। ফাইনালে ম্যাচের ২২ মিনিটের সময় পালমারের কোনাকুনি শটে এগিয়ে যায় চেলসি। পিএসজির লেফট ব্যাক মেনডেসে তার পজিশন থেকে বাইরে চলে এলে পালমার বক্সের ভেতর সুবিধাজনক অবস্থান খুঁজে পায়। এই সুযোগে একইদিক দিয়ে ৩০ মিনিটে তিনি ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বিরতির দুই মিনিট আগে ব্রাজিলিয়ান পেদ্রো  চেলসির হয়ে তৃতীয় গোল করেন। এর আগে ফ্লমিনেন্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও জোড়া গোল করেছিলেন পেদ্রো। ম্যাচে জয়ের নায়ক পালমারের প্রশংসা করে চেলসি কোচ এঞ্জো মারেসকা বলেন, ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের। আমরা খুব খুশি। বিশেষ করে পিএসজির মতো বিশ্বসেরা একটি দলের বিপক্ষে এই জয়টা সত্যিই বিশেষ অর্জন। আমি মনে করি পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ। এ ধরনের ম্যাচে আমরা কোলের কাছ থেকে সবসময়ই কিছু প্রত্যাশা করি। কারণ এটি একটি বড় ম্যাচ, বড় মুহূর্ত। এসব ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণের একটি সুযোগ আসে। গত মে মাসে উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল বেটিসকে ৪-১ গোলে হারায় চেলসি। দুটি গোলে অ্যাসিস্ট করে ওই ম্যাচেও সেরার পুরস্কার জিতে নেন পালমার। বড় মঞ্চে আরও একবার নিজেকে মেলে ধরতে পেরে আনন্দের যেন শেষ নেই তার। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয় করা এই ইংলিশ মিডফিল্ডার বলেন, আমি ফাইনাল ম্যাচ পছন্দ করি। আরও একবার ফাইনালে ভালো করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, এই জয়ের অনুভ‚তি চমৎকার। বেশি ভালো লাগছে কারণ ম্যাচের আগে কেউ আমাদের সম্ভাবনা দেখেনি, আমরা সেটা জানি। আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, দারুণ ছিল।

খেলা বিভাগের সব খবর

হ্যাটট্রিকের রঙে রঙিন সাগরিকা

হ্যাটট্রিকের রঙে রঙিন সাগরিকা

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফে আলো কেড়েছিলেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। ওই টুর্নামেন্টে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। সেবার টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের কিশোরী। ওই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় গত বছরের মাঝামাঝি জাতীয় দলেও অভিষেক। ২৪ জুলাই ভুটানের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেই নিজেকে চিনিয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। অভিষেকে হ্যাটট্রিক করা সাগরিকা এবার অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে পেলেন হ্যাট্রিকের স্বাদ! শুক্রবার ঢাকার বসুন্ধরা অ্যারেনায় টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে মিশন শুরু করেছে আফঈদা খন্দকারের বাংলাদেশ। যেখানে ৩৮, ৫২ ও ৫৭ মিনিটে গোল করেন ১৭ বছর বয়সী সাগরিকা। জাতীয় জার্সিতে ১২ ম্যাচে তার গোল ৭টি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৪ ম্যাচে ৪ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ দলে আছে ২ গোল।  ‘অভিষেকে হ্যাটট্রিকের পর থেকে বড় স্বপ্নই দেখে এসেছি। কিন্তু মাঝে সময়টা ভালো যায়নি। আমি খুব খুশি যে  ঘরের মাঠে সাফে প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করলাম। আরও ভালো লাগছে দলের বড় জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি।’ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলছিলেন সাগরিকা। বাংলাদেশের হয়ে এদিন জোড়া গোল করেছেন মুনকি আক্তার। একটি করে গোল পেয়েছেন স্বপ্না, শিখা, রুপা, শান্তি। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের কারণে মাঠ ছিল কর্দমাক্ত। কিন্তু এই প্রতিকূলতা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ওপর। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে খেলা জাতীয় দলের আট ফুটবলারকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ পিটার বাটলার। তাদের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষকে গোলের মালা পরিয়ে তবেই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। খেলা শুরুর বাঁশি বাজার দুই মিনিটের মধ্যে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন স্বপ্না। তিন মিনিট পর একক নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি। বামদিক দিয়ে ছুটে শ্রীলঙ্কার রক্ষণভাগ এলোমেলো করে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল কাঁপান তিনি।  তৃতীয় গোলের জন্য মেয়েদের বেশ অপেক্ষা করতে হয়। ৩৭তম মিনিটে ডানদিক থেকে শিখার ক্রস পেয়ে গোলের খাতা খোলেন সাগরিকা। প্রথমার্ধে আরও দুবার (৩৮তম মিনিটে ও যোগ করা সময়ে) বল জালে পাঠায় স্বাগতিকরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেসব বাতিল হয়। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে আরও ছয়বার গোলের উল্লাস করে। ৪৮তম মিনিটে সাগরিকার কাটব্যাকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন ডি বক্সে ফাঁকায় থাকা মুনকি। দুই মিনিট পর শিখা নাম লেখান গোলদাতাদের তালিকায়। ৫৩তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে নিজের দ্বিতীয় গোল পাওয়ার পাঁচ মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা। ডানদিক থেকে গোলমুখে পূজা দাসের বাড়ানো বলে নিশানা ভেদ করতে কোনো ভুল করেননি তিনি। ফলে ম্যাচের বয়স ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই স্কোরলাইন ৭-০ করে ফেলে মেয়েরা। অপেক্ষার আরেকটি পালা বাংলাদেশ শেষ করে ৮৫তম মিনিটে। ডি বক্সে জটলার মধ্য থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রুপা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে লঙ্কানদের পক্ষে সান্ত¡নাসূচক গোলের দেখা পান জাসোথরন লায়নসিকা। তবে শেষ বাঁশি বাজার আগে আরেকবার গোল হজম করে দলটি। গোল করেন শান্তি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোনো প্রশ্ন করার আগেই দুই দলের কোচ তুলে আনেন মাঠের প্রসঙ্গ। শ্রীলঙ্কান এক খেলোয়াড়কে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্ট্রেচারে করে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হলেও মাঠের চিত্র দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। মাঠ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ে পিছিয়ে আনা হয় সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার বেহাল অবস্থা। লঙ্কান কোচ শিরান্থা কুমারা বলেন,‘আমি মনে করি, মাঠের অবস্থা একটু খারাপ। কিছু চোটও হয়েছে। আমি মেয়েদের বলেছি, এটা তোমাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা। আমি এটা প্রত্যাশা করিনি। এটা সাফের টুর্নামেন্ট। আবহাওয়া বদল করা সম্ভব নয়। তবে আমি আসলেই এমন মাঠ প্রত্যাশা করিনি।’ মাঠের অবস্থা বাজে হওয়ার কারণে কাউকে দোষ দিতে চান না বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার,‘মাঠের পরিস্থিতি আমাদের সাহায্যে আসেনি। মাঠ খুবই ভারি ছিল।  অবশ্যই, এটা কারও দোষ নয়। আসলে মাঠ যেমন ছিল, সেটাই বললাম আরকি। কিন্তু আমরা ৯ গোল করেছি। শেষদিকে একটা গোল খাওয়ায় একটু হতাশা আছে। তবে স্বস্তির বিষয় ম্যাচটা আমরা শেষ করতে পেরেছি কোনো চোট ছাড়াই।’

