বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা এবং তার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, বিজেপি সরকার নির্বাচনী রাজনীতিতে হিন্দুত্ববাদকে সামনে রেখে মুসলমানদের উপর দীর্ঘদিন ধরে কঠোর দমননীতি চালিয়ে আসছে এবং সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার পেছনেও এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
রুমিন বলেন, “এইমাত্র আমরা দেখলাম ২৬ জন মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে ভারতের এক চরমভাবে নিরাপত্তাবেষ্টিত অঞ্চলে। এর মাধ্যমে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা স্পষ্ট। কেউ কেউ বলছেন, এই ঘটনার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক লাভ যদি কারো হয়, তবে তা বিজেপি সরকারের—যারা বহুদিন ধরেই মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা বিজেপির জন্য রাজনৈতিক ফায়দা বয়ে আনতে পারে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গুজরাট দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা এবং মুসলমানদের উপর চালানো নিপীড়নের ইতিহাস। তার ভাষায়, “যখন মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন একটি তীর্থযাত্রীদের ট্রেনে দুর্ঘটনার অজুহাতে মুসলমানদের উপর ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল। এখন আবার দেখা যাচ্ছে, গুজরাটে বাঙালি মুসলমানদের সন্দেহে ঘরবাড়ি ভেঙে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।”
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়েও রুমিন ফারহানা প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “সরকার মানবিক করিডর নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানালেও, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তা অস্বীকার করেছেন। যদি জাতিসংঘ কোনো অনুরোধ না করে থাকে, তবে করিডরের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কাদের অনুরোধে? এবং কাদের সঙ্গে একমত হয়ে তা গ্রহণ করা হলো?”
তিনি আরও বলেন, রাখাইন অঞ্চলে এখন আর প্রকৃত জান্তা সরকার নয়, বরং আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাদের সঙ্গে কোন ধরনের আলোচনা হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট নয়। “আরাকান আর্মি তো কোনো বৈধ সরকার নয়, তাহলে সরকারের সঙ্গে কাদের আলোচনা হয়েছে?”—প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী— তাদের প্রশিক্ষিত রাখা ও প্রস্তুত রাখা অবশ্যই দরকার, তবে আগে জানতে হবে— এই অস্থিরতা আসছে কোথা থেকে, আর আমরা কোন দিকে যাচ্ছি?”
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=0izDGTNUIKI