ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

পরিত্যক্ত ভবনে জামায়াতের ব্যানার, জায়গার মালিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ১৫ জুলাই ২০২৫

পরিত্যক্ত ভবনে জামায়াতের ব্যানার, জায়গার মালিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি

উল্লাপাড়ায় সরকারি অফিস দখল করে জামায়াতের কার্যালয়—এমন একটি গুজব ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী।
জানা গেছে, উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনে জামায়াতে ইসলামীর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে নেতারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গত দুই-তিন মাস ধরে এখানে পৌর জামায়াতের কার্যক্রম চলছে। একটি মহল এটিকে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিস বলে দাবি করছে। তবে জামায়াতের উপজেলা আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী বলছেন, এটি পরিত্যক্ত ভবন; এর মালিক তুলা উন্নয়ন বোর্ড নয়। উপজেলা প্রশাসন থেকেও এর মালিকানা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার সকালে উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে কেউই এই ভবন এবং জায়গার মালিক সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। অনেকেই বলছেন, এই ভবনটি দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত রয়েছে। এখানে কেউ আসেন না। এই ভবন এবং জায়গার মালিক কে, তা আমরা জানি না। কেউ কখনো মালিকানা দাবি করেননি। এখানে স্থানীয় লোকজন তাদের খড়, গোবরের লাকড়িসহ অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতেন। এর বেশি কিছু জানেন না এলাকাবাসী।

তারা আরও বলেন, “কিছুদিন আগে দেখেছি এখানে জামায়াতে ইসলামীর কিছু সমর্থক এসে ঘরটি পরিষ্কার করে একটি ব্যানার টাঙিয়েছে। মাঝে মাঝে তারা এখানে বসেন।”

উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী বলেন, এই জায়গাটির কোনো মালিক আছে কি না, তা আমাদের জানা নেই। ভবনটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল, আমাদের ছেলেরা এটি পরিষ্কার করে মাঝে মাঝে এখানে বসেন। তারা এখানে কোনো অপকর্ম করছে না। এটি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ভবন নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, “আমি উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছি। তখন থেকে আমরা দেখে আসছি, এখানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কোনো অফিস নেই। যারা বলছে জামায়াতে ইসলামি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিস দখল করে কার্যালয় করেছে, তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।” সঠিক তথ্য না জেনে অপপ্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

জায়গাটির সঠিক মালিকানার বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার রিমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি সেখানে লোক পাঠিয়েছি। আমরা যাচাই-বাছাই করছি—ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিক কে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, “সেখানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অফিস ছিল কি না এবং ওই জায়গার প্রকৃত মালিক কে—এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, “উল্লাপাড়ায় আমাদের নিজস্ব কোনো অফিস ছিল না। একটি ভাড়া বাসায় আমরা কিছুদিন কার্যক্রম চালিয়েছিলাম। কিন্তু উল্লাপাড়া উপজেলায় তুলা উৎপাদন না থাকায় ওই অফিসের কার্যক্রম অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।”

সানজানা

×