শ্রীলঙ্কার জালে  বাংলাদেশের  গোলবন্যা

শ্রীলঙ্কার জালে  বাংলাদেশের  গোলবন্যা

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। একের পর এক গোল বন্যায় রীতিমতো লঙ্কানদের বিধ্বস্ত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ৯-১ ব্যবধানে হারিয়েছে আফঈদা খন্দকারের দল। মোসাম্মৎ সাগরিকা করেছেন হ্যাটট্রিক, মুনকি আক্তার দুই গোল। এ ছাড়া একটি করে গোল করেছেন স্বপ্না রানী, সিনহা জাহান শিখা, রুপা আক্তার ও শান্তি মার্ডি। বাংলাদেশ ৯ গোলের ছয়টিই করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা উঠেছে। আর উদ্বোধনী ম্যাচটি দাপুটে জয় দিয়েই শুরু করেছে বাঘিনীরা। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব আগেই ছিল। কিছুদিন আগেই তারা নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো জায়গা নিশ্চিত করে। সেই সিনিয়র দলের আটজন অনূর্ধ্ব-২০ দলেও রয়েছেন। ফলে স্বাগতিক বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক সাফে শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারানো স্বাভাবিকই। এদিন বাংলাদেশ প্রথমার্ধেই ৩ গোলের দেখা পেয়েছে, বিরতির পর করেছে বাকি ছয় গোল। ম্যাচে একটুও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। তবে  ৯০ মিনিট শেষে ইনজুরি সময়ে শ্রীলঙ্কা এক গোল পরিশোধ করে উল্লাসে মেতে ওঠে। তাদের দেখে মনে হয়েছে এই গোলটি করতে পেরে তারা অনেক আনন্দিত। মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ২৩ জনের আটজনকেই এই ম্যাচের একাদশে রাখেন কোচ পিটার জেমস বাটলার। লঙ্কানরা বাংলাদেশের আক্রমণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোলে বাংলাদেশ দলের লিড এনে দেন স্বপ্না রানী। চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুনকি আক্তার। ডি বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে জালে বল জড়ান তিনি। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে স্কোর ৩-০ করেন সাগরিকা। সিনহা জাহান শিখার ক্রস আটকাতে এগিয়ে আসেন থারুশিকা। কিন্তু বল তার পায়ের ফাঁক দিয়ে সাগরিকার কাছে গেলে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। এরপর ৩৮ ও ৪৫ মিনিটে দুই-দুবার গোল করলেও অফসাইডের কারণে সেগুলো আর খাতায় ওঠেনি।   দ্বিতীয়ার্ধে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারসহ তিনজনকে উঠিয়ে নেন কোচ বাটলার। এতে অবশ্য বাংলাদেশের খেলার ধার কমেনি মোটেও। বিরতির পর শুরুতেই সাগরিকার কাটব্যাকে গোলমুখে আনমার্কড থাকা মুনকি গোল করেন। ৫০ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস দারুণ প্লেসিং শটে গোল করেন শিখা। তিন মিনিট পর একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে বক্সে ঢুকে নিচু শটে ব্যবধান বাড়ান সাগরিকা। পাঁচ মিনিট পর পূজার কাট ব্যাকে এক শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড। ৮৩ মিনিটে রুপা বাংলাদেশের হয়ে অষ্টম গোল করেন। ইনজুরি সময়ে শ্রীলঙ্কার লালিয়ান এক গোল শোধ দেন। শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে বাংলাদেশের হয়ে নমব গোলটি করেন শান্তি। এই টুর্নামেন্টে পাঁচটি দেশ অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারত নাম প্রত্যাহার করে নেয়। সেজন্য বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান এই চার দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে সাফের এই আসর। চার দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অন্যের সঙ্গে দুবার করে খেলবে। একটি দল ছয়টি করে ম্যাচ পাবে। আর শীর্ষ পয়েন্টধারী দলের হাতে উঠবে শিরোপা। এখন পর্যন্ত পাঁচ আসরে চারবারই শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।