
ছবি: সংগৃহীত
ব্রুনাই ইউনিভার্সিটির শিক্ষকতার এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়েও দেশের মাটিতেই রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সম্প্রতি এক স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে তিনি জানান, ঠিক কী কারণে তিনি সে সময় বিদেশে পাড়ি না দিয়ে দেশে থেকে গিয়েছিলেন।
কারণটিকে ‘খুব মজার এবং স্মৃতিকাতর জিনিস’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্রুনাই ইউনিভার্সিটি থেকে নিয়োগপত্র যখন হাতে পেয়েছিলাম, তখন সদ্যই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। সম্ভবত ১৫-২০ দিনের মতো হয়েছে তখন। আমি তখন বরিশাল জেলা যুবদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, গোপন ভোটে নির্বাচিত।’
তিনি আরও জানান, ‘তখন বরিশাল খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তিনি পরে বিএনপির মহাসচিবও হয়েছিলেন। আরেকজন ছিলেন শহিদুল হক জামাল, যিনি বরিশালের মানুষ এবং একসময় জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। এই দুইজন মিলে আমাকে ক্যান্টনমেন্টে খালেদা জিয়ার সামনে নিয়ে যান।’
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “খালেদা জিয়া তখন বললেন, ‘আপনারা সবাই যদি এখন বাইরে চলে যান, তাহলে রাজনীতির দায়িত্ব নিয়ে আমি আর কী করব? বিচারপতি সাত্তার সাহেবই তাহলে দলটা চালাক। আমাকে ওনারা দায়িত্ব নিতে বলছেন, আমি কেন আর দায়িত্ব নেব?’—এই কথাগুলো আমাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।”
এরপর পরিবারের সঙ্গেও পরামর্শ করেন তিনি। “আমি বরিশালে ফিরে মা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। মা তখন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ভালো মানুষ ছিলেন, তাঁকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর স্ত্রী যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তুমিও তাঁর পাশে দাঁড়াও। বিদেশে গিয়ে চাকরি করে কী হবে? এখানে হয়তো তোমায় ভালো কিছু হতেও পারে একসময়, থেকে যাও’।”
এই কথাগুলোর প্রভাবেই সিদ্ধান্ত বদল করেন আলাল। তিনি বলেন, ‘তখনই মনে হলো—আমার থাকা উচিত এভাবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম।’
সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/1FJHd5Xtxy/
রাকিব