ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

স্মরণীয় সাফল্যের হাতছানি টাইগারদের

শাকিল আহমেদ মিরাজ

প্রকাশিত: ০০:৩০, ১৬ জুলাই ২০২৫

স্মরণীয় সাফল্যের হাতছানি টাইগারদের

সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ তৃতীয় টি২০ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে অতিথি বাংলাদেশ

২০১৩ থেকে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাঁচটি দিপাক্ষিক সিরিজ খেলে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। ২০১৭ সালে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ ড্র করাই সর্বোচ্চ সাফল্য। সেই কলম্বোতেই স্মরণীয় অর্জনের হাতছানি। ক্যান্ডিতে ৭ উইকেটের বড় হারের পর ‘অচেনা’ ডাম্বুলায় ৮৩ রানের রেকর্ড গড়া জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় লিটন দাসের দল। ১-১ সমতায় থাকা সিরিজে আজকের ম্যাচটা তাই ‘অঘোষিত’ ফাইনাল। তবে কাজটা সহজ নয়। কারণ বৈষয়িক টুর্নামেন্টসহ এ পর্যন্ত মুখোমুখি ১৯ টি২০ ম্যাচের ১২টিতেই হার বাংলাদেশের, জয় ৭ ম্যাচে।

আগরে ম্যাচে শামীম পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেনরা যেভাবে দাপট দেখিয়েছেন, তাতে নিজেদের টি২০ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বীপ-দেশটির বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশা করতেই পারে টাইগাররা। ‘দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমাদের সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগ আছে। মাঠে সেরাটা দিতে পারলে এই ম্যাচেও জয় সম্ভব’ বলছিলেন শামীম। খেলা শুরু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। 
সফরের শুরুতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। প্রথম টি২০তে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি ব্যাটাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর শামীম হোসেনকে নিয়ে ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন লিটন।

২৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলা শামীম জানিয়েছেন, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয়ের জন্য দ্বিতীয় ম্যাচের মতোই ব্যাটিং করার লক্ষ্য। জয়ী একাদশ নিয়েই খেলতে নামার সম্ভাবনা বেশি। মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন যেমন বলেছেন, ‘আমাদের লাক্সারি করার সুযোগ থাকে না। অনেক সময় ব্যাটার শর্টেজ, অনেক সময় বোলার শর্টেজ। সাকিব থাকাকালে লাক্সারির সুযোগ ছিল, একটা এক্সট্রা ব্যাটার বা বোলার খেলাতে পারতাম।’ পরে সালাউদ্দিন আরও যোগ করেন, ‘দলের শক্তি অনুযায়ী আমাদের চলতে হয়। সেভাবেই টিম সেটআপ করি।

আমরা জানি নাসুমকে খেলালে বেনিফিট হতে পারে, কিন্তু তখন হয়তো রিশাদকে বসাতে হবে বা অন্য কাউকে। সব দিকে ব্যালেন্স করে দল করতে হয়। যেহেতু ব্যাটিংয়েও তাকাতে হয়, ব্যাটার কতজন আছে, কে ফর্মে বা অফ ফর্মে আছে। এ কারণে বলব যেটাই চেষ্টা করি সবাই মিলেই করি। চেষ্টা করি সম্ভাব্য সেরা একাদশ খেলানোর।’
সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিনিয়র সহকারী কোচ সালাউদ্দিনকে নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তার কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি, ‘দেখুন বাংলাদেশ দল আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি না। ঠিক আছে। কেউ যদি এখানে ভালো না করে, তার সমালোচনা হবেই। এটা স্বাভাবিকভাবে নিতেই হবে। ভালো করলে সবাই বাহবা দেবে। আমি দলের জন্য শতভাগ দিচ্ছি কি না, নিজের জায়গায় সৎ কি না, সেটা আমার কাছে মুখ্য বিষয়।’

যদি জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে বয়সভিত্তিক দলের কোচিংও করাতে হয়, তাতে কোনো আপত্তি নেই. ‘দেখুন আমি কোচ। আমাকে যদি কালকে বলে সালাউদ্দিন, যাও তুমি ১৩ বছর বয়সী ছেলেদের কোচিং করাও। আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার এখানে ট্যাগ লেখা নেই যে শুধু জাতীয় দলেরই কোচ। এটা নিয়ে আমার কোনো ইগো সমস্যাও নেই। কেউ এলে যদি দলের জন্য ভালো হয়...’

